01-15-2017, 04:00 PM
পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা। এখন দেশী-বিদেশী ভ্রমণ
পিপাসুদের কাছে পরিচিত একটি নাম। ভৌগোলিক
দিক থেকে বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে
বঙ্গোপসাগর লাঘোয়া পটুয়াখালী জেলার
কলাপাড়া উপজেলায় এর অবস্থান।
প্রকৃতির আপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা দৃষ্টিনন্দন এ
বেলাভূমির দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার। সৈকতের একই
স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোলোভা
দৃশ্য উপভোগ করার বিরল সুযোগ রয়েছে এখানে।
সাগরের গর্জনসহ বিশাল আকৃতির ঢেউয়ের জলরাশি
যখন একের পর এক সৈকতে আছড়ে পরে, ঠিক তখনই
প্রকৃতি প্রেমীদের সকল ক্লান্তি ধুঁয়ে মুছে যায়।
কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়ে আশে পাশে
তাকালেই বেলাভূমিতে দেখা যায় লাল কাঁকড়ার
নৃত্য ও জেলেদের জীবন জিবীকার যুদ্ধ। এছাড়া
পরিচিত হওয়া যাবে স্থানীয় আদিবাসী রাখাইন
সম্প্রদায়ের কৃষ্টি-কালচারের সাথে। দেখা যাবে
তাদের সৃষ্ট ঐতিহাসিক সেই সুপেয় পানির কুয়া ও
সংলগ্ন শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধবিহার। অসংখ্য দর্শনীয় স্পট
অতি সহজেই আকৃষ্ট করবে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের।
ভাবছেন এসব মন কাড়া দৃশ্য কিভাবে দেখতে
যাবেন?
যেভাবে আসবেন: সড়ক ও নৌপথে আসা যায়
এখানে। ঢাকা থেকে সড়ক পথে কুয়াকাটার দুরত্ব
৩৮০ কিলোমিটার। বিকল্প পথে মাওয়া হয়ে এলে
দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার কমে যাবে। এছাড়া খুলনা-
যশোর থেকে বি. আর. টি. সি. বাস এবং চট্টগ্রাম
থেকে ঢাকা হয়ে সৌদিয়া, সুগন্ধা, মেঘনা, সাকুরা,
আবদুল্লাহ, এইচ আলী, ঈগল পরিবহনসহ দুরপাল্লার
বাসগুলো সায়েদাবাদ কিংবা গাবতলী বাস
টার্মিনাল থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে ছেড়ে
আসে।
ব্যক্তিগত গাড়ি ও রেন্ট-এ কার যোগেও এখানে
আসা যায়। আরাম দায়ক ভ্রমনের জন্য পূর্ণিমা রাতে
ঢাকা থেকে নদী পথে বরিশাল, পটুয়াখালী অথবা
আমতলী লঞ্চ যোগে এসেও কুয়াকাটায় আসতে
পারবেন।
যেখানে থাকবেন: পর্যটকদের থাকার জন্য রয়েছে
সরকারী-বেসরকারী অত্যাধুনিক হোটেল ও মোটেল।
এর মধ্যে উল্লেযোগ্য হচ্ছে পর্যটন হলিডে হোমস,
জেলা পরিষদ ডাক বাংলো, সড়ক ও জনপদ বিভাগের
ডাক বাংলো এবং এলজিইডি’র বাংলো। এছাড়া
কুয়াকাটা ইন্টারন্যাশনাল, স্কাইপ্যালেস,
নীলাঞ্জনা, সী-ভিউ, গোল্ডেন প্যালেস, বীস
ভেলী, গ্রেভার ইন, সাগর কন্যা, বনানী প্যালেস,
হোটেল মোহনাসহ একাধিক এসি/ নন এসি রুমসহ
শতাধিক আবাসিক হোটেল মোটেল রয়েছে।
টেলিফোন কিংবা অনলাইনে এসব হোটেল
মোটেলে অগ্রীম বুকিং দিতে পারেন।
যেখানে খাবেন: পছন্দনীয় খাবারের জন্য খাবার
ঘর-৫, আল-মদিনা, বরিশাল হোটেল, রাজধানী
হোটেল, আপ্যায়ন হোটেল, খেপুপাড়া হোটেলসহ
বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এসব হোটেলে কম
খরচে মানসম্মত খাবার পাওয়া যায়।
কোথায় কোথায় ঘুরবেন: সুন্দরবনের পূর্বাংশে
ট্যাংরাগিরীর ফাতরার বন, সোনার চর, হাসের চর,
কটকা, গঙ্গামতি লেক, মিশ্রি পাড়ার বৌদ্ধ বিহার,
মম্বিপাড়ায় সৎ সঙ্গের আশ্রম, ইকোপার্ক, শুটকি
পল্লী, গঙ্গামতির ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট ও বিভিন্ন
রাখাইন পাড়াসহ কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টর কাছেই
সৈকতে বালুর তলদেশ থেকে জেগে ওঠা প্রাচীন
নৌকাটি দেখতে পাবেন। এছাড়া যেতে পারবেন
নির্মাণাধীন পায়রা সমুদ্র বন্দর ও সাবমেরিন ক্যাবল
ল্যান্ডিং স্টেশন দেখতে।
সেবা সমূহ: সৈকতের আশপাশে রয়েছে একাধিক
ট্যুরিজম সেন্টার। দর্শনীয় স্থান গুলো ঘুরে দেখানের
জন্য এসব সেন্টারগুলোর নিজেস্ব নৌ-যান রয়েছে।
এছাড়া ব্যাক্তিগতভাবে মোটর সাইকেল, ভ্যান ও
ঘোড়ায় চরে ঘুরে দেখতে পারেন প্রকৃতির অপরুপ
সৌন্দর্য।
নিরাপত্তা: এখানে কোন ধরনের সমস্যায় পরলে
কুয়াকাটা পৌর সভা, ট্যুরিষ্ট পুলিশ ও নৌ-পুলিশের
সাহায্য নিতে পারেন।
এদিকে কুয়াকাটা-কলাপাড়া মহা সড়কের
আন্ধারমানিক ও সোনাতলা নদীর উপর নির্মাণাধীন
শেখ কামাল, শেখ জামাল সেতুর দ্বার খুলে দেওয়া
হয়েছে। প্রকৃতি ও সাগরের আপরূপ দৃশ্য উপভোগ করার
জন্য পরিবার পরিজনসহ আসা দর্শনার্থীদের
ভোগান্তি কমে যাবে। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে
ভ্রমণ শেষে সকলে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যেতে
পারবেন।
পিপাসুদের কাছে পরিচিত একটি নাম। ভৌগোলিক
দিক থেকে বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে
বঙ্গোপসাগর লাঘোয়া পটুয়াখালী জেলার
কলাপাড়া উপজেলায় এর অবস্থান।
প্রকৃতির আপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা দৃষ্টিনন্দন এ
বেলাভূমির দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার। সৈকতের একই
স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোলোভা
দৃশ্য উপভোগ করার বিরল সুযোগ রয়েছে এখানে।
সাগরের গর্জনসহ বিশাল আকৃতির ঢেউয়ের জলরাশি
যখন একের পর এক সৈকতে আছড়ে পরে, ঠিক তখনই
প্রকৃতি প্রেমীদের সকল ক্লান্তি ধুঁয়ে মুছে যায়।
কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়ে আশে পাশে
তাকালেই বেলাভূমিতে দেখা যায় লাল কাঁকড়ার
নৃত্য ও জেলেদের জীবন জিবীকার যুদ্ধ। এছাড়া
পরিচিত হওয়া যাবে স্থানীয় আদিবাসী রাখাইন
সম্প্রদায়ের কৃষ্টি-কালচারের সাথে। দেখা যাবে
তাদের সৃষ্ট ঐতিহাসিক সেই সুপেয় পানির কুয়া ও
সংলগ্ন শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধবিহার। অসংখ্য দর্শনীয় স্পট
অতি সহজেই আকৃষ্ট করবে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের।
ভাবছেন এসব মন কাড়া দৃশ্য কিভাবে দেখতে
যাবেন?
যেভাবে আসবেন: সড়ক ও নৌপথে আসা যায়
এখানে। ঢাকা থেকে সড়ক পথে কুয়াকাটার দুরত্ব
৩৮০ কিলোমিটার। বিকল্প পথে মাওয়া হয়ে এলে
দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার কমে যাবে। এছাড়া খুলনা-
যশোর থেকে বি. আর. টি. সি. বাস এবং চট্টগ্রাম
থেকে ঢাকা হয়ে সৌদিয়া, সুগন্ধা, মেঘনা, সাকুরা,
আবদুল্লাহ, এইচ আলী, ঈগল পরিবহনসহ দুরপাল্লার
বাসগুলো সায়েদাবাদ কিংবা গাবতলী বাস
টার্মিনাল থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে ছেড়ে
আসে।
ব্যক্তিগত গাড়ি ও রেন্ট-এ কার যোগেও এখানে
আসা যায়। আরাম দায়ক ভ্রমনের জন্য পূর্ণিমা রাতে
ঢাকা থেকে নদী পথে বরিশাল, পটুয়াখালী অথবা
আমতলী লঞ্চ যোগে এসেও কুয়াকাটায় আসতে
পারবেন।
যেখানে থাকবেন: পর্যটকদের থাকার জন্য রয়েছে
সরকারী-বেসরকারী অত্যাধুনিক হোটেল ও মোটেল।
এর মধ্যে উল্লেযোগ্য হচ্ছে পর্যটন হলিডে হোমস,
জেলা পরিষদ ডাক বাংলো, সড়ক ও জনপদ বিভাগের
ডাক বাংলো এবং এলজিইডি’র বাংলো। এছাড়া
কুয়াকাটা ইন্টারন্যাশনাল, স্কাইপ্যালেস,
নীলাঞ্জনা, সী-ভিউ, গোল্ডেন প্যালেস, বীস
ভেলী, গ্রেভার ইন, সাগর কন্যা, বনানী প্যালেস,
হোটেল মোহনাসহ একাধিক এসি/ নন এসি রুমসহ
শতাধিক আবাসিক হোটেল মোটেল রয়েছে।
টেলিফোন কিংবা অনলাইনে এসব হোটেল
মোটেলে অগ্রীম বুকিং দিতে পারেন।
যেখানে খাবেন: পছন্দনীয় খাবারের জন্য খাবার
ঘর-৫, আল-মদিনা, বরিশাল হোটেল, রাজধানী
হোটেল, আপ্যায়ন হোটেল, খেপুপাড়া হোটেলসহ
বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এসব হোটেলে কম
খরচে মানসম্মত খাবার পাওয়া যায়।
কোথায় কোথায় ঘুরবেন: সুন্দরবনের পূর্বাংশে
ট্যাংরাগিরীর ফাতরার বন, সোনার চর, হাসের চর,
কটকা, গঙ্গামতি লেক, মিশ্রি পাড়ার বৌদ্ধ বিহার,
মম্বিপাড়ায় সৎ সঙ্গের আশ্রম, ইকোপার্ক, শুটকি
পল্লী, গঙ্গামতির ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট ও বিভিন্ন
রাখাইন পাড়াসহ কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টর কাছেই
সৈকতে বালুর তলদেশ থেকে জেগে ওঠা প্রাচীন
নৌকাটি দেখতে পাবেন। এছাড়া যেতে পারবেন
নির্মাণাধীন পায়রা সমুদ্র বন্দর ও সাবমেরিন ক্যাবল
ল্যান্ডিং স্টেশন দেখতে।
সেবা সমূহ: সৈকতের আশপাশে রয়েছে একাধিক
ট্যুরিজম সেন্টার। দর্শনীয় স্থান গুলো ঘুরে দেখানের
জন্য এসব সেন্টারগুলোর নিজেস্ব নৌ-যান রয়েছে।
এছাড়া ব্যাক্তিগতভাবে মোটর সাইকেল, ভ্যান ও
ঘোড়ায় চরে ঘুরে দেখতে পারেন প্রকৃতির অপরুপ
সৌন্দর্য।
নিরাপত্তা: এখানে কোন ধরনের সমস্যায় পরলে
কুয়াকাটা পৌর সভা, ট্যুরিষ্ট পুলিশ ও নৌ-পুলিশের
সাহায্য নিতে পারেন।
এদিকে কুয়াকাটা-কলাপাড়া মহা সড়কের
আন্ধারমানিক ও সোনাতলা নদীর উপর নির্মাণাধীন
শেখ কামাল, শেখ জামাল সেতুর দ্বার খুলে দেওয়া
হয়েছে। প্রকৃতি ও সাগরের আপরূপ দৃশ্য উপভোগ করার
জন্য পরিবার পরিজনসহ আসা দর্শনার্থীদের
ভোগান্তি কমে যাবে। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে
ভ্রমণ শেষে সকলে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যেতে
পারবেন।