12-26-2016, 12:26 AM
নতুন ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কেনার পর অনেকেই সেটিকে ব্যবহার উপযোগী করা নিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়েন। বিশেষ করে সফটওয়্যার ইন্সটল করা নিয়ে অনেকের মধ্যে সংশয় ও ভীতি তৈরি হয় । অসচেতন থাকার কারণে অনেকে নানান সমস্যায় পড়েন ।
তাই কম্পিউটার কেনার পর শুরুতেই কিছু বিষয় খেয়াল রাখা দরকার। নতুনদের জন্য করণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে তুলে ধরা হলো এই টিউটোরিয়ালেঃ-
নতুন কম্পিউটার কেনার পর পাঁচটি কাজ করা অতীব জরুরী।
০১. অ্যান্টিম্যালওয়ার প্রোগ্রাম আপডেট করাঃ-
নতুন কম্পিউটার কেনার পর অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটলের পর প্রথম কাজ হলো অ্যান্টিভাইরাস ইন্সটল করা। কেননা, নতুন কম্পিউটারের গান, মুভি , ভিডিও , মিউজিক ইত্যাদি ডাউনলোড বা পেনড্রাইভ দিয়ে আদান-প্রদান করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে, ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। তাই ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস ইন্সটল করতে হবে।
০২.উইন্ডোজ আপডেটঃ-
আপনার পিসি চালু করার পর প্রথম পদক্ষেপটি হবে উইন্ডোজটিকে আপডেট করে নেয়া। এ জন্য প্রয়োজন হবে ইন্টারনেট সংযোগের। ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ স্থাপনের পর স্টার্ট মেন্যু থেকে অল প্রোগ্রামে গিয়ে উইন্ডোজ আপডেট অপশনটিতে গিয়ে চেক ফর আপডেটে ক্লিক করতে হবে।
আপডেট করার সময় কয়েকবার সিপিউ রিস্টার্ট নিতে পারে। রিস্টার্টের পর চেক করে দেখুন সবগুলো আপডেট ঠিক মত হয়েছে কিনা? না হলে, আবার আপডেট করতে হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশে অধিকাংশ ব্যবহারকারীর উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম নকল বা পাইরেটস। সেক্ষেত্রে আপডেট দিলে সমস্যা হতে পারে। তাই আপডেট করা উচিত নয় এবং অটো আপডেট বন্ধ রাখা উচিত।
০৩.ড্রাইভারগুলো আপডেটঃ-
কম্পিউটারের ভালো পারফরমেন্স নির্ভর করে ড্রাইভারের উপর। তাই ড্রাইভারগুলো সব সময় আপডেট করে রাখতে হবে। ড্রাইভার আপডেট করলে নানা রকম বাগ (ক্রুটি) থেকে মুক্ত পাওয়া যায়।
মাদারবোর্ডর মডেল নম্বর অনুযায়ী ইন্টারনেট সার্চ করে ড্রাইভারের সর্বশেষ আপডেট পাওয়া যাবে। এ ছাড়া মাদারবোর্ড প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট এ নিয়মিত চোখ রাখতে হবে নতুন আপডেট এসেছে কিনা তা দেখার জন্য।
০৪.সফটওয়্যার ইন্সটলঃ-
কম্পিউটারের প্রাণ হলো সফটওয়্যার। যাবতীয় সব কাজ করতে হয় সফটওয়্যার ব্যবহার করে। গান শুনতে হলে প্রয়োজন মিউজিক প্লেয়ার। ভিডিও দেখতে হলে লাগবে ভিডিও প্লেয়ার, ছবি এডিটের জন্য লাগবে এডব ফটোশপ সফটওয়্যার ইত্যাদি। তাই প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারটি ইন্সটল করতে হবে।
তবে নতুনদের একটি একটি করে সফটওয়্যার ইন্সটল করা বেশ ঝামেলার কাজ মনে হতে পারে সেক্ষেত্রে সমাধান হতে পারে নিনাইট নামে একটি সফটওয়্যার।
নিচের লিংকে ক্লিক করে সফটওয়্যারটি পেতে পারেনঃ https://ninite.com/
এটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এর মাধ্যমে নানা রকম ফ্রি সফটওয়্যার এক ক্লিকেই ইন্সটল করা যায়। এর মধ্যে রয়েছে ব্রাউজার থেকে শুরু করে অ্যান্টিভাইরাস ইউটিলিটি, মিডিয়া প্লেব্যাক প্রোগ্রাম পর্যন্ত সব সফটওয়্যার।
নিনাইট ৩২ এবং ৬৪ বিট উভয় সংস্করণের জন্যই পাওয়া যায়। তবে ৬৪ বিট চালানো উপযোগী আপনার উইন্ডোজটি ৬৪ বিট এ আছে কিনা সেটি চেক করে নিতে হবে। সফওয়্যারটির ওয়েবসাইটটে গিয়ে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো নির্বাচন করে দিতে হবে। এরপর ডাউনলোড করে ইন্সটল করা যাবে।
এছাড়া সফটওয়্যারের জন্য চমৎকার একটি সাইট আছে। নিচের লিংকে ক্লিক করে সফটওয়্যারটি পেতে পারেনঃ http://filehippo.com/
এখান থেকে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার খুঁজে পাবেন আশা রাখি।
এ তালিকা থেকে আপনি যে সফটওয়্যারগুলো নিয়মিত ব্যবহার করতে আগ্রহী সেগুলো নির্বাচন করে দিন। তারপর বসে থেকে উপভোগ করুন ঝামেলাবিহীন ইনস্টল প্রক্রিয়া। আপনাকে আর খুঁজে খুঁজে একটা একটা করে ইনস্টল করতে হবে না।
০৫.অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আনইনস্টলঃ-
কম্পিউটার বা ল্যাপটপের নির্মাতারা এমন অনেক সফটওয়্যার প্রি-ইন্সটল করে দেয়(আগে থেকেই পিসিতে ইন্সটল করা থাকে), সেগুলো আসলে কোন কাজেই লাগে না। এই সফটওয়্যারগুলো বিশেষ ক্ষেত্রে কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেয়। তাই স্টার্ট থেকে কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো আনইন্সটল করে দিতে হবে।
ব্যাস, প্রয়োজনীয় এই ৫ টি কাজ শেষে আপনার নতুন কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য পুরোপুরি তৈরি।
তাই কম্পিউটার কেনার পর শুরুতেই কিছু বিষয় খেয়াল রাখা দরকার। নতুনদের জন্য করণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে তুলে ধরা হলো এই টিউটোরিয়ালেঃ-
নতুন কম্পিউটার কেনার পর পাঁচটি কাজ করা অতীব জরুরী।
০১. অ্যান্টিম্যালওয়ার প্রোগ্রাম আপডেট করাঃ-
নতুন কম্পিউটার কেনার পর অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটলের পর প্রথম কাজ হলো অ্যান্টিভাইরাস ইন্সটল করা। কেননা, নতুন কম্পিউটারের গান, মুভি , ভিডিও , মিউজিক ইত্যাদি ডাউনলোড বা পেনড্রাইভ দিয়ে আদান-প্রদান করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে, ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। তাই ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস ইন্সটল করতে হবে।
০২.উইন্ডোজ আপডেটঃ-
আপনার পিসি চালু করার পর প্রথম পদক্ষেপটি হবে উইন্ডোজটিকে আপডেট করে নেয়া। এ জন্য প্রয়োজন হবে ইন্টারনেট সংযোগের। ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ স্থাপনের পর স্টার্ট মেন্যু থেকে অল প্রোগ্রামে গিয়ে উইন্ডোজ আপডেট অপশনটিতে গিয়ে চেক ফর আপডেটে ক্লিক করতে হবে।
আপডেট করার সময় কয়েকবার সিপিউ রিস্টার্ট নিতে পারে। রিস্টার্টের পর চেক করে দেখুন সবগুলো আপডেট ঠিক মত হয়েছে কিনা? না হলে, আবার আপডেট করতে হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশে অধিকাংশ ব্যবহারকারীর উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম নকল বা পাইরেটস। সেক্ষেত্রে আপডেট দিলে সমস্যা হতে পারে। তাই আপডেট করা উচিত নয় এবং অটো আপডেট বন্ধ রাখা উচিত।
০৩.ড্রাইভারগুলো আপডেটঃ-
কম্পিউটারের ভালো পারফরমেন্স নির্ভর করে ড্রাইভারের উপর। তাই ড্রাইভারগুলো সব সময় আপডেট করে রাখতে হবে। ড্রাইভার আপডেট করলে নানা রকম বাগ (ক্রুটি) থেকে মুক্ত পাওয়া যায়।
মাদারবোর্ডর মডেল নম্বর অনুযায়ী ইন্টারনেট সার্চ করে ড্রাইভারের সর্বশেষ আপডেট পাওয়া যাবে। এ ছাড়া মাদারবোর্ড প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট এ নিয়মিত চোখ রাখতে হবে নতুন আপডেট এসেছে কিনা তা দেখার জন্য।
০৪.সফটওয়্যার ইন্সটলঃ-
কম্পিউটারের প্রাণ হলো সফটওয়্যার। যাবতীয় সব কাজ করতে হয় সফটওয়্যার ব্যবহার করে। গান শুনতে হলে প্রয়োজন মিউজিক প্লেয়ার। ভিডিও দেখতে হলে লাগবে ভিডিও প্লেয়ার, ছবি এডিটের জন্য লাগবে এডব ফটোশপ সফটওয়্যার ইত্যাদি। তাই প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারটি ইন্সটল করতে হবে।
তবে নতুনদের একটি একটি করে সফটওয়্যার ইন্সটল করা বেশ ঝামেলার কাজ মনে হতে পারে সেক্ষেত্রে সমাধান হতে পারে নিনাইট নামে একটি সফটওয়্যার।
নিচের লিংকে ক্লিক করে সফটওয়্যারটি পেতে পারেনঃ https://ninite.com/
এটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এর মাধ্যমে নানা রকম ফ্রি সফটওয়্যার এক ক্লিকেই ইন্সটল করা যায়। এর মধ্যে রয়েছে ব্রাউজার থেকে শুরু করে অ্যান্টিভাইরাস ইউটিলিটি, মিডিয়া প্লেব্যাক প্রোগ্রাম পর্যন্ত সব সফটওয়্যার।
নিনাইট ৩২ এবং ৬৪ বিট উভয় সংস্করণের জন্যই পাওয়া যায়। তবে ৬৪ বিট চালানো উপযোগী আপনার উইন্ডোজটি ৬৪ বিট এ আছে কিনা সেটি চেক করে নিতে হবে। সফওয়্যারটির ওয়েবসাইটটে গিয়ে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো নির্বাচন করে দিতে হবে। এরপর ডাউনলোড করে ইন্সটল করা যাবে।
এছাড়া সফটওয়্যারের জন্য চমৎকার একটি সাইট আছে। নিচের লিংকে ক্লিক করে সফটওয়্যারটি পেতে পারেনঃ http://filehippo.com/
এখান থেকে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার খুঁজে পাবেন আশা রাখি।
এ তালিকা থেকে আপনি যে সফটওয়্যারগুলো নিয়মিত ব্যবহার করতে আগ্রহী সেগুলো নির্বাচন করে দিন। তারপর বসে থেকে উপভোগ করুন ঝামেলাবিহীন ইনস্টল প্রক্রিয়া। আপনাকে আর খুঁজে খুঁজে একটা একটা করে ইনস্টল করতে হবে না।
০৫.অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আনইনস্টলঃ-
কম্পিউটার বা ল্যাপটপের নির্মাতারা এমন অনেক সফটওয়্যার প্রি-ইন্সটল করে দেয়(আগে থেকেই পিসিতে ইন্সটল করা থাকে), সেগুলো আসলে কোন কাজেই লাগে না। এই সফটওয়্যারগুলো বিশেষ ক্ষেত্রে কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেয়। তাই স্টার্ট থেকে কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো আনইন্সটল করে দিতে হবে।
ব্যাস, প্রয়োজনীয় এই ৫ টি কাজ শেষে আপনার নতুন কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য পুরোপুরি তৈরি।