Forums.Likebd.Com

Full Version: ২০২০ সালের মধ্যে শক্তিশালী পুঁজিবাজার হবে দেশে : অর্থমন্ত্রী
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
২০২০ সালের মধ্যে দেশে একটি শক্তিশালী পুঁজিবার সৃষ্টি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, ‘আরো কিছু পরিবর্তন আমরা করতে পারলে এই দশকেই দেশের অর্থনীতিতে অনেকগুলো নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। আমি বিশ্বাস করি, ২০২০ সালের মধ্যে আমাদের এখানে একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার সৃষ্টি হবে; যেখান থেকে আমরা আরো বেশি বিনিয়োগ আহরণ করতে পারব। ’

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ‘গত ২০ বছর ধরে কখনো আমাদের দেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের নিচে ছিল না। এ রকম রেকর্ড খুব কম দেশেরই আছে। ’ গতকাল রবিবার রাজধানীর ধানমণ্ডির মাইডাস সেন্টারে মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিডেটের সহযোগী প্রতিষ্ঠান (মার্চেন্ট ব্যাংক) মাইডাস ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেননি। এই শব্দটির আবিষ্কারক ছিলেন দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি সেক্রেটারি অ্যালেক্সিস জনসন। জনসন কিসিঞ্জারকে বলেছিলেন যে বাংলাদেশ যেভাবে আবির্ভূত হচ্ছে, তাতে মনে হয় এটা একটি ‘বাস্কেট কেস’ হবে। তখন কিসিঞ্জার বলেছিলেন যে এটা ‘বাস্কেট কেস’ হোক আর যাই হোক, আমাদের ‘বাস্কেট কেস’ হবে না। উক্তিটি যথাযথ ছিল। বাংলাদেশ কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের ‘বাস্কেট কেস’ হয়নি। কিন্তু কিছু অসুবিধা ছিল, যা বাংলাদেশ উতরে গেছে। এই উত্তরণে যুক্তরাষ্ট্র কখনোই নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিল না। দাতা হিসেবে তারা যথেষ্ট অবদান রেখেছে। ”

পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে খাদ্য সহায়তা দিয়ে এসেছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ছিল সত্যিকার অর্থেই ‘গডফাদার’। আমি পাকিস্তানে যত দিন ছিলাম তত দিন পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যতটুকু সম্পর্ক দেখেছি তার অর্ধেকটাও যখন বাংলাদেশে ছিলাম তখন ছিল না। পাকিস্তানে খাদ্য সমস্যা ছিল প্রায় এক দশক ধরে। পূর্ব-পশ্চিম (পকিস্তান) সর্বত্র। ১৯৪৯ থেকে ১৯৬৭ পর্যন্ত পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের ‘বাস্কেট কেস’ ছিল। বাংলাদেশে এটা কখনোই হয়নি। আমাদের খাদ্য সমস্যা ছিল, আমরা এক কোটি ১০ লাখ টন খাদ্যশস্য উত্পাদন করতাম। তখন চাহিদা ছিল আরো ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি। এখন আমরা তিন কোটি ৮০ লাখ টন খাদ্যশস্য উত্পাদন করি। যদিও আমাদের চাষাবাদের জমি অনেক কমে গেছে। ”

অনুষ্ঠানে মাইডাস ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান রোকেয়া আফজাল রহমান বলেন, ‘এসএমই ও নারী উদ্যোক্তাদের বেশি ঋণ দেয় মাইডাস ফাইন্যান্সিং। এদের ঋণ পরিশোধের হারও ভালো। ছোট প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিলে ঋণ ঝুঁকি কম থাকে। সেই তুলনায় বড় প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিলে খেলাপিসংক্রান্ত ঝুঁকি বেশি থাকে। ’

মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিক-উল-আজম বলেন, বর্তমানে মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেডের চার হাজার ৫০০ জন ঋণগ্রহীতা রয়েছে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশই ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতা এবং ১৫ শতাংশই নারী উদ্যোক্তা। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে গত ১৬ বছরে মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেড ২৬ হাজার উদ্যোক্তাকে প্রায় দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। আর্থিক বাজারে অবদান রাখার পাশাপাশি পুঁজিবাজারে অবদান রাখতে মাইডাস ফ্যাইন্যান্সিং লিমিটেড এখন মার্চেন্ট ব্যাংক হিসেবে মাইডাস ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড চালু করল।

অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন মাইডাস ইনভেস্টমেন্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুর রহমান।