02-04-2017, 05:26 PM
আমরা সবাই নিজেদরকে একটু আলাদা বা স্মার্টভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করি। নিজেদের স্মার্টভাবে উপস্থাপনের জন্য কিছু কিছু ব্যবহার মার্জিতভাবে করা উচিত। অনেক সময় মুখ ফস্কে নানা কথা বের হয়ে যায় কারণ আমরা সেসব কথা বাস্তবে কী অর্থ বহন করে তা না জেনেই বলে ফেলি।
কোনো কথা বাস্তবে কী অর্থ বহন করে তা বুঝার জন্য সামাজিক সচেতনতার দরকার হয়। অর্থাৎ অন্যদের আবেগ এবং অভিজ্ঞতা হৃদয়ঙ্গম করার সক্ষমতা দরকার হয়। সামাজিক সচেতনতা এমন একটি দক্ষতা যা আমাদের অনেকেরই নেই। এই দক্ষতায় ঘাটতি দেখা দেয় কারণ পরে কী বলব তার ওপরই আমরা পুরোপুরি মনোযোগ নিবদ্ধ রাখি। আর অন্য লোকরা যেভাবে কথা বলে তাও আমাদেরকে প্রভাবিত করে। ফলে আমরা অন্য লোকদের অস্তিত্ব বেমালুম ভুলে যাই। আপনি কাউকে বুঝবেন না যতক্ষণ না আপনি আপনার পুরো মনোযোগ তার ওপর নিবদ্ধ করছেন।
সামাজিক সচেতনতার সৌন্দর্য হলো আপনি যা বলেন তার সঙ্গে কয়েকটি সহজ সমন্বয় অন্যদের সঙ্গে আপনার সম্পর্কের বিশাল উন্নতি ঘটাতে পারে। আর এই পরিপ্রেক্ষিতেই এমন কিছু কথা আছে যা আবেগগতভাবে বুদ্ধিমান লোকেরা সচরাচর কথপোকথনে এড়িয়ে চলেন।
আপনাকে দেখতে ক্লান্ত লাগছে :
ক্লান্ত লোকরা অবিশ্বাস্যরকম ভাবে আবেদনহীন। তাদের চোখগুলো গর্তে ঢুকে থাকে। চুলগুলো থাকে এলোমেলো। মনোযোগ থাকে বিক্ষিপ্ত। আর মেজাজ হয়ে থাকে খিটখিটে। সুতরাং কাউকে ক্লান্ত লাগছে বলার মানে হলো তার মধ্যে এই সমস্যাগুলো আছে বলা।
এর পরিবর্তে বরং বলুন, “সবকিছু কি ঠিক আছে”?
কাউকে ক্লান্ত লাগলে লোকে তাকে একথা জিজ্ঞেস করেন কারণ তারা তার প্রতি সহযোগিতামূলক হতে চান। কারো অবস্থা অনুমান করে মন্তব্য করার চেয়ে বরং তাকে জিজ্ঞেস করুন। আর এতেই সে মুখ খুলবে এবং নিজের অবস্থা নিয়ে কথা বলবে। আর এর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো এতেই সে আপনাকে অশিষ্ট না ভেবে বরং তাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে মনে করবে।
‘আপনি সবসময়ই…’ বা ‘আপনি কখনোই না…’ :
কেউই সবসময় বা কখনোই কোনো কাজ 'না' করেন না। লোকে নিজেদেরকে সবসময় একমাত্রিক হিসেবে দেখেন না। সুতরাং আপনারও উচিত নয় তাদেরকে সেভাবে সংজ্ঞায়িত করা। এভাবে কাউকে সংজ্ঞায়িত করলে তারা মনে কষ্ট পান।
বরং, অপরে কী এমন করল যা আপনার জন্য সমস্যা তা তুলে ধরুন। বাস্তব ঘটনার ওপর লেগে থাকুন। বলুন, “আমার মনে হচ্ছে যে আপনি প্রায়ই এমনটা করেন”। অথবা, “আপনি এই কাজটি এমন যথেষ্ট পরিমাণে প্রায়ই করেন যা আমার নজরে পড়ার জন্য যথেষ্ট”।
‘আমি আগে যেমনটা বলেছি…’ :
এ কথাটি বললে মনে হবে যেন আপনি নিজেকে পুনর্ব্যক্ত ব্যক্ত করতে গিয়ে অপমানিত বোধ করছেন। যা শ্রোতার জন্য কঠোর হতে পারে। নিজেকে পুনর্ব্যক্ত করতে গিয়ে অপমানিত বোধ করার মানে হতে পারে যে, হয় আপনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বা আপনি নিজেকে অন্য আর সবার চেয়ে উত্তম ভাবেন।
এর পরিবর্তে বরং আপনাকে যখন কোনো বিষয়ে দ্বিতীয়বার কথা বলতে হবে তখন বিষয়টি আরো পরিষ্কার করে এবং কৌতুহলোদ্দীপকভাবে বলার চেষ্টা করুন। এতে সকলেই আপনি কী বলছেন তা শুনবেন।
‘গুডলাক’ :
আপনি যদি কারো জন্য সৌভাগ্য কামনা করেন তাহলে এমন নয় যে দুনিয়াটা সেখানেই থেমে যায়। কিন্তু আপনি এছাড়াও ভালো কোনো কথা বলতে পারেন। কারণ এই কথাটি দিয়ে অনেক সময় এমনটা বুঝায় যে, সফল হওয়ার জন্য বুঝি তাদের ভাগ্যের দরকার।
এর পরিবর্তে বরং বলুন, “আমি জানি এর জন্য যা দরকার তা আপনার আছে”। কারো জন্য সৌভাগ্য কামনা করার চেয়ে বরং সফল হওয়ার জন্য তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতাটি আছে বললে তার আত্মবিশ্বাস আরো বেড়ে যায়। এভাবে তার সৌভাগ্য কামনা করলে অবশ্যই আপনি আর সবার থেকে ব্যতিক্রম হবেন তার চোখে।
‘এটা আপনার ব্যাপার’ বা ‘আপনার যা ইচ্ছা হয়’ :
আপনি হয়তো কারো প্রশ্নের ব্যাপারে উদাসীন হলেও তার কাছে আপনার মতামতটি গুরুত্বপূর্ণ। আর নয়তো তিনি আপনাকেই সবার আগে প্রশ্নটি করতেন না।
তাই উদাসীন না থেকে বলুন, “এ ব্যাপারে আমার তেমন কোনো দৃঢ় মতামত নেই, তবে এই বিষয়গুলো আপনি বিবেচনা করে দেখতে পারেন…”
‘ওজন কমায়, অনেক ভালো লাগছে’ :
কাউকে তার ওজন কমার কারণে ভালো লাগার কথা বলার মানে হলো আগে তাকে দেখতে মোটা লাগতো বা ভালো লাগতো না।
এর পরিবর্তে বলুন, “আপনাকে দেখতে অসাধারণ লাগছে”। এতে আর তাকে আগে দেখতে কেমন লাগতো তা বলা হবে না।
‘তার জন্য আপনি অনেক বেশি যোগ্য ছিলেন’ :
এর মানে হলো আপনি আগে বাজে পছন্দ করেছিলেন বা আপনার পছন্দ করার ক্ষমতা ভালো না।
এর পরিবর্তে বলুন, “তিনি আপনাকে হারিয়ে বেশ ক্ষতির শিকারই হলেন”।
‘আচ্ছা, আমি অন্তত কখনোই না…’ :
অপরজনের কোনো পুরোনো এবং অপ্রাসঙ্গিক ভুলের প্রতি ইঙ্গিত করে নিজের ভুল থেকে মনোযোগ সরানোর আগ্রাসী উপায় হলো এই কথা বলা। অথচ তার সেই ভুলটি আপনার ইতিমধ্যেই ক্ষমা করে দেয়ার কথা ছিল।
এর পরিবর্তে বলুন, “আমি দুঃখিত”। নিজের ভুল স্বীকার করে নেওয়ার মাধ্যমেই শুধু আপনি আরো যৌক্তিক এবং শান্তভাবে আলোচনা শুরু করতে পারেন। যাতে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। দোষ স্বীকার করাটা বিতর্ক এড়ানোর বিস্ময়করভাবে কার্যকর উপায়। সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
কোনো কথা বাস্তবে কী অর্থ বহন করে তা বুঝার জন্য সামাজিক সচেতনতার দরকার হয়। অর্থাৎ অন্যদের আবেগ এবং অভিজ্ঞতা হৃদয়ঙ্গম করার সক্ষমতা দরকার হয়। সামাজিক সচেতনতা এমন একটি দক্ষতা যা আমাদের অনেকেরই নেই। এই দক্ষতায় ঘাটতি দেখা দেয় কারণ পরে কী বলব তার ওপরই আমরা পুরোপুরি মনোযোগ নিবদ্ধ রাখি। আর অন্য লোকরা যেভাবে কথা বলে তাও আমাদেরকে প্রভাবিত করে। ফলে আমরা অন্য লোকদের অস্তিত্ব বেমালুম ভুলে যাই। আপনি কাউকে বুঝবেন না যতক্ষণ না আপনি আপনার পুরো মনোযোগ তার ওপর নিবদ্ধ করছেন।
সামাজিক সচেতনতার সৌন্দর্য হলো আপনি যা বলেন তার সঙ্গে কয়েকটি সহজ সমন্বয় অন্যদের সঙ্গে আপনার সম্পর্কের বিশাল উন্নতি ঘটাতে পারে। আর এই পরিপ্রেক্ষিতেই এমন কিছু কথা আছে যা আবেগগতভাবে বুদ্ধিমান লোকেরা সচরাচর কথপোকথনে এড়িয়ে চলেন।
আপনাকে দেখতে ক্লান্ত লাগছে :
ক্লান্ত লোকরা অবিশ্বাস্যরকম ভাবে আবেদনহীন। তাদের চোখগুলো গর্তে ঢুকে থাকে। চুলগুলো থাকে এলোমেলো। মনোযোগ থাকে বিক্ষিপ্ত। আর মেজাজ হয়ে থাকে খিটখিটে। সুতরাং কাউকে ক্লান্ত লাগছে বলার মানে হলো তার মধ্যে এই সমস্যাগুলো আছে বলা।
এর পরিবর্তে বরং বলুন, “সবকিছু কি ঠিক আছে”?
কাউকে ক্লান্ত লাগলে লোকে তাকে একথা জিজ্ঞেস করেন কারণ তারা তার প্রতি সহযোগিতামূলক হতে চান। কারো অবস্থা অনুমান করে মন্তব্য করার চেয়ে বরং তাকে জিজ্ঞেস করুন। আর এতেই সে মুখ খুলবে এবং নিজের অবস্থা নিয়ে কথা বলবে। আর এর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো এতেই সে আপনাকে অশিষ্ট না ভেবে বরং তাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে মনে করবে।
‘আপনি সবসময়ই…’ বা ‘আপনি কখনোই না…’ :
কেউই সবসময় বা কখনোই কোনো কাজ 'না' করেন না। লোকে নিজেদেরকে সবসময় একমাত্রিক হিসেবে দেখেন না। সুতরাং আপনারও উচিত নয় তাদেরকে সেভাবে সংজ্ঞায়িত করা। এভাবে কাউকে সংজ্ঞায়িত করলে তারা মনে কষ্ট পান।
বরং, অপরে কী এমন করল যা আপনার জন্য সমস্যা তা তুলে ধরুন। বাস্তব ঘটনার ওপর লেগে থাকুন। বলুন, “আমার মনে হচ্ছে যে আপনি প্রায়ই এমনটা করেন”। অথবা, “আপনি এই কাজটি এমন যথেষ্ট পরিমাণে প্রায়ই করেন যা আমার নজরে পড়ার জন্য যথেষ্ট”।
‘আমি আগে যেমনটা বলেছি…’ :
এ কথাটি বললে মনে হবে যেন আপনি নিজেকে পুনর্ব্যক্ত ব্যক্ত করতে গিয়ে অপমানিত বোধ করছেন। যা শ্রোতার জন্য কঠোর হতে পারে। নিজেকে পুনর্ব্যক্ত করতে গিয়ে অপমানিত বোধ করার মানে হতে পারে যে, হয় আপনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বা আপনি নিজেকে অন্য আর সবার চেয়ে উত্তম ভাবেন।
এর পরিবর্তে বরং আপনাকে যখন কোনো বিষয়ে দ্বিতীয়বার কথা বলতে হবে তখন বিষয়টি আরো পরিষ্কার করে এবং কৌতুহলোদ্দীপকভাবে বলার চেষ্টা করুন। এতে সকলেই আপনি কী বলছেন তা শুনবেন।
‘গুডলাক’ :
আপনি যদি কারো জন্য সৌভাগ্য কামনা করেন তাহলে এমন নয় যে দুনিয়াটা সেখানেই থেমে যায়। কিন্তু আপনি এছাড়াও ভালো কোনো কথা বলতে পারেন। কারণ এই কথাটি দিয়ে অনেক সময় এমনটা বুঝায় যে, সফল হওয়ার জন্য বুঝি তাদের ভাগ্যের দরকার।
এর পরিবর্তে বরং বলুন, “আমি জানি এর জন্য যা দরকার তা আপনার আছে”। কারো জন্য সৌভাগ্য কামনা করার চেয়ে বরং সফল হওয়ার জন্য তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতাটি আছে বললে তার আত্মবিশ্বাস আরো বেড়ে যায়। এভাবে তার সৌভাগ্য কামনা করলে অবশ্যই আপনি আর সবার থেকে ব্যতিক্রম হবেন তার চোখে।
‘এটা আপনার ব্যাপার’ বা ‘আপনার যা ইচ্ছা হয়’ :
আপনি হয়তো কারো প্রশ্নের ব্যাপারে উদাসীন হলেও তার কাছে আপনার মতামতটি গুরুত্বপূর্ণ। আর নয়তো তিনি আপনাকেই সবার আগে প্রশ্নটি করতেন না।
তাই উদাসীন না থেকে বলুন, “এ ব্যাপারে আমার তেমন কোনো দৃঢ় মতামত নেই, তবে এই বিষয়গুলো আপনি বিবেচনা করে দেখতে পারেন…”
‘ওজন কমায়, অনেক ভালো লাগছে’ :
কাউকে তার ওজন কমার কারণে ভালো লাগার কথা বলার মানে হলো আগে তাকে দেখতে মোটা লাগতো বা ভালো লাগতো না।
এর পরিবর্তে বলুন, “আপনাকে দেখতে অসাধারণ লাগছে”। এতে আর তাকে আগে দেখতে কেমন লাগতো তা বলা হবে না।
‘তার জন্য আপনি অনেক বেশি যোগ্য ছিলেন’ :
এর মানে হলো আপনি আগে বাজে পছন্দ করেছিলেন বা আপনার পছন্দ করার ক্ষমতা ভালো না।
এর পরিবর্তে বলুন, “তিনি আপনাকে হারিয়ে বেশ ক্ষতির শিকারই হলেন”।
‘আচ্ছা, আমি অন্তত কখনোই না…’ :
অপরজনের কোনো পুরোনো এবং অপ্রাসঙ্গিক ভুলের প্রতি ইঙ্গিত করে নিজের ভুল থেকে মনোযোগ সরানোর আগ্রাসী উপায় হলো এই কথা বলা। অথচ তার সেই ভুলটি আপনার ইতিমধ্যেই ক্ষমা করে দেয়ার কথা ছিল।
এর পরিবর্তে বলুন, “আমি দুঃখিত”। নিজের ভুল স্বীকার করে নেওয়ার মাধ্যমেই শুধু আপনি আরো যৌক্তিক এবং শান্তভাবে আলোচনা শুরু করতে পারেন। যাতে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। দোষ স্বীকার করাটা বিতর্ক এড়ানোর বিস্ময়করভাবে কার্যকর উপায়। সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার