01-19-2017, 12:13 AM
ইসলাম ধর্মে যেসব নারীদের বিয়ে করা হারাম করা
হয়েছে
ইসলাম ধর্মে প্রত্যেক নর এবং নারীর জন্য মহান রব্বুল
আলামিন বিয়েকে ফরয করেছে। জীবনের সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ এই অধ্যায়ে পা দেয়ার আগে তাই প্রত্যেক
মুসমানকেই জেনে রাখা উচিত কোন নারীদের বিয়ে
করতে আল্লাহ রব্বুল আলামিন নিষেধ করেছেন। নিচে এ
বিষয়ে কোরআনের আলোকে কিছুটা ব্যাখ্যা করা হলো-
মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনের সুরা নিসার ২২ থেকে ২৪
নম্বর আয়াতের মধ্যে এ বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে বর্ণনা
করেছেন।
(২২) ﻭَﻻَ ﺗَﻨﻜِﺤُﻮﺍْ ﻣَﺎ ﻧَﻜَﺢَ ﺁﺑَﺎﺅُﻛُﻢ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﻗَﺪْ ﺳَﻠَﻒَ ﺇِﻧَّﻪُ ﻛَﺎﻥَ ﻓَﺎﺣِﺸَﺔً
ﻭَﻣَﻘْﺘًﺎ ﻭَﺳَﺎﺀ ﺳَﺒِﻴﻼً
অর্থ : যে নারীকে তোমাদের পিতা-পিতামহ বিবাহ করেছে
তোমরা তাদের বিবাহ করো না। কিন্তু যা বিগত হয়ে গেছে।
এটা অশ্লীল, গযবের কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ।-(সুরা নিসার ২২)।
(২৩) ﺣُﺮِّﻣَﺖْ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﺃُﻣَّﻬَﺎﺗُﻜُﻢْ ﻭَﺑَﻨَﺎﺗُﻜُﻢْ ﻭَﺃَﺧَﻮَﺍﺗُﻜُﻢْ ﻭَﻋَﻤَّﺎﺗُﻜُﻢْ ﻭَﺧَﺎﻻَﺗُﻜُﻢْ ﻭَﺑَﻨَﺎﺕُ
ﺍﻷَﺥِ ﻭَﺑَﻨَﺎﺕُ ﺍﻷُﺧْﺖِ ﻭَﺃُﻣَّﻬَﺎﺗُﻜُﻢُ ﺍﻟﻼَّﺗِﻲ ﺃَﺭْﺿَﻌْﻨَﻜُﻢْ ﻭَﺃَﺧَﻮَﺍﺗُﻜُﻢ
ﻣِّﻦَ ﺍﻟﺮَّﺿَﺎﻋَﺔِ ﻭَﺃُﻣَّﻬَﺎﺕُ ﻧِﺴَﺂﺋِﻜُﻢْ ﻭَﺭَﺑَﺎﺋِﺒُﻜُﻢُ ﺍﻟﻼَّﺗِﻲ ﻓِﻲ ﺣُﺠُﻮﺭِﻛُﻢ ﻣِّﻦ ﻧِّﺴَﺂﺋِﻜُﻢُ
ﺍﻟﻼَّﺗِﻲ ﺩَﺧَﻠْﺘُﻢ ﺑِﻬِﻦَّ ﻓَﺈِﻥ ﻟَّﻢْ ﺗَﻜُﻮﻧُﻮﺍْ ﺩَﺧَﻠْﺘُﻢ ﺑِﻬِﻦَّ ﻓَﻼَ ﺟُﻨَﺎﺡَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻭَﺣَﻼَﺋِﻞُ
ﺃَﺑْﻨَﺎﺋِﻜُﻢُ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻣِﻦْ ﺃَﺻْﻼَﺑِﻜُﻢْ ﻭَﺃَﻥ ﺗَﺠْﻤَﻌُﻮﺍْ ﺑَﻴْﻦَ ﺍﻷُﺧْﺘَﻴْﻦِ ﺇَﻻَّ ﻣَﺎ ﻗَﺪْ ﺳَﻠَﻒَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ
ﻛَﺎﻥَ ﻏَﻔُﻮﺭًﺍ ﺭَّﺣِﻴﻤًﺎ
অর্থ : তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে তোমাদের
মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের
ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকণ্যা; ভগিনীকণ্যা তোমাদের
সে মাতা, যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে,
তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা,
তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা
যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে
সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন
গোনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং
দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে
গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু।-(সুরা নিসা ২৩)
(২৪) ﻭَﺍﻟْﻤُﺤْﺼَﻨَﺎﺕُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﻣَﻠَﻜَﺖْ ﺃَﻳْﻤَﺎﻧُﻜُﻢْ ﻛِﺘَﺎﺏَ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻭَﺃُﺣِﻞَّ
ﻟَﻜُﻢ ﻣَّﺎ ﻭَﺭَﺍﺀ ﺫَﻟِﻜُﻢْ ﺃَﻥ ﺗَﺒْﺘَﻐُﻮﺍْ ﺑِﺄَﻣْﻮَﺍﻟِﻜُﻢ ﻣُّﺤْﺼِﻨِﻴﻦَ ﻏَﻴْﺮَ ﻣُﺴَﺎﻓِﺤِﻴﻦَ ﻓَﻤَﺎ ﺍﺳْﺘَﻤْﺘَﻌْﺘُﻢ
ﺑِﻪِ ﻣِﻨْﻬُﻦَّ ﻓَﺂﺗُﻮﻫُﻦَّ ﺃُﺟُﻮﺭَﻫُﻦَّ ﻓَﺮِﻳﻀَﺔً ﻭَﻻَ ﺟُﻨَﺎﺡَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻓِﻴﻤَﺎ ﺗَﺮَﺍﺿَﻴْﺘُﻢ ﺑِﻪِ ﻣِﻦ ﺑَﻌْﺪِ
ﺍﻟْﻔَﺮِﻳﻀَﺔِ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﻋَﻠِﻴﻤًﺎ ﺣَﻜِﻴﻤًﺎ
অর্থ : এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা
স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের
দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য
আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব
নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা
তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ
বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর
তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার
নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি
নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ
সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ।-(সুরা নিসা ২৪)।”
হয়েছে
ইসলাম ধর্মে প্রত্যেক নর এবং নারীর জন্য মহান রব্বুল
আলামিন বিয়েকে ফরয করেছে। জীবনের সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ এই অধ্যায়ে পা দেয়ার আগে তাই প্রত্যেক
মুসমানকেই জেনে রাখা উচিত কোন নারীদের বিয়ে
করতে আল্লাহ রব্বুল আলামিন নিষেধ করেছেন। নিচে এ
বিষয়ে কোরআনের আলোকে কিছুটা ব্যাখ্যা করা হলো-
মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনের সুরা নিসার ২২ থেকে ২৪
নম্বর আয়াতের মধ্যে এ বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে বর্ণনা
করেছেন।
(২২) ﻭَﻻَ ﺗَﻨﻜِﺤُﻮﺍْ ﻣَﺎ ﻧَﻜَﺢَ ﺁﺑَﺎﺅُﻛُﻢ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﻗَﺪْ ﺳَﻠَﻒَ ﺇِﻧَّﻪُ ﻛَﺎﻥَ ﻓَﺎﺣِﺸَﺔً
ﻭَﻣَﻘْﺘًﺎ ﻭَﺳَﺎﺀ ﺳَﺒِﻴﻼً
অর্থ : যে নারীকে তোমাদের পিতা-পিতামহ বিবাহ করেছে
তোমরা তাদের বিবাহ করো না। কিন্তু যা বিগত হয়ে গেছে।
এটা অশ্লীল, গযবের কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ।-(সুরা নিসার ২২)।
(২৩) ﺣُﺮِّﻣَﺖْ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﺃُﻣَّﻬَﺎﺗُﻜُﻢْ ﻭَﺑَﻨَﺎﺗُﻜُﻢْ ﻭَﺃَﺧَﻮَﺍﺗُﻜُﻢْ ﻭَﻋَﻤَّﺎﺗُﻜُﻢْ ﻭَﺧَﺎﻻَﺗُﻜُﻢْ ﻭَﺑَﻨَﺎﺕُ
ﺍﻷَﺥِ ﻭَﺑَﻨَﺎﺕُ ﺍﻷُﺧْﺖِ ﻭَﺃُﻣَّﻬَﺎﺗُﻜُﻢُ ﺍﻟﻼَّﺗِﻲ ﺃَﺭْﺿَﻌْﻨَﻜُﻢْ ﻭَﺃَﺧَﻮَﺍﺗُﻜُﻢ
ﻣِّﻦَ ﺍﻟﺮَّﺿَﺎﻋَﺔِ ﻭَﺃُﻣَّﻬَﺎﺕُ ﻧِﺴَﺂﺋِﻜُﻢْ ﻭَﺭَﺑَﺎﺋِﺒُﻜُﻢُ ﺍﻟﻼَّﺗِﻲ ﻓِﻲ ﺣُﺠُﻮﺭِﻛُﻢ ﻣِّﻦ ﻧِّﺴَﺂﺋِﻜُﻢُ
ﺍﻟﻼَّﺗِﻲ ﺩَﺧَﻠْﺘُﻢ ﺑِﻬِﻦَّ ﻓَﺈِﻥ ﻟَّﻢْ ﺗَﻜُﻮﻧُﻮﺍْ ﺩَﺧَﻠْﺘُﻢ ﺑِﻬِﻦَّ ﻓَﻼَ ﺟُﻨَﺎﺡَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻭَﺣَﻼَﺋِﻞُ
ﺃَﺑْﻨَﺎﺋِﻜُﻢُ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻣِﻦْ ﺃَﺻْﻼَﺑِﻜُﻢْ ﻭَﺃَﻥ ﺗَﺠْﻤَﻌُﻮﺍْ ﺑَﻴْﻦَ ﺍﻷُﺧْﺘَﻴْﻦِ ﺇَﻻَّ ﻣَﺎ ﻗَﺪْ ﺳَﻠَﻒَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ
ﻛَﺎﻥَ ﻏَﻔُﻮﺭًﺍ ﺭَّﺣِﻴﻤًﺎ
অর্থ : তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে তোমাদের
মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের
ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকণ্যা; ভগিনীকণ্যা তোমাদের
সে মাতা, যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে,
তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা,
তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা
যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে
সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন
গোনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং
দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে
গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু।-(সুরা নিসা ২৩)
(২৪) ﻭَﺍﻟْﻤُﺤْﺼَﻨَﺎﺕُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﻣَﻠَﻜَﺖْ ﺃَﻳْﻤَﺎﻧُﻜُﻢْ ﻛِﺘَﺎﺏَ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻭَﺃُﺣِﻞَّ
ﻟَﻜُﻢ ﻣَّﺎ ﻭَﺭَﺍﺀ ﺫَﻟِﻜُﻢْ ﺃَﻥ ﺗَﺒْﺘَﻐُﻮﺍْ ﺑِﺄَﻣْﻮَﺍﻟِﻜُﻢ ﻣُّﺤْﺼِﻨِﻴﻦَ ﻏَﻴْﺮَ ﻣُﺴَﺎﻓِﺤِﻴﻦَ ﻓَﻤَﺎ ﺍﺳْﺘَﻤْﺘَﻌْﺘُﻢ
ﺑِﻪِ ﻣِﻨْﻬُﻦَّ ﻓَﺂﺗُﻮﻫُﻦَّ ﺃُﺟُﻮﺭَﻫُﻦَّ ﻓَﺮِﻳﻀَﺔً ﻭَﻻَ ﺟُﻨَﺎﺡَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻓِﻴﻤَﺎ ﺗَﺮَﺍﺿَﻴْﺘُﻢ ﺑِﻪِ ﻣِﻦ ﺑَﻌْﺪِ
ﺍﻟْﻔَﺮِﻳﻀَﺔِ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﻋَﻠِﻴﻤًﺎ ﺣَﻜِﻴﻤًﺎ
অর্থ : এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা
স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের
দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য
আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব
নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা
তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ
বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর
তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার
নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি
নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ
সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ।-(সুরা নিসা ২৪)।”