Forums.Likebd.Com

Full Version: কোন পেশার মানুষ প্রেমে প্রতারণা করে?
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
প্রতারণা, যা একটা সুন্দর সম্পর্ককে এক নিমিষেই ধ্বংস করে দিতে পারে। যে কেউই প্রতারণা করতে পারে আবার যে কেউই প্রতারণার শিকার হতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রেই প্রতারণার ঘটনা ঘটে থাকে। কারণ দিনের বেশির ভাগ সময়ই আমরা কর্মক্ষেত্রে কাটাই।
শুনলে অবাক হবেন যে, ব্যাংকার ও ব্রোকাররা ভালোবাসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রতারণা করে! নতুন একটি গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া গেছে। আর ঘরের বাইরে বেশি প্রতারণা করা সুযোগ পান পাইলট, বিমানে কর্মরত ব্যক্তি, চিকিৎসক ও সেবিকারা। ব্রিটিশ গণমাধ্যম মিররে এই গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রায় পাঁচ হাজরের ওপর নারীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে এই গবেষণা করা হয়েছে, যারা তাদের সঙ্গীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, তিনজনের মধ্যে অন্তত দুজন অবিশ্বস্ত নারী (৬৫ শতাংশ) স্বীকার করেছে যে তারা তাদের কর্মস্থলে প্রতারণা করেছে, কিন্তু ৮৫ শতাংশ নারী বলে, তারা কখনোই সহকর্মীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার বিষয়ে সুপারিশ করবে না।
সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার একটা ভালো দিকও এই গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে- তা হলো এ ধরনের সম্পর্কের কারণে কর্মস্থলে আনন্দের সঙ্গে কাজ করা যায়, এক ধরনের উত্তেজনা কাজ করে এবং অফিসের কাজ অনেক সহজ মনে হয়।
প্রতারকরা মনে করে, কর্মস্থল এমন একটি জায়গা যেখানে পছন্দের কাউকে সহজেই বেছে নেওয়া যায়, গোপন রাখা যায় এবং অফিসের বাইরেও যেতে হয় না।
তবে এই পরিসংখ্যানের ৭০ শতাংশ নারী মনে করে, কর্মস্থলে এ ধরনের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠলে সবসময় চেষ্টা করতে হয় যেন বাজেভাবে বিচ্ছেদ না ঘটে। কারণ বিচ্ছেদের পর কিন্তু সেই মানুষটির সঙ্গে একই অফিসে কাজ করতে হবে।
অন্যদিকে, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের অধিক (২১ শতাংশ) নারী বলে, যদি অফিসে কোনো ধরনের গুজব ছড়ায় তাহলে সঙ্গী খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
কিন্তু ১০ শতাংশ নারী তাদের ক্যারিয়ারের বিষয়ে বেশ সচেতন। তারা মনে করে এ ধরনের অবৈধ সম্পর্ক তাদের কর্মক্ষমতাকে নষ্ট করতে পারে এবং তাদের ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৫ হাজার ৬৫৮জন নারীর সাক্ষাৎকার নিয়ে এই গবেষণা পরিচালনা করে ভিক্টোরিয়া মিলান নামের একটি ওয়েবসাইট, যা বিবাহিত মানুষের জন্য একটি ডেটিং ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটে এসে অনেকেই প্রতারণার সুযোগ খোঁজে।
সিগার্ড ভেদাল, ভিক্টোরিয়া মিলানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী, তিনি বলেন, ‘এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায় মানুষ ক্যারিয়ারের উন্নতির থেকে জীবন উপভোগ করতে বেশি আগ্রহী।’ ভেদাল আরো বলেন, ‘এই পরিসংখ্যানে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে ক্যারিয়ারে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও কর্মস্থলের অবৈধ সম্পর্ক তাদের কাছে অনেক বেশি আনন্দের।’
ভেদাল যোগ করেন, ‘বেশির ভাগ প্রতারক অবৈধ সম্পর্কের আনন্দের সঙ্গে কাজকে গুলিয়ে ফেলে না, এটা তারা ক্যারিয়ার বাঁচানোর জন্য করে বিষয়টা সেই রকমও নয়, বরং তারা ধরা পড়ার ভয় থেকে বা অস্বস্তি থেকে রেহাই পেতেই কাজটিকে পৃথক করে রাখে।’
তো চলুন এক নজরে জেনে নেওয়া যাক, জরিপ অনুযায়ী কোন পেশাজীবী মানুষ প্রতারণা বেশি করে :
১. অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত(ব্যাংকার, ব্রোকার, বিশ্লেষক প্রভৃতি)
২. বিমানের সঙ্গে জড়িত (বিমান চালক, বিমান সেবিকা প্রভৃতি)
৩. স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত (চিকিৎসক, সেবিকা, সেবা সহকারী প্রভৃতি)
৪. ব্যবসার সঙ্গে জড়িত (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক প্রভৃতি)
৫. খেলার সঙ্গে জড়িত (ক্রীড়াবিদ, প্রশিক্ষক, প্রতিনিধি প্রভৃতি)
৬. শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত (সুরকার, মডেল, অভিনেতা-অভিনেত্রী, আলোকচিত্রী প্রভৃতি)
৭. রাতে যাদের কাজ থাকে (ডিজে, ড্যান্সার, ওয়েটার প্রভৃতি)
৮. যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত (সাংবাদিক, জনসংযোগ, সংবাদদাতা প্রভৃতি)
৯. আইনের সঙ্গে জড়িত (বিচারক, আইনজীবী প্রভৃতি)