01-14-2017, 11:56 PM
ছোটবেলায়, আম্মা শার্টে মাড় দিয়ে দিতেন
শার্ট এমন শক্ত হয়ে থাকতো যে স্কুলে ছেলেরা
খোঁচা দিয়ে বলত, “কি রে আজকেও বুলেট প্রুফ শার্ট
পরে আসছস?”
তাদেরও দোষ নাই... আম্মা এমন মাড় দিতো যে,
শার্ট সোজা হয়ে থাকতো... এটা পরে রবোকপের মত
হাঁটতে হতো
… শুধু তা না, গোসল করে স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি
হওয়ার সময়, আম্মা জোর করে মাথায় তেল দিয়ে
দিতো
স্কুলে বন্ধুদের সামনে লজ্জাই লাগত
মাথা থেকে ভড়ভড় করে এতো উৎকট গন্ধ বের হতো
যে মাঝে মাঝে ক্লাসের টিচারও ধমক দিয়ে
জিজ্ঞেস করত; “আজ টিফিনে নারিকেলের নাড়ু
নিয়ে এসেছে কে রে?”
... শুধু তা না
আইডিয়াল স্কুলের ইউনিফর্ম ছিল সাদা শার্ট
কিন্তু প্রতিদিনই আম্মা কাপড় ধোয়ার সময়, শার্টে
নীল দিয়ে রাখত
অসহ্য লাগতো... ধোয়ার পর, দেখা যায়...সাদা শার্ট
হয়ে আছে হাল্কা নেভি ব্লু
ক্লাসের ছেলেরা খোটা দিত, “কি রে ব্যাটা, তুই
ভুলে শাহীন স্কুলের শার্ট পরে এসে পড়েছিস
লাগে”
বাসায় ফিরে অনেক কান্নাকাটি করতাম
কে শুনে কার কথা ... আম্মার মাথায় ঢুকে গিয়েছিল
যে, ‘সাদা শার্টে নীল না দিলে পরিস্কার হয় না’
মনে আছে, আব্বার কাছেও এ নিয়ে বিচার
দিয়েছিলাম
ভয়ে, আব্বার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতাম
না... কিন্তু বিচার দিতে দিতে আড়চোখে তাকিয়ে
দেখতাম, তার সাদা শার্টের মধ্যেও নীল ছোপ ছোপ
বড় হয়ে বুঝলাম; সাদা শার্টে নীল বা মাড় দেয়া
আসলেই দরকার ... বা, নাড়ু নাড়ু গন্ধ বের হলেও,
মাথায় তেল দেয়াটাও দরকার
সেদিন, আমার বড় মেয়েকে তার মায়ের সাথে তর্ক
করতে শুনলাম, “মাম্মি, আমার স্কুলের হোয়াইট শার্ট,
ওয়াসের পর দেখা যাচ্ছে হোয়াইটের মধ্যে ব্লু ব্লু
শেডড এসে পড়েছে ... হাউ প্যাথেটিক”
তার মাম্মি উত্তর দিলো, ‘প্যাথেটিকের বাচ্চা...
সব বিষয়ে পাকামো করা ঠিক না... যা আমার
সামনে থেকে... আর মাথার এই অবস্থা কেন? আয়
তেল দিয়ে দেই ঘসে ঘসে’
মেয়ে গজগজ করতে করতে তেল দিচ্ছে
*বুঝলাম... এই বয়সে এসে বুঝলাম, “যতদিনে তুমি
বুঝতে পারবে যে, তোমার মাতা ঠিক ছিল, ততদিনে
তোমার একটা সন্তান থাকবে এবং সে ভাববে, তুমি
একটা প্যাথেটিক”
(by the time u realize your mom was NOT pathetic, u
already have a kid, who begins to think, u r pathetic)
... Happy Mother’s day everyone … বহুত খুশি হওয়ার কিছু
নাই
শার্ট এমন শক্ত হয়ে থাকতো যে স্কুলে ছেলেরা
খোঁচা দিয়ে বলত, “কি রে আজকেও বুলেট প্রুফ শার্ট
পরে আসছস?”
তাদেরও দোষ নাই... আম্মা এমন মাড় দিতো যে,
শার্ট সোজা হয়ে থাকতো... এটা পরে রবোকপের মত
হাঁটতে হতো
… শুধু তা না, গোসল করে স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি
হওয়ার সময়, আম্মা জোর করে মাথায় তেল দিয়ে
দিতো
স্কুলে বন্ধুদের সামনে লজ্জাই লাগত
মাথা থেকে ভড়ভড় করে এতো উৎকট গন্ধ বের হতো
যে মাঝে মাঝে ক্লাসের টিচারও ধমক দিয়ে
জিজ্ঞেস করত; “আজ টিফিনে নারিকেলের নাড়ু
নিয়ে এসেছে কে রে?”
... শুধু তা না
আইডিয়াল স্কুলের ইউনিফর্ম ছিল সাদা শার্ট
কিন্তু প্রতিদিনই আম্মা কাপড় ধোয়ার সময়, শার্টে
নীল দিয়ে রাখত
অসহ্য লাগতো... ধোয়ার পর, দেখা যায়...সাদা শার্ট
হয়ে আছে হাল্কা নেভি ব্লু
ক্লাসের ছেলেরা খোটা দিত, “কি রে ব্যাটা, তুই
ভুলে শাহীন স্কুলের শার্ট পরে এসে পড়েছিস
লাগে”
বাসায় ফিরে অনেক কান্নাকাটি করতাম
কে শুনে কার কথা ... আম্মার মাথায় ঢুকে গিয়েছিল
যে, ‘সাদা শার্টে নীল না দিলে পরিস্কার হয় না’
মনে আছে, আব্বার কাছেও এ নিয়ে বিচার
দিয়েছিলাম
ভয়ে, আব্বার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতাম
না... কিন্তু বিচার দিতে দিতে আড়চোখে তাকিয়ে
দেখতাম, তার সাদা শার্টের মধ্যেও নীল ছোপ ছোপ
বড় হয়ে বুঝলাম; সাদা শার্টে নীল বা মাড় দেয়া
আসলেই দরকার ... বা, নাড়ু নাড়ু গন্ধ বের হলেও,
মাথায় তেল দেয়াটাও দরকার
সেদিন, আমার বড় মেয়েকে তার মায়ের সাথে তর্ক
করতে শুনলাম, “মাম্মি, আমার স্কুলের হোয়াইট শার্ট,
ওয়াসের পর দেখা যাচ্ছে হোয়াইটের মধ্যে ব্লু ব্লু
শেডড এসে পড়েছে ... হাউ প্যাথেটিক”
তার মাম্মি উত্তর দিলো, ‘প্যাথেটিকের বাচ্চা...
সব বিষয়ে পাকামো করা ঠিক না... যা আমার
সামনে থেকে... আর মাথার এই অবস্থা কেন? আয়
তেল দিয়ে দেই ঘসে ঘসে’
মেয়ে গজগজ করতে করতে তেল দিচ্ছে
*বুঝলাম... এই বয়সে এসে বুঝলাম, “যতদিনে তুমি
বুঝতে পারবে যে, তোমার মাতা ঠিক ছিল, ততদিনে
তোমার একটা সন্তান থাকবে এবং সে ভাববে, তুমি
একটা প্যাথেটিক”
(by the time u realize your mom was NOT pathetic, u
already have a kid, who begins to think, u r pathetic)
... Happy Mother’s day everyone … বহুত খুশি হওয়ার কিছু
নাই