01-15-2017, 10:41 PM
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিয়ের জন্য কন্যাসন্তান সম্পন্না বিধবা কিংবা বিবাহবিচ্ছিন্নাদের কদর বেশি। গ্রামের নাম দেঙ্গানমল। অবস্থান ভারতের মহারাষ্ট্রে। মুম্বাই থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরত্বে।
এই গ্রামের অধিকাংশ পুরুষই কমবেশি তিনজন স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করেন। না, নিছক ভোগলালসা মেটানোর জন্য বহুবিবাহের পথ তাঁরা বেছে নেন না। বরং একাধিক বিয়ে করার একমাত্র কারণ হচ্ছে পরিবারে জল আনার লোকের সংখ্যা বাড়ানো।
দেঙ্গানমল এমন একটি গ্রাম যেখানে প্রবল জলকষ্ট। প্রত্যন্ত এই গ্রামের জলের একমাত্র উৎস কয়েকটি কুয়ো। সেই সমস্ত কুয়া গ্রীষ্মে শুকিয়ে যায়। তখন দূরবর্তী কুয়া বা নদী থেকে জল বয়ে আনা ছাড়া উপায় থাকে না।
গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, গ্রীষ্মকালে জল বয়ে আনার জন্যে যাতায়ত মিলিয়ে প্রায় ১২ ঘণ্টা হাঁটতে হয়। মহিলারাই এই জল আনার জন্য কাজ করে থাকেন। প্রতিবার ১৫ লিটারের দুটি কলস বয়ে আনেন মহিলারা। এমতাবস্থায় এই গ্রামের পুরুষরা বুঝে গিয়েছেন, বহুবিবাহই জল সমস্যা মেটানোর সহজতম রাস্তা। বাড়িতে বউয়ের সংখ্যা যত বাড়বে, তত বাড়বে জল আনার হাত ও কলসের সংখ্যা।
কাজেই অনেকেই দু’টি কিংবা তিনটি স্ত্রী নিয়ে ঘর করছেন দেঙ্গানমলে। ঘরের বউদের এই গুরুত্বের সুবাদে গ্রামে বিশেষ সম্মান পান বিবাহিতা মহিলারাও। বিয়ের জন্য কন্যাসন্তান সম্পন্না বিধবা বা বিবাহবিচ্ছিন্নাদের কদর বেশি। কারণ ঘরে কন্যাসন্তান আসা মানে ঘরের কাজকর্ম সামলাতে পারবে সেই মেয়ে। বহুবিবাহ যে সমস্যার সমাধান নয়, তা মানছেন গ্রামবাসীরাও।
তাঁদের বক্তব্য, প্রশাসনের কাছে বহু আবেদন-নিবেদন করেছেন তাঁরা এই বিষয়ে। কিন্তু সরকার তাদের প্রতি উদাসীন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
Hello World!:
- tes
- Hello Friends . Welcome Back
এই গ্রামের অধিকাংশ পুরুষই কমবেশি তিনজন স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করেন। না, নিছক ভোগলালসা মেটানোর জন্য বহুবিবাহের পথ তাঁরা বেছে নেন না। বরং একাধিক বিয়ে করার একমাত্র কারণ হচ্ছে পরিবারে জল আনার লোকের সংখ্যা বাড়ানো।
দেঙ্গানমল এমন একটি গ্রাম যেখানে প্রবল জলকষ্ট। প্রত্যন্ত এই গ্রামের জলের একমাত্র উৎস কয়েকটি কুয়ো। সেই সমস্ত কুয়া গ্রীষ্মে শুকিয়ে যায়। তখন দূরবর্তী কুয়া বা নদী থেকে জল বয়ে আনা ছাড়া উপায় থাকে না।
গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, গ্রীষ্মকালে জল বয়ে আনার জন্যে যাতায়ত মিলিয়ে প্রায় ১২ ঘণ্টা হাঁটতে হয়। মহিলারাই এই জল আনার জন্য কাজ করে থাকেন। প্রতিবার ১৫ লিটারের দুটি কলস বয়ে আনেন মহিলারা। এমতাবস্থায় এই গ্রামের পুরুষরা বুঝে গিয়েছেন, বহুবিবাহই জল সমস্যা মেটানোর সহজতম রাস্তা। বাড়িতে বউয়ের সংখ্যা যত বাড়বে, তত বাড়বে জল আনার হাত ও কলসের সংখ্যা।
কাজেই অনেকেই দু’টি কিংবা তিনটি স্ত্রী নিয়ে ঘর করছেন দেঙ্গানমলে। ঘরের বউদের এই গুরুত্বের সুবাদে গ্রামে বিশেষ সম্মান পান বিবাহিতা মহিলারাও। বিয়ের জন্য কন্যাসন্তান সম্পন্না বিধবা বা বিবাহবিচ্ছিন্নাদের কদর বেশি। কারণ ঘরে কন্যাসন্তান আসা মানে ঘরের কাজকর্ম সামলাতে পারবে সেই মেয়ে। বহুবিবাহ যে সমস্যার সমাধান নয়, তা মানছেন গ্রামবাসীরাও।
তাঁদের বক্তব্য, প্রশাসনের কাছে বহু আবেদন-নিবেদন করেছেন তাঁরা এই বিষয়ে। কিন্তু সরকার তাদের প্রতি উদাসীন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
Hello World!:
- tes
- Hello Friends . Welcome Back
Hasan