01-15-2017, 04:06 PM
সিলেট শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে
জাফলং এর অবস্থান। জাফলং সিলেট জেলার
গোয়াইনঘাট থানার একটি ইউনিয়ন। প্রকৃতি যেন
ভিন্ন রূপে সাজিয়েছে এই জাফলংকে । অপরূপ
সৌন্দর্যের জন্য প্রকৃতি কন্যা হিসেবে খ্যাত এই
জায়গাটি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন
স্থানগুলোর একটি । পর্যটন মৌসুম শীতকাল ছাড়াও
সারাবছরই দেশের নানা প্রান্ত থেকে
ভ্রমণপিপাসুরা এখানে ছুটে আসেন।রূপ বৈচিত্র্যতার
জন্যই এই সমাগম ।
সৌন্দর্যের সবুজ আকর্ষণ শুরু জৈন্তাপুর উপজেলা
থেকেই । জৈন্তিয়া রানীর স্মৃতি বিজড়িত এই
উপজেলা শহরের বুক চিরেই জাফলং যেতে হয় ।
পথের ডান পাশে দাড়িয়ে থাকা ভারতের
মেঘালয়ের মায়াবী পাহাড় হাতছানি দিয়ে ডাকে
। বর্ষায় এই পাহাড় থেকে কয়েকটি ঝর্ণা ধারা
নেমে আসতে দেখা যায় । পাহাড়ের গাঁয়ে হেলান
দিয়ে থাকে সাদা মেঘ, সে এক অভাবনীয় দৃশ্য ।
অবশ্য শীতকালে ঝর্ণা গুলো থাকে মৃত । উঁচু নিচু
পাহাড়ি পথ বেয়ে যেতে যেতে পথে দেখা মিলবে
তামাবিল স্থলবন্দর । সারি সারি ভারতীয় কয়লা
বোঝাই ট্রাক দাড়িয়ে আছে । এখানে কয়লা আর
পাথরের ব্যবসা জমজমাট । এখান থেকে ভারতের
অন্যতম সুন্দর শহর শিলং যাওয়া যায় । দুরুত্ব মাত্র ৮০
কিলোমিটার । স্বাভাবিক ভাবেই পাসপোর্ট, ভিসা
লাগবে। তামাবিল চেকপোস্ট থেকে ৪ কিলোমিটার
দূরেই মামার বাজার । পর্যটকরা জাফলং বলতে এই
মামার বাজারকেই চিনেন । মূল জাফলং বাজারে
অনেকেই যান না ।
Piyain River, Jaflong.jpg
মামার বাজার থেকে একটু সামনে এগোলেই পিয়াইন
নদীর ঘাট যা স্থানীয় ভাবে বল্লাঘাট নামে
পরিচিত।
মেঘালয় পাহাড় থেকে সৃষ্ট এই নদীর পানি কাঁচের
মত স্বচ্ছ । একেবারে তলদেশ পর্যন্ত দৃষ্টি চলে যায় ।
ঘাট থেকে মূল আকর্ষণ জিরো পয়েন্ট যেতে হয়
নৌকা নিয়ে ।
১৫ মিনিটের এই নৌকা ভ্রমণ জীবনের অন্যরকম
অভিজ্ঞতা হিসেবে স্মরণীয় থাকবে । স্বচ্ছ পানি
ছুয়ে দেখতে ইচ্ছে করবে । আহ ! কি শীতল ! প্রাণ
জুড়িয়ে যায় । এই নদীই এখানকার মানুষের জীবিকার
প্রধান উৎস । বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ শিশু সবাই
নদীর পেট থেকে তুলে আনছে নানা রঙের, নানা
আকৃতির পাথর । এই পাথর বিভিন্ন হাত ঘুরে চলে যায়
দেশের বিভিন্ন জায়গায় । বছরের পর বছর এই
পাথরেই কর্মমুখর এই জনপদের মানুষ ।
জিরো পয়েন্টে দাড়িয়ে চোখে পড়বে পাহাড়ের
উপরে ভারতের ডাউকি উপজেলা শহর আর শহরের
সাথে সংযোগ স্থাপনকারী ঝুলন্ত ব্রিজ । বেড়াতে
আসা মানুষ জন এই ব্রিজকে পেছনে রেখে ছবি
তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন । পাশা পাশি অবস্থানে
নিজ নিজ দেশের দায়িত্ব পালন করছেন আমাদের
বিজিবি আর ভারতের বিএসএফ । জিরো পয়েন্টের
রূপের কথা লিখে বোঝানো সম্ভব নয় । স্বচক্ষেই
দেখে নিতে হয় । নদীর অন্য পারে খাসিয়াপল্লী ।
সেখানে গেলে নিরিবিলি বনের মাঝে চোখে
পড়বে খাসিয়াদের জীবনধারা, রাজবাড়ী আর
পানের বরজ । অত্যন্ত পরিশ্রমী খাসিয়ারা পান চাষ
করে জীবিকা নির্বাহ করে । খাসিয়াপল্লীর
একেবারে গা ঘেঁষে মেঘালয়ের সূউচ্চ সবুজ পাহাড় ।
তাকিয়ে থাকতে থাকতে মন উদাস হয়ে যায় । ফিরে
আসতে ইচ্ছে করে না । কিন্তু ফিরতে তো হবেই ।
মামার বাজার থেকেই সরাসরি সিলেটের গাড়ি
পাওয়া যায় ।
যেভাবে যাবেন:
* সিলেট শহরের সোবহানিঘাট থেকে সরাসরি বাস
জাফলং পর্যন্ত চলাচল করে । এ ছাড়া সি এন জি
চালিত অটোরিকশা বা মাইক্রবাস ভাড়া করেও
যাওয়া যায় ।
* থাকার জন্য অনেক আবাসিক হোটেল রয়েছে । ৩০০
টাকা থেকে শুরু করে ১০০০০ টাকায় হোটেলে রুম
পাওয়া যায়।
* স্বল্প মুল্যে ভালো খাবার জন্য শহরে বেশ
কয়েকটি রেস্টুরেন্ট আছে যেমন পানশি, জলসিড়ি,
পাঁচভাই রেস্টুরেন্ট ।
* হাতে তিন দিন সময় থাকলে মোটামুটি ভাবে
সিলেট বিভাগের উল্লেখযোগ্য স্থান গুলো ঘুরে
দেখা যায় ।
জাফলং এর অবস্থান। জাফলং সিলেট জেলার
গোয়াইনঘাট থানার একটি ইউনিয়ন। প্রকৃতি যেন
ভিন্ন রূপে সাজিয়েছে এই জাফলংকে । অপরূপ
সৌন্দর্যের জন্য প্রকৃতি কন্যা হিসেবে খ্যাত এই
জায়গাটি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন
স্থানগুলোর একটি । পর্যটন মৌসুম শীতকাল ছাড়াও
সারাবছরই দেশের নানা প্রান্ত থেকে
ভ্রমণপিপাসুরা এখানে ছুটে আসেন।রূপ বৈচিত্র্যতার
জন্যই এই সমাগম ।
সৌন্দর্যের সবুজ আকর্ষণ শুরু জৈন্তাপুর উপজেলা
থেকেই । জৈন্তিয়া রানীর স্মৃতি বিজড়িত এই
উপজেলা শহরের বুক চিরেই জাফলং যেতে হয় ।
পথের ডান পাশে দাড়িয়ে থাকা ভারতের
মেঘালয়ের মায়াবী পাহাড় হাতছানি দিয়ে ডাকে
। বর্ষায় এই পাহাড় থেকে কয়েকটি ঝর্ণা ধারা
নেমে আসতে দেখা যায় । পাহাড়ের গাঁয়ে হেলান
দিয়ে থাকে সাদা মেঘ, সে এক অভাবনীয় দৃশ্য ।
অবশ্য শীতকালে ঝর্ণা গুলো থাকে মৃত । উঁচু নিচু
পাহাড়ি পথ বেয়ে যেতে যেতে পথে দেখা মিলবে
তামাবিল স্থলবন্দর । সারি সারি ভারতীয় কয়লা
বোঝাই ট্রাক দাড়িয়ে আছে । এখানে কয়লা আর
পাথরের ব্যবসা জমজমাট । এখান থেকে ভারতের
অন্যতম সুন্দর শহর শিলং যাওয়া যায় । দুরুত্ব মাত্র ৮০
কিলোমিটার । স্বাভাবিক ভাবেই পাসপোর্ট, ভিসা
লাগবে। তামাবিল চেকপোস্ট থেকে ৪ কিলোমিটার
দূরেই মামার বাজার । পর্যটকরা জাফলং বলতে এই
মামার বাজারকেই চিনেন । মূল জাফলং বাজারে
অনেকেই যান না ।
Piyain River, Jaflong.jpg
মামার বাজার থেকে একটু সামনে এগোলেই পিয়াইন
নদীর ঘাট যা স্থানীয় ভাবে বল্লাঘাট নামে
পরিচিত।
মেঘালয় পাহাড় থেকে সৃষ্ট এই নদীর পানি কাঁচের
মত স্বচ্ছ । একেবারে তলদেশ পর্যন্ত দৃষ্টি চলে যায় ।
ঘাট থেকে মূল আকর্ষণ জিরো পয়েন্ট যেতে হয়
নৌকা নিয়ে ।
১৫ মিনিটের এই নৌকা ভ্রমণ জীবনের অন্যরকম
অভিজ্ঞতা হিসেবে স্মরণীয় থাকবে । স্বচ্ছ পানি
ছুয়ে দেখতে ইচ্ছে করবে । আহ ! কি শীতল ! প্রাণ
জুড়িয়ে যায় । এই নদীই এখানকার মানুষের জীবিকার
প্রধান উৎস । বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ শিশু সবাই
নদীর পেট থেকে তুলে আনছে নানা রঙের, নানা
আকৃতির পাথর । এই পাথর বিভিন্ন হাত ঘুরে চলে যায়
দেশের বিভিন্ন জায়গায় । বছরের পর বছর এই
পাথরেই কর্মমুখর এই জনপদের মানুষ ।
জিরো পয়েন্টে দাড়িয়ে চোখে পড়বে পাহাড়ের
উপরে ভারতের ডাউকি উপজেলা শহর আর শহরের
সাথে সংযোগ স্থাপনকারী ঝুলন্ত ব্রিজ । বেড়াতে
আসা মানুষ জন এই ব্রিজকে পেছনে রেখে ছবি
তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন । পাশা পাশি অবস্থানে
নিজ নিজ দেশের দায়িত্ব পালন করছেন আমাদের
বিজিবি আর ভারতের বিএসএফ । জিরো পয়েন্টের
রূপের কথা লিখে বোঝানো সম্ভব নয় । স্বচক্ষেই
দেখে নিতে হয় । নদীর অন্য পারে খাসিয়াপল্লী ।
সেখানে গেলে নিরিবিলি বনের মাঝে চোখে
পড়বে খাসিয়াদের জীবনধারা, রাজবাড়ী আর
পানের বরজ । অত্যন্ত পরিশ্রমী খাসিয়ারা পান চাষ
করে জীবিকা নির্বাহ করে । খাসিয়াপল্লীর
একেবারে গা ঘেঁষে মেঘালয়ের সূউচ্চ সবুজ পাহাড় ।
তাকিয়ে থাকতে থাকতে মন উদাস হয়ে যায় । ফিরে
আসতে ইচ্ছে করে না । কিন্তু ফিরতে তো হবেই ।
মামার বাজার থেকেই সরাসরি সিলেটের গাড়ি
পাওয়া যায় ।
যেভাবে যাবেন:
* সিলেট শহরের সোবহানিঘাট থেকে সরাসরি বাস
জাফলং পর্যন্ত চলাচল করে । এ ছাড়া সি এন জি
চালিত অটোরিকশা বা মাইক্রবাস ভাড়া করেও
যাওয়া যায় ।
* থাকার জন্য অনেক আবাসিক হোটেল রয়েছে । ৩০০
টাকা থেকে শুরু করে ১০০০০ টাকায় হোটেলে রুম
পাওয়া যায়।
* স্বল্প মুল্যে ভালো খাবার জন্য শহরে বেশ
কয়েকটি রেস্টুরেন্ট আছে যেমন পানশি, জলসিড়ি,
পাঁচভাই রেস্টুরেন্ট ।
* হাতে তিন দিন সময় থাকলে মোটামুটি ভাবে
সিলেট বিভাগের উল্লেখযোগ্য স্থান গুলো ঘুরে
দেখা যায় ।