Forums.Likebd.Com

Full Version: বন্ধুত্ব
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
বন্ধুত্ব,
ভালবাসাকেও হার মানায়।
- হ্যালো সাগুইরা, কিরে ফইন্নির ফইন্নি তুই কই?
-এই ত দোস্ত আসতেছি।আর একটু দাড়া!
-অই তর সাথে কি কথা ছিলরে? হ্যা!
তর কথা ছিল না যে চারটায় স্কুলের সামনে থাকবি!
-আরে আমি ত ঠিক সময়েই আসতেছিলাম কিন্তু
বাসা থেকে বাহিরে এসেই দেখি
-কি দেখছ? দুনিয়া কিয়ামত হয়ে যাইতেছে!
-আরে নারে দোস্ত,তার চেয়ে বেশি কিছু। দেখি বড়
খালা আর ওনার মেয়ে ঝিমি।
- তুইযে ফোনে প্রায়ই কথা বলিস ও?
-হ্যা ও ।ত দুস্ত তুই একটা কাজ কর আজকে বরং চলে
যা,কাল আমাদের স্কুলে দেখা হবে।
-আধ ঘন্টা তর জন্য দাড়ায় থাকার পর তুই বলিস
আমাকে চলে যাওয়ার জন্য? এই তুই এখন কি করবি?
-ঝিমির সাথে একটু লুডু খেলমু। এর আগেরবার ও
আমারে গেইম দিছিল,এবার অইডার বদলা নিমু।
-হারামজাদা, তুই যদি পাঁচ মিনেটের ভিতরে না
আসিস তাহলে তুই যে আমার কাছে সাতশ টাকা
পাস!
অই টাকাটা পাঁচ মিনিট পর থেকে যত মিনিট লেইট
করবি মিনিটে একশ টাকা করে তোর গচ্চা।(লউ
ঠেলা)
-এই সেরেছে, ফইন্নির গরের ফইন্নি এই জন্যই তুকে
ধার দেই না।দাড়া তিন মিনিটের মধ্যে আমি
আসতেছি।
-হি হা হু হু হু, সোজা আংগুলে ঘি উঠে না বাচাধন
তাই আংগুল বাঁকা করলাম।
আপন আর সাগর জানের দোস।দুজনেই ssc
পরিক্ষার্থী আর এরকম দুষ্টুমি প্রতিদিন ই হই।
-হা হা হা কিরে তুই ত দেড় মিনিটেই চলে আসলি
-টাকা আনছিস,
-কিসের টাকা
-তুই না বললি আমার পাওনা টাকা দিবি!
-আরে অইটা তু তোকে তারাতারি এখানে আনার
জন্য বলছি
-তা কিসের জন্য এমন জরুরী তলব
-কিছুক্ষণ পর একটা মেয়ে যাবে এই রাস্তা দিয়ে।
আমি ওকে প্রপোজ করব, তুই আমার সাথে থাকবি।
-মেয়েটা কে
-আমাদের স্কুলের কেয়া।
-মানে নাইনের ক্লাসের কেয়া
-হ
-কি কস তুই! আরে আমার ও প্লেন কালকে তুকে
নিয়ে কেয়াকে প্রপোজ করব।এই দেখ লাভ লেটার
পর্যন্ত লিখা ফেলছি
-কি কস তুই
-হ
-তু
আপন এর মূখটা একেবারে ফেকাসে হয়ে যাই। সাগর
সেটা লক্ষ করে।সাগর বলে উঠে
-আরে দোস্ত এতে কোন সমস্যা নাই, আমি বাদ তুই ই
ওকে প্রপোজ কর
-না এটা হই না তর লাভারকে আমি প্রপোজ করব।তুই
কর
-ওলে বাপলে, আমার লাভার হইল কবে? আমি ত ওরে
প্রপোজ ই করিনি।তারচেয়ে বরং তুই ই ওকে প্রপোজ
কর তুই যেহেতু আগে বলেছিস
-আগে বললে কি হইছে। তুই ত ওর জন্য লাভ লেটার
পর্যন্ত লিখে ফেলছিস। তাই বলছি তুই ই কর
-না তুই কর
-না তুই
-তুই
-তুই
-প্লিজ দুস তুই ই কর
হঠাৎ আপনের মূখে হাসির জলক
-(আপন)দুস্ত এক কাজ করি
-(সাগর)কি কাজ?
-আমি ও না তুই ও না ওকে বরং সুমনের হাতে ছেড়ে
দেই
-জটিল আইডিয়া, এটাই করতে হবে।চল বাসায় যায়
সাগর আর আপন কাঁধের উপর কাঁধ রেখে বাসার
উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।আর তখনি দেখতে পায় কেয়া
আসছে।দুজনেই থমকে দাড়ায়।
আজ এত ভাল লাগছে কেন কেয়াকে! কালো
বোকরা,সাদা ওড়না, আর কপালে ছোট্ট কালো
টিপ,লিপিস্টিকহীন গোলাপি ঠোট সব মিলিয়ে
অস্থির লাগছিল কেয়াকে।
-(সাগর) না দুস্ত এত পবিত্র মেয়েটারে সুমুইন্নার হাতে
দেওয়া যাইব না
-(আপন) এই মেয়ে শুধু আমার
-না আমার
-না আমার
হা হা হা
-হা হা হা হা
আসলে আজকের পর থেকে তারা ভুলে যাবে কেয়া
নামের মেয়েটা। কিন্তু কেয়া কখনো জানবেই না
যে ওর জন্য দুইটা ছেলে এত পাগল ছিল।
সাগর আর আপন ও জানবে না,
সেদিন তাদের দুজনের চোখ থেকে নিরবে দু ফোটা
অশ্রু ঝড়েছিল।সেই দুই ফোটা জল ই ছিল ভালবাসা,
কিন্তু বন্ধুর ভালবাসার কাছে তা খুব সামান্য।
বন্ধুত্ব এরকমি যা ভালবাসাকে ও হার মানায়।
.
~কূলহীন মাঝি~ (# Imtiaz_sagor )
post: হেমন্তে বর্ষায় আমি