Forums.Likebd.Com

Full Version: সাবধান : সকালের ৫ বদভ্যাসে বৃদ্ধি পায় দেহের ওজন
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
দেহের ওজন বৃদ্ধি অনেকের জন্যই বড় সমস্যা। আর এ সমস্যার কারণ হতে পারে সকালের কিছু বদভ্যাস। সময় থাকতে আপনি যদি এ সমস্যাগুলো ধরতে পারেন এবং সঠিকভাবে সমাধান করতে পারেন তাহলে দেহের ওজন কমাতে সহায়ক হবে এ অভ্যাস। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ব্রাইট সাইড।

১. কম বা অতিরিক্ত ঘুম
আপনার যদি রাতে অতিরিক্ত ঘুমানোর অভ্যাস থাকে তাহলে তা দেহের ওজন বৃদ্ধি করতে পারে। আবার ঘুম যদি খুব কম হয় তাহলেও দেহের ওজন বৃদ্ধি পায়। এর মূল কারণ হলো উভয় অভ্যাসেই হরমোনের তারতম্য হয় এবং ক্ষুধা বৃদ্ধি করে। এ কারণে দেহের সঠিক ওজন বজায় রাখার জন্য জন্য সঠিক মাত্রায় ঘুম প্রয়োজন।

২. অন্ধকারেই প্রস্তুতি
ঘুম থেকে ওঠার পর আপনি কি ঘর অন্ধকার থাকতেই রেডি হন? এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন সকালে আপনার ঘর অন্ধকার রাখা উচিত নয়। এজন্য ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে জানালা-দরজা খুলে দিন এবং পর্দা সরিয়ে দিয়ে ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করুন। প্রতিদিন সকালে ২০ থেকে ৩০ মিনিট দিনের আলোতে থাকলেই আপনার দিনটি স্বাস্থ্যকরভাবে শুরু হবে। এতে আপনার বিপাক ক্রিয়া যেমন সঠিক মাত্রায় কার্যকর থাকবে তেমন দেহের সঠিক ওজন বজায় রাখাও সহজ হবে।

৩. অগোছালো বিছানা
সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনার যদি অগোছালো বিছানা রেখেই অন্য কাজে চলে যাওয়া অভ্যাস থাকে তাহলে এ অভ্যাস বাদ দিন। কারণ ইউএস ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সকালে বিছানা গুছিয়ে তারপর দিনের কাজ শুরু করেন তাদের দিনটি ভালোভাবে শুরু হয়। আর এতে দেহের ওজনও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।

৪. নিজের ওজন না মাপা
দেহের ওজনের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য নিয়মিত ওজন মাপা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আপনি যদি প্রতিদিন নিজের দেহের ওজনের ওপর একটু চোখ রাখেন তাহলে ওজন নিয়ন্ত্রণ অনেক সহজ হয়। এ কারণে প্রতিদিন সকালে ওজন মেপে নেওয়া উচিত সবারই।

৫. সঠিক পরিমাণে নাশতা না করা
দেহের ওজন সঠিক মাত্রায় রাখার জন্য সকালের নাশতা সঠিক পরিমাণে করা উচিত। অনেকে আবার সকালের নাশতা বাদ দিয়ে দেন। এটি দিনের পরবর্তী সময়ে দেহের ওজন বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখে। একইভাবে আপনি যদি অতি সামান্য নাশতা করেন তাও ক্ষতির কারণ হয়। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকালে প্রচুর পরিমাণে নাশতা করতে হবে। এক্ষেত্রে ৬০০ ক্যালরির সমপরিমাণ চর্বিহীন প্রোটিন, কার্বহাইড্রেট ও অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান থাকা উচিত নাশতায়।