01-20-2017, 09:54 PM
শিরক কি ?
==================
আল্লাহ তা'আলার একত্ববাদে বিশ্বাসের নাম তাওহিদ।অর্থাৎ এই বিশ্বাস অন্তরে বদ্ধমূল রাখা যে,আল্লাহ হলেন এই সৃষ্টিজগতের একছত্র মালিক,সৃষ্টিকর্তা, প্রতিপালনকারী এবং রক্ষণাবেক্ষণ কারী।
আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, আপনি বলুন! আমার নামাজ,আমার কোরবানী এবং আমার জীবন ও মরণ বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহরই জন্য। তাঁর কোনো অংশীদার নেই,তাই আমি আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি প্রথম আনুগত্যশীল (সূরা আনআম ঃ১৬২-১৬৩)
আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো কাছে কিছু চাওয়া সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, এবং তুমি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ডেকো না,যারা তোমার লাভ ও ক্ষতি সাধন করতে পারে না।আর যদি তাই করো তাহলে তুমি অত্যচারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সূরা ইউনুস: ১০৬)
পীর-মাজারকে সিজদা করা সম্পর্কে ইরশাদ হচ্ছে, আল্লাহ ওই জাতিকে অভিশাপ দিয়েছেন, যারা তাদের নবীদের কবরকে সিজদার স্থান বানিয়েছে।
রাসূল সাঃ ও এর থেকে পানাহ চেয়ে বলেন, হে আল্লাহ! আপনি আমার কবরকে প্রতিমা বানাবেন না।
পীরের নামে কোরবানী প্রসংঙ্গে আল্লাহ বলেন, ওই সব প্রাণী যা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের উদ্দেশ্য উৎসর্গ করা হয় তা হারাম' (সূরা মায়েদা-৩)
#শিরক_কি_?
=========
শিরক জঘন্যতম অপরাধ এবং কবিরা গুনাহ। কারণ ,শিরক হচ্ছে স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির রবুবিয়াতের বৈশিষ্ট্য ও গুণের তুলনা করা। সুতারাং যারা আল্লাহর সাথে অন্যকে শরীক করল, তারা আল্লাহকে অন্যের সমান হওয়ার তুলনা করল। আর এটাই হচ্ছে বড় জুলুম।
আল্লাহ বলেন,'নিশ্চয় শিরক হচ্ছে বড় জুলুম ' (সূরা লুকমান ১৩)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় গুনাহ সম্পর্কে সংবাদ দেবো না? আমরা (সাহাবিগণ) বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! অবশ্যই বলেদিন। তিনি বললেন, আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা এবং পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া ' (বুখারি ও মুসলিম)
যে ব্যক্তি শিরক থেকে তাওবা করবে না, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরিক করার অপরাধ ক্ষমা করেন না,তা ব্যতীত অন্য যে কোনো অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন' (সূরা নিসা:৪৮)
আল্লাহ অন্যত্র বলেন, যে ব্যক্তি তাঁর(আল্লাহর) সাথে শিরক করবে, তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিবেন এবং সে চিরস্থায়ী জাহান্নামে অবস্থান করবে' (সূরা মায়েদা:৭২)
শিরক সব প্রকার নেক আমল নষ্ট করে দেয়। আল্লাহ বলেন, যদি তারা শিরক করতো, তাদের কাজকর্ম নষ্ট হয়ে যেতো '(সূরা আনআম:৯৯)
কিন্তু আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের শিরকি কর্মকান্ড সংঘটিত হয়,তার মধ্যে উল্লেকযোগ্য হলো পীর পূজা, মাজার পূজা। মাজারে গিয়ে কবরবাসীর কাছে কিছু কামনা করা। কবরবাসী কিংবা জীবত কোনো পীরের উদ্দেশ্য সিজদা করা। তাদের নামে জিকির করা। মৃতব্যক্তির কবরে শুয়ে মানুষের জীবনের বিভিন্ন দিক এবং ইহজগতের বিষয়াদি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন বলে বিশ্বাস করা। কবরবাসীর নামে মানত করা। জীবিত পীর বা মাজারের নামে কোরবানি করা। কোন পীর,ফকির,দরবেশকে বিপদ প্রতিহত করতে সক্ষম কিংবা কোনো কল্যাণ এনে দিতে সক্ষম বলে মনে করা। তাদের আল্লাহর রহমত বন্টনের অধিকারী মনে করা, ইত্যাদি। শিরিকি কর্মকান্ড। ঈমান বাঁচাতে হলে এসব কাজ থেকে অনেক দূরে থাকতে হবে। এ গুলো এমন পর্যায়ের শিরক যা একজন মুমিনকে মুসলমানকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়। তাওবা না করে মারা গেলে চিরস্থায়ী জাহান্নামে অবস্থান করতে হবে। বর্তমানে দেশে অনেক পীরের (ভন্ডপীরের)জন্ম হয়েছে। তারা মানুষের সিজদা গ্রহণ করছে। সরলতার সুযোগে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ঈমান-আকিদা নষ্ট করছে। পীর-মুরিদির নাামে জমজমাট ব্যবসা খুলে বসেছে।শুধু তাই নয়, পীর-ফকিরদের নামে এখানে সেখানে মাজার স্থাপন করা হয়। গায়েবি মাজারও পাওয়া যায়। এসব বাস-ট্রাক চলাচলের রাস্তার পাশেই স্থাপিত হয়। এখনো পর্যন্ত রেল লাইনের আশে-পাশে মাজার স্থাপনের বা গজানোর খবর পাওয়া যায়নি। ।কারণ ট্রেন থামিয়ে ব্যবসা করা যাবে না। এসব জায়গাই মানুষ যায় ঈমান নিয়ে,আর ফিরে আসে ঈমান দিয়ে। মুশরিক হয়ে যায়। এ ব্যপারে সবাইকে ঈমানি দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
ইসলামের শরীয়তের কোন বিষয় কে ঘৃনা করা বা এড়িয়ে চলাও শিরক।
যেমন: দাড়ি ওয়লা ব্যাক্তি কে পছন্দ হলো না, টাকনোর নিচে পেন্ট বা পায়জামা পরলে অন্য সবাই কি বলবে, ইসলাম বিরোধি বা অমুসলিম বিষয়/ব্যাক্তিদের পছন্দ করা ইত্যাদি।
আল্লাহ আমাদের যথাযথ ঈমান দান করুক শিরক এর মত বমহা পাপ থেকে বিরত থাকার তৌফিক দান করুক, আমিন।
==================
আল্লাহ তা'আলার একত্ববাদে বিশ্বাসের নাম তাওহিদ।অর্থাৎ এই বিশ্বাস অন্তরে বদ্ধমূল রাখা যে,আল্লাহ হলেন এই সৃষ্টিজগতের একছত্র মালিক,সৃষ্টিকর্তা, প্রতিপালনকারী এবং রক্ষণাবেক্ষণ কারী।
আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, আপনি বলুন! আমার নামাজ,আমার কোরবানী এবং আমার জীবন ও মরণ বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহরই জন্য। তাঁর কোনো অংশীদার নেই,তাই আমি আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি প্রথম আনুগত্যশীল (সূরা আনআম ঃ১৬২-১৬৩)
আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো কাছে কিছু চাওয়া সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, এবং তুমি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ডেকো না,যারা তোমার লাভ ও ক্ষতি সাধন করতে পারে না।আর যদি তাই করো তাহলে তুমি অত্যচারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সূরা ইউনুস: ১০৬)
পীর-মাজারকে সিজদা করা সম্পর্কে ইরশাদ হচ্ছে, আল্লাহ ওই জাতিকে অভিশাপ দিয়েছেন, যারা তাদের নবীদের কবরকে সিজদার স্থান বানিয়েছে।
রাসূল সাঃ ও এর থেকে পানাহ চেয়ে বলেন, হে আল্লাহ! আপনি আমার কবরকে প্রতিমা বানাবেন না।
পীরের নামে কোরবানী প্রসংঙ্গে আল্লাহ বলেন, ওই সব প্রাণী যা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের উদ্দেশ্য উৎসর্গ করা হয় তা হারাম' (সূরা মায়েদা-৩)
#শিরক_কি_?
=========
শিরক জঘন্যতম অপরাধ এবং কবিরা গুনাহ। কারণ ,শিরক হচ্ছে স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির রবুবিয়াতের বৈশিষ্ট্য ও গুণের তুলনা করা। সুতারাং যারা আল্লাহর সাথে অন্যকে শরীক করল, তারা আল্লাহকে অন্যের সমান হওয়ার তুলনা করল। আর এটাই হচ্ছে বড় জুলুম।
আল্লাহ বলেন,'নিশ্চয় শিরক হচ্ছে বড় জুলুম ' (সূরা লুকমান ১৩)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় গুনাহ সম্পর্কে সংবাদ দেবো না? আমরা (সাহাবিগণ) বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! অবশ্যই বলেদিন। তিনি বললেন, আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা এবং পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া ' (বুখারি ও মুসলিম)
যে ব্যক্তি শিরক থেকে তাওবা করবে না, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরিক করার অপরাধ ক্ষমা করেন না,তা ব্যতীত অন্য যে কোনো অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন' (সূরা নিসা:৪৮)
আল্লাহ অন্যত্র বলেন, যে ব্যক্তি তাঁর(আল্লাহর) সাথে শিরক করবে, তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিবেন এবং সে চিরস্থায়ী জাহান্নামে অবস্থান করবে' (সূরা মায়েদা:৭২)
শিরক সব প্রকার নেক আমল নষ্ট করে দেয়। আল্লাহ বলেন, যদি তারা শিরক করতো, তাদের কাজকর্ম নষ্ট হয়ে যেতো '(সূরা আনআম:৯৯)
কিন্তু আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের শিরকি কর্মকান্ড সংঘটিত হয়,তার মধ্যে উল্লেকযোগ্য হলো পীর পূজা, মাজার পূজা। মাজারে গিয়ে কবরবাসীর কাছে কিছু কামনা করা। কবরবাসী কিংবা জীবত কোনো পীরের উদ্দেশ্য সিজদা করা। তাদের নামে জিকির করা। মৃতব্যক্তির কবরে শুয়ে মানুষের জীবনের বিভিন্ন দিক এবং ইহজগতের বিষয়াদি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন বলে বিশ্বাস করা। কবরবাসীর নামে মানত করা। জীবিত পীর বা মাজারের নামে কোরবানি করা। কোন পীর,ফকির,দরবেশকে বিপদ প্রতিহত করতে সক্ষম কিংবা কোনো কল্যাণ এনে দিতে সক্ষম বলে মনে করা। তাদের আল্লাহর রহমত বন্টনের অধিকারী মনে করা, ইত্যাদি। শিরিকি কর্মকান্ড। ঈমান বাঁচাতে হলে এসব কাজ থেকে অনেক দূরে থাকতে হবে। এ গুলো এমন পর্যায়ের শিরক যা একজন মুমিনকে মুসলমানকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়। তাওবা না করে মারা গেলে চিরস্থায়ী জাহান্নামে অবস্থান করতে হবে। বর্তমানে দেশে অনেক পীরের (ভন্ডপীরের)জন্ম হয়েছে। তারা মানুষের সিজদা গ্রহণ করছে। সরলতার সুযোগে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ঈমান-আকিদা নষ্ট করছে। পীর-মুরিদির নাামে জমজমাট ব্যবসা খুলে বসেছে।শুধু তাই নয়, পীর-ফকিরদের নামে এখানে সেখানে মাজার স্থাপন করা হয়। গায়েবি মাজারও পাওয়া যায়। এসব বাস-ট্রাক চলাচলের রাস্তার পাশেই স্থাপিত হয়। এখনো পর্যন্ত রেল লাইনের আশে-পাশে মাজার স্থাপনের বা গজানোর খবর পাওয়া যায়নি। ।কারণ ট্রেন থামিয়ে ব্যবসা করা যাবে না। এসব জায়গাই মানুষ যায় ঈমান নিয়ে,আর ফিরে আসে ঈমান দিয়ে। মুশরিক হয়ে যায়। এ ব্যপারে সবাইকে ঈমানি দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
ইসলামের শরীয়তের কোন বিষয় কে ঘৃনা করা বা এড়িয়ে চলাও শিরক।
যেমন: দাড়ি ওয়লা ব্যাক্তি কে পছন্দ হলো না, টাকনোর নিচে পেন্ট বা পায়জামা পরলে অন্য সবাই কি বলবে, ইসলাম বিরোধি বা অমুসলিম বিষয়/ব্যাক্তিদের পছন্দ করা ইত্যাদি।
আল্লাহ আমাদের যথাযথ ঈমান দান করুক শিরক এর মত বমহা পাপ থেকে বিরত থাকার তৌফিক দান করুক, আমিন।