01-02-2018, 05:09 PM
রিফাতঃ হ্যালো, কি বলবা, তাড়াতাড়ি বলো?
সামিয়াঃ কই তুমি? কি করো?
রিফাতঃ এই মাত্র অফিস থেকে বের হলাম। এখন
বাসে উঠবো।
সামিয়াঃ কই যাবা এখন? বাসায় না অন্য কোথাও?
রিফাতঃ এইতো একটু মার্কেটে যাবো। হালকা কিছু
কেনাকাটা করতে হবে।
সামিয়াঃ আচ্ছা,রাখি এখন। তাড়াতাড়ি বাসায়
গিয়ে খেয়ে নিও।
রিফাতঃ এই শুনো, আব্বা আর আম্মা কি করে?
সামিয়াঃ আব্বা আম্মা দুইজনই তাঁদের রুম এ। খাওয়া
দাওয়ার পর বিশ্রাম নিচ্ছে।
রিফাতঃ আচ্ছা রাখি। পরে কথা হবে।
দুপুর ০৩:৪৫
রিফাত কল করলো সামিয়া কে।
সামিয়াঃ কি করো? খাওয়া দাওয়া হইছে?
রিফাতঃ হুম, এইতো করে উঠে তোমাকে কল দিলাম।
সামিয়াঃ আচ্ছা আজকে কি কিনলা?
রিফাতঃ তেমন কিছুনা শুধু আমার জন্য একটা শার্ট।
সামিয়াঃ বিছানার চাদর কিনো নাই?
রিফাতঃ নাহ ভুলে গেসিলাম।
সামিয়াঃ এই নিয়ে কতোবার ভুলে গেছি বলছো?
তোমার বিছানার চাদর নিশ্চই আগের মতো ময়লা
হয়ে গেছে? পারো কিভাবে এভাবে থাকতে?
রিফাতঃ তুমি আগেরবার যেরকম দেখছিলা এখন তার
চাইতে ভালো অবস্থায় আছে। ব্যাচেলররা এভাবেই
থাকে।
সামিয়াঃ এই ফাজিল, তুমি এখন আর ব্যাচেলর না,
আচ্ছা একা বাসায় তোমার খারাপ লাগেনা?
রিফাতঃ লাগে কিন্তু খুব বেশীনা।
সামিয়াঃ কালতো শুক্রবার, শনিবারতো বন্ধ,
তোমার বাড়িতে আসতে ইচ্ছা করেনা?
রিফাতঃ গত সপ্তাহ এ তো বাড়িতে গেলাম।
সামিয়াঃ গত সপ্তাহ নয় তার আগের সপ্তাহে
আসছিলা। মানুষ নতুন বিয়ে করলেতো বউকে দেখার
জন্য প্রতি সপ্তাহে বাড়িতে আসে আর তুমি কিনা
আসই না।
রিফাতঃ নতুন কে বললো, বিয়ের ছয় মাস হয়ে
গেছে।
সামিয়াঃ ঠিক আছে, তোমার আর কখনোই আসা
লাগবেনা, থাকো তুমি চট্রগ্রামে।
রিফাতঃ রাগ করো কেন? আচ্ছা ঠিক আছে, পরের
সপ্তাহ আসবো।
সামিয়াঃ পরের সপ্তাহে বলবা তার পরের সপ্তাহে।
রিফাতঃ নাহ এবার আর এমন করবোনা।
সামিয়াঃ আমি রাখি এখন, আম্মা ডাকতেছে।
রিফাতঃ আচ্ছা রাখি।
সময়ঃ বিকাল ০৪:৪৫
রিফাতঃ কি করো?
সামিয়াঃ রান্না করতেছি।
রিফাতঃ কি রান্না কর?
সামিয়াঃ আব্বা আজকে তোমার প্রিয় ইলিশ মাছ
আনছে, আম্মা আনতে বলছিলো, ভাবছিলো তুমি
আসবা।
রিফাতঃ হুম, আম্মা কল করছিলো।
সামিয়াঃ তুমি কি বের হইছো? আশেপাশে এতো
শব্দ কিসের?
রিফাতঃ হ্যা, একটা কনফারেন্স এ যাচ্ছি, তুমি
আমাকে আর কল দিওনা, মেসেজ দিও, রাতে আমি
কল দিব।
সামিয়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে সাবধানে থেকো, বাই।
রিফাতঃ ওকে, বাই।
সময় রাত ০৭:৩০
সায়মার মেসেজ
সায়মাঃ এখনো কনফারেন্সে?
রিফাতঃ হ্যা, তুমি কি করো?
সায়মাঃ টিভি দেখি আব্বা আম্মার সাথে।
তোমাকে মিস করতেছি।
রিফাতঃ আমিও, আজকে বাড়িতে গেলেই বরং
ভালো হতো।
সায়মাঃ হুহ, আসছে এখন বলতে।
সময় রাত ০৮:৩০
রিফাতের কল
সায়মাঃ কনফারেন্স শেষ?
রিফাতঃ হুম। তোমাদের খাওয়া দাওয়া শেষ?
সায়মাঃ নাহ, আব্বা আম্মা খেতে বসে প্রায় না
খেয়েই উঠে গেসে। তোমার প্রিয় খাবার তোমাকে
চাড়া খেতে ভালো লাগে বলো?
রিফাতঃ তুমিও খাইছো?
সায়মাঃ খেতে ইচ্ছা করছেনা। তুমি তাড়াতাড়ি
বাসায় যাও।
রিফাতঃ হুম যাচ্ছি।
সায়মাঃ একটু লাইন এ থাকো। কলিং বেল
বাজতেছে, দেখি কে আসছে।
রিফাতঃ ওকে।।
সায়মা দরজা খুললো.........
-তুমি!!!!!!!!!!!
- কেন আমি আসতে পারিনা?
-কিন্তু...
- আব্বা আম্মা ক্কোথায়?
- তাঁদের রুম এ।
-যাই, আব্বা আম্মার সাথে দেখা করে আসি। খাওয়া
রেডী করো আজ একসাথে খাবো।
-তোমার কনফারেন্স?
-ওটাতো ছিল ট্রেন
[ভালোবাসা গুলো এভাবেই চলতে থাকুক ]
.
((( মাহবুব )))
post: হেমন্তে বর্ষায় আমি
সামিয়াঃ কই তুমি? কি করো?
রিফাতঃ এই মাত্র অফিস থেকে বের হলাম। এখন
বাসে উঠবো।
সামিয়াঃ কই যাবা এখন? বাসায় না অন্য কোথাও?
রিফাতঃ এইতো একটু মার্কেটে যাবো। হালকা কিছু
কেনাকাটা করতে হবে।
সামিয়াঃ আচ্ছা,রাখি এখন। তাড়াতাড়ি বাসায়
গিয়ে খেয়ে নিও।
রিফাতঃ এই শুনো, আব্বা আর আম্মা কি করে?
সামিয়াঃ আব্বা আম্মা দুইজনই তাঁদের রুম এ। খাওয়া
দাওয়ার পর বিশ্রাম নিচ্ছে।
রিফাতঃ আচ্ছা রাখি। পরে কথা হবে।
দুপুর ০৩:৪৫
রিফাত কল করলো সামিয়া কে।
সামিয়াঃ কি করো? খাওয়া দাওয়া হইছে?
রিফাতঃ হুম, এইতো করে উঠে তোমাকে কল দিলাম।
সামিয়াঃ আচ্ছা আজকে কি কিনলা?
রিফাতঃ তেমন কিছুনা শুধু আমার জন্য একটা শার্ট।
সামিয়াঃ বিছানার চাদর কিনো নাই?
রিফাতঃ নাহ ভুলে গেসিলাম।
সামিয়াঃ এই নিয়ে কতোবার ভুলে গেছি বলছো?
তোমার বিছানার চাদর নিশ্চই আগের মতো ময়লা
হয়ে গেছে? পারো কিভাবে এভাবে থাকতে?
রিফাতঃ তুমি আগেরবার যেরকম দেখছিলা এখন তার
চাইতে ভালো অবস্থায় আছে। ব্যাচেলররা এভাবেই
থাকে।
সামিয়াঃ এই ফাজিল, তুমি এখন আর ব্যাচেলর না,
আচ্ছা একা বাসায় তোমার খারাপ লাগেনা?
রিফাতঃ লাগে কিন্তু খুব বেশীনা।
সামিয়াঃ কালতো শুক্রবার, শনিবারতো বন্ধ,
তোমার বাড়িতে আসতে ইচ্ছা করেনা?
রিফাতঃ গত সপ্তাহ এ তো বাড়িতে গেলাম।
সামিয়াঃ গত সপ্তাহ নয় তার আগের সপ্তাহে
আসছিলা। মানুষ নতুন বিয়ে করলেতো বউকে দেখার
জন্য প্রতি সপ্তাহে বাড়িতে আসে আর তুমি কিনা
আসই না।
রিফাতঃ নতুন কে বললো, বিয়ের ছয় মাস হয়ে
গেছে।
সামিয়াঃ ঠিক আছে, তোমার আর কখনোই আসা
লাগবেনা, থাকো তুমি চট্রগ্রামে।
রিফাতঃ রাগ করো কেন? আচ্ছা ঠিক আছে, পরের
সপ্তাহ আসবো।
সামিয়াঃ পরের সপ্তাহে বলবা তার পরের সপ্তাহে।
রিফাতঃ নাহ এবার আর এমন করবোনা।
সামিয়াঃ আমি রাখি এখন, আম্মা ডাকতেছে।
রিফাতঃ আচ্ছা রাখি।
সময়ঃ বিকাল ০৪:৪৫
রিফাতঃ কি করো?
সামিয়াঃ রান্না করতেছি।
রিফাতঃ কি রান্না কর?
সামিয়াঃ আব্বা আজকে তোমার প্রিয় ইলিশ মাছ
আনছে, আম্মা আনতে বলছিলো, ভাবছিলো তুমি
আসবা।
রিফাতঃ হুম, আম্মা কল করছিলো।
সামিয়াঃ তুমি কি বের হইছো? আশেপাশে এতো
শব্দ কিসের?
রিফাতঃ হ্যা, একটা কনফারেন্স এ যাচ্ছি, তুমি
আমাকে আর কল দিওনা, মেসেজ দিও, রাতে আমি
কল দিব।
সামিয়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে সাবধানে থেকো, বাই।
রিফাতঃ ওকে, বাই।
সময় রাত ০৭:৩০
সায়মার মেসেজ
সায়মাঃ এখনো কনফারেন্সে?
রিফাতঃ হ্যা, তুমি কি করো?
সায়মাঃ টিভি দেখি আব্বা আম্মার সাথে।
তোমাকে মিস করতেছি।
রিফাতঃ আমিও, আজকে বাড়িতে গেলেই বরং
ভালো হতো।
সায়মাঃ হুহ, আসছে এখন বলতে।
সময় রাত ০৮:৩০
রিফাতের কল
সায়মাঃ কনফারেন্স শেষ?
রিফাতঃ হুম। তোমাদের খাওয়া দাওয়া শেষ?
সায়মাঃ নাহ, আব্বা আম্মা খেতে বসে প্রায় না
খেয়েই উঠে গেসে। তোমার প্রিয় খাবার তোমাকে
চাড়া খেতে ভালো লাগে বলো?
রিফাতঃ তুমিও খাইছো?
সায়মাঃ খেতে ইচ্ছা করছেনা। তুমি তাড়াতাড়ি
বাসায় যাও।
রিফাতঃ হুম যাচ্ছি।
সায়মাঃ একটু লাইন এ থাকো। কলিং বেল
বাজতেছে, দেখি কে আসছে।
রিফাতঃ ওকে।।
সায়মা দরজা খুললো.........
-তুমি!!!!!!!!!!!
- কেন আমি আসতে পারিনা?
-কিন্তু...
- আব্বা আম্মা ক্কোথায়?
- তাঁদের রুম এ।
-যাই, আব্বা আম্মার সাথে দেখা করে আসি। খাওয়া
রেডী করো আজ একসাথে খাবো।
-তোমার কনফারেন্স?
-ওটাতো ছিল ট্রেন
[ভালোবাসা গুলো এভাবেই চলতে থাকুক ]
.
((( মাহবুব )))
post: হেমন্তে বর্ষায় আমি