01-14-2017, 10:00 AM
শীত এখনো পুরোপুরি জেঁকে বসেনি আমাদের এই
রাজধানীতে। তবে বাতাস কিন্তু শীতের পরশ ঠিকই
বুলিয়ে যেতে শুরু করেছে। আগুনমাখা সূর্যটাও আগের
মতো আগুন ছড়ায় না। সেইসঙ্গে আরেকটি জিনিস
কি খেয়াল করেছেন?
আমাদের চারপাশে যে বাদামী-ধূসর প্রজাপতিগুলো
উড়ে বেড়াচ্ছে মনে সুখে।
বাসার সিঁড়ি থেকে শুরু করে ওয়াশরুম; এমনকি
শোবার ঘরে পর্যন্ত চলে এসেছে ওরা। এ ধরনের ধূসর-
বাদামী প্রজাপতিগুলো শীতের মৌসুমে সব সময়ই
আমাদের বাড়িঘরে এসে ভীড় করে। কখনো কি
ভেবে দেখেছেন, হঠাৎ করে কোথা থেকে আসে
ওরা? কেনইবা আসে? এই প্রজাতির প্রজাপতিগুলোর
নাম ‘কমন ইভেনিং ব্রাউন’। শীতের শুরুতেই ওদের
আনাগোনা শুরু। থাকে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস পর্যন্ত।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা
বিভাগের সভাপতি ড. মনোয়ারা হোসাইন জানান,
প্রজাপতি হচ্ছে মূলত মৌসুমী প্রজাতির পতঙ্গ।
যেসব প্রজাপতি শীতকালে দেখা যায়, সেগুলো
গ্রীষ্মের সময় দেখা যায় না। কমন ইভেনিং ব্রাউন
এমনই একটি। অধিক আলো, তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত সহ্য
করতে পারে না বলে গ্রীষ্মকালে ওদের উপস্থিতি
কম থাকে বলেও জানান ড. মনোয়ারা।
কেন আসে ওরা আমাদের বাড়িতে?
বেশিরভাগ প্রজাপতির দেখার ক্ষমতা সবচেয়ে
ভালো কাজ করে দিনের বেলায়। কিন্তু কমন
ইভেনিং ব্রাউনের ব্যাপারটা আলাদা। এদের ফোটন
বা আলো ধারণের ক্ষমতা সবচেয়ে ভালো কাজ করে
হালকা আলোতে। আমাদের বাড়িঘরের মধ্যে যে
ধরনের আলো থাকে। আর এ কারণেই এই
প্রজাপতিগুলো শীতের শুরুতে আমাদের ঘরে
বেড়াতে আসে বলে জানান ড. মনোয়ারা।
অল্প তাপমাত্রায়, শীতে কেন আসে ওরা?
একটি প্রজাপতির জীবনচক্রের চারটি ধাপ থাকে:
ডিম- শুয়োপোকা-গুটিপোকা এবং সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ
প্রজাপতি। বেশিরভাগ প্রজাতির ক্ষেত্রেই এই
প্রতিটি ধাপের বিবর্তনে উচ্চ তাপমাত্রা প্রয়োজন
হয়। তবে কমন ইভেনিং ব্রাউনিং কম তাপমাত্রায়
বিবর্তিত হতে পারে। তাই শীতের মৌসুমে এই
প্রজাপতি বেশি দেখা যায়।
ড. মনোয়ারা জানান, প্রজাপতিদের ওপর জলবায়ু
পরিবর্তনের কোনো প্রভাব আছে কি না- সেটা
এখনো দীর্ঘ গবেষণার ব্যাপার। বাড়ির ছাদে ছোট
ছোট বাগান, বাসার বারান্দার কিংবা ঘরের
ভেতরে লাগানো গাছসহ সরকারি ও বেসরকারি
উদ্যোগে বৃক্ষরোপণের ফলে প্রজাপতির ডিম দেয়ার
জায়গা বাড়ছে এবং এতে শুয়োপোকাদেরও খাবার
তৈরি হচ্ছে বলেও বিশ্বাস তার।
রাজধানীতে। তবে বাতাস কিন্তু শীতের পরশ ঠিকই
বুলিয়ে যেতে শুরু করেছে। আগুনমাখা সূর্যটাও আগের
মতো আগুন ছড়ায় না। সেইসঙ্গে আরেকটি জিনিস
কি খেয়াল করেছেন?
আমাদের চারপাশে যে বাদামী-ধূসর প্রজাপতিগুলো
উড়ে বেড়াচ্ছে মনে সুখে।
বাসার সিঁড়ি থেকে শুরু করে ওয়াশরুম; এমনকি
শোবার ঘরে পর্যন্ত চলে এসেছে ওরা। এ ধরনের ধূসর-
বাদামী প্রজাপতিগুলো শীতের মৌসুমে সব সময়ই
আমাদের বাড়িঘরে এসে ভীড় করে। কখনো কি
ভেবে দেখেছেন, হঠাৎ করে কোথা থেকে আসে
ওরা? কেনইবা আসে? এই প্রজাতির প্রজাপতিগুলোর
নাম ‘কমন ইভেনিং ব্রাউন’। শীতের শুরুতেই ওদের
আনাগোনা শুরু। থাকে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস পর্যন্ত।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা
বিভাগের সভাপতি ড. মনোয়ারা হোসাইন জানান,
প্রজাপতি হচ্ছে মূলত মৌসুমী প্রজাতির পতঙ্গ।
যেসব প্রজাপতি শীতকালে দেখা যায়, সেগুলো
গ্রীষ্মের সময় দেখা যায় না। কমন ইভেনিং ব্রাউন
এমনই একটি। অধিক আলো, তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত সহ্য
করতে পারে না বলে গ্রীষ্মকালে ওদের উপস্থিতি
কম থাকে বলেও জানান ড. মনোয়ারা।
কেন আসে ওরা আমাদের বাড়িতে?
বেশিরভাগ প্রজাপতির দেখার ক্ষমতা সবচেয়ে
ভালো কাজ করে দিনের বেলায়। কিন্তু কমন
ইভেনিং ব্রাউনের ব্যাপারটা আলাদা। এদের ফোটন
বা আলো ধারণের ক্ষমতা সবচেয়ে ভালো কাজ করে
হালকা আলোতে। আমাদের বাড়িঘরের মধ্যে যে
ধরনের আলো থাকে। আর এ কারণেই এই
প্রজাপতিগুলো শীতের শুরুতে আমাদের ঘরে
বেড়াতে আসে বলে জানান ড. মনোয়ারা।
অল্প তাপমাত্রায়, শীতে কেন আসে ওরা?
একটি প্রজাপতির জীবনচক্রের চারটি ধাপ থাকে:
ডিম- শুয়োপোকা-গুটিপোকা এবং সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ
প্রজাপতি। বেশিরভাগ প্রজাতির ক্ষেত্রেই এই
প্রতিটি ধাপের বিবর্তনে উচ্চ তাপমাত্রা প্রয়োজন
হয়। তবে কমন ইভেনিং ব্রাউনিং কম তাপমাত্রায়
বিবর্তিত হতে পারে। তাই শীতের মৌসুমে এই
প্রজাপতি বেশি দেখা যায়।
ড. মনোয়ারা জানান, প্রজাপতিদের ওপর জলবায়ু
পরিবর্তনের কোনো প্রভাব আছে কি না- সেটা
এখনো দীর্ঘ গবেষণার ব্যাপার। বাড়ির ছাদে ছোট
ছোট বাগান, বাসার বারান্দার কিংবা ঘরের
ভেতরে লাগানো গাছসহ সরকারি ও বেসরকারি
উদ্যোগে বৃক্ষরোপণের ফলে প্রজাপতির ডিম দেয়ার
জায়গা বাড়ছে এবং এতে শুয়োপোকাদেরও খাবার
তৈরি হচ্ছে বলেও বিশ্বাস তার।