02-12-2017, 12:39 PM
অনলাইন ডেস্ক: সামাজিক সচেতনতার সৌন্দর্য্য হলো আপনি যা বলেন তার সঙ্গে কয়েকটি সহজ সমন্বয় অন্যদের সঙ্গে আপনার সম্পর্কের বিশাল উন্নতি ঘটাতে পারে। আর এ পরিপ্রেক্ষিতেই এমন কিছু কথা আছে যা আবেগগতভাবে বুদ্ধিমান লোকেরা সচরাচর কথপোকথনে এড়িয়ে চলেন। কথাগুলো হলো:
আপনাকে দেখেতে ক্লান্ত লাগছে : ক্লান্ত লোকরা অবিশ্বাস্যরকম ভাবে আবেদনহীন। তাদের চোখগুলো গর্তে ঢুকে থাকে। চুলগুলো থাকে এলোমেলো। মনোযোগ থাকে বিক্ষিপ্ত। আর মেজাজ হয়ে থাকে খিটখিটে। সুতরাং কাউকে ক্লান্ত লাগছে বলার মানে হলো তার মধ্যে সমস্যাগুলো আছে বলা।
এর পরিবর্তে বলুন, ‘সবকিছু কি ঠিক আছে’? কাউকে ক্লান্ত লাগলে লোকে তাকে একথা জিজ্ঞেস করেন কারণ তারা তার প্রতি সহযোগিতামূলক হতে চান। কারো অবস্থা অনুমান করে মন্তব্য করার চেয়ে বরং তাকে জিজ্ঞেস করুন। আর এতেই সে মুখ খুলবে এবং নিজের অবস্থা নিয়ে কথা বলবে।
‘আপনি সবসময়ই…’ বা ‘আপনি কখনোই না…’: কেউই সবসময় বা কখনোই কোনো কাজ না করেন না। লোকে নিজেদেরকে সবসময় একমাত্রিক হিসেবে দেখেন না। সুতরাং আপনারও উচিত নয় তাদেরকে সেভাবে সংজ্ঞায়িত করা। এভাবে কাউকে সংজ্ঞায়িত করলে তারা মনে কষ্ট পান।
এর পরিবর্তে অপরে কী এমন করল যা আপনার জন্য সমস্যা তা তুলে ধরুন। বাস্তব ঘটনার ওপর লেগে থাকুন। বলুন, ‘আমার মনে হচ্ছে যে আপনি প্রায়ই এমনটা করেন’। অথবা, ‘আপনি কাজটি এমন যথেষ্ট পরিমাণে প্রায় প্রায়ই করেন যা আমার নজরে পড়ার জন্য যথেষ্ট’।
‘আমি আগে যেমনটা বলেছি…’: এ কথাটি বললে মনে হবে যেন আপনি নিজেকে পুনর্ব্যক্ত ব্যক্ত করতে গিয়ে অপমানিত বোধ করছেন। যা শ্রোতার জন্য কঠোর হতে পারে। নিজেকে পুনর্ব্যক্ত করতে গিয়ে অপমানিত বোধ করার মানে হতে পারে যে, হয় আপনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বা আপনি নিজেকে সবার চেয়ে উত্তম ভাবেন।
এর পরিবর্তে আপনাকে যখন কোনো বিষয়ে দ্বিতীয়বার কথা বলতে হবে তখন বিষয়টি আরও পরিষ্কার করে এবং কৌতূহলোদ্দীপকভাবে বলার চেষ্টা করুন। এতে সকলেই আপনি কী বলছেন তা শুনবেন।
‘গুডলাক’ : আপনি যদি কারো জন্য সৌভাগ্য কামনা করেন তাহলে এমন নয় যে দুনিয়াটা সেখানেই থেমে যায়। কিন্তু আপনি এছাড়াও ভালো কোনো কথা বলতে পারেন। কারণ কথাটি দিয়ে অনেক সময় এমনটা বোঝায় যে, সফল হওয়ার জন্য বুঝি তাদের ভাগ্যের দরকার।
এর পরিবর্তে বলুন, ‘আমি জানি এর জন্য যা দরকার তা আপনার আছে’। কারো জন্য সৌভাগ্য কামনা করার চেয়ে বরং সফল হওয়ার জন্য তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতাটি আছে বললে তার আত্মবিশ্বাস আরেও বেড়ে যায়। এতে তিনি আপনাকে যারা তার সৌভাগ্য কামনা করেছে তাদের সকলের চেয়ে একটু ভিন্নভাবে দেখবেন।
‘এটা আপনার ব্যাপার’ বা ‘আপনার যা ইচ্ছা হয়’ : আপনি হয়তো কারো প্রশ্নের ব্যাপারে উদাসীন হতে পারেন। তথাপি তার কাছে আপনার মতামতটি গুরুত্বপূর্ণ। আর নয়তো তিনি আপনাকেই সবার আগে প্রশ্নটি করতেন না।
এর পরিবর্তে বলুন, ‘এ ব্যাপারে আমার তেমন কোনো দৃঢ় মতামত নেই, তবে এ বিষয়গুলো আপনি বিবেচনা করে দেখতে পারেন…’।
‘আচ্ছা, আমি অন্তত কখনোই না…’: অপরজনের কোনো পুরোনো এবং অপ্রাসঙ্গিক ভুলের প্রতি ইঙ্গিত করে নিজের ভুল থেকে মনোযোগ সরানোর আগ্রাসী উপায় হলো এই কথা বলা। অথচ তার সেই ভুলটি আপনার ইতোমধ্যেই ক্ষমা করে দেওয়ার কথা ছিল।
এর পরিবর্তে বলুন, ‘আমি দুঃখিত’। নিজের ভুল স্বীকার করে নেওয়ার মাধ্যমেই শুধু আপনি আরও যৌক্তিক এবং শান্তভাবে আলোচনা শুরু করতে পারেন। যাতে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। দোষ স্বীকার করাটা বিতর্ক এড়ানোর বিস্ময়করভাবে কার্যকর উপায়।
‘ওজন কমায় আপনাকে অনেক ভালো লাগছে’: কাউকে তার ওজন কমার কারণে ভালো লাগার কথা বলার মানে হলো আগে তাকে দেখতে মোটা লাগতো বা ভালো লাগতো না।
এর পরিবর্তে বলুন, ‘আপনাকে দেখতে অসাধারণ লাগছে’। এতে আর তাকে আগে দেখতে কেমন লাগতো তা বলা হবে না।
তার জন্য আপনি অনেক বেশি যোগ্য ছিলেন: এর মানে হলো আপনি আগে বাজে পছন্দ করেছিলেন বা আপনার পছন্দ করার ক্ষমতা ভালো না। এর পরিবর্তে বলুন, ‘তিনি আপনাকে হারিয়ে বেশ ক্ষতির শিকারই হলেন’।
বয়সের তুলনায় আপনাকে দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগছে: এভাবে বলাটা অনেক বেশি কর্কশ শোনায়। কেননা লোকে সাধারণভাবে যেকোনো বয়সেই দেখতে স্মার্ট হতে চান। এর পরিবর্তে বলুন, ‘আপনাকে দেখতে অসাধারণ লাগছে’।
আপনাকে দেখেতে ক্লান্ত লাগছে : ক্লান্ত লোকরা অবিশ্বাস্যরকম ভাবে আবেদনহীন। তাদের চোখগুলো গর্তে ঢুকে থাকে। চুলগুলো থাকে এলোমেলো। মনোযোগ থাকে বিক্ষিপ্ত। আর মেজাজ হয়ে থাকে খিটখিটে। সুতরাং কাউকে ক্লান্ত লাগছে বলার মানে হলো তার মধ্যে সমস্যাগুলো আছে বলা।
এর পরিবর্তে বলুন, ‘সবকিছু কি ঠিক আছে’? কাউকে ক্লান্ত লাগলে লোকে তাকে একথা জিজ্ঞেস করেন কারণ তারা তার প্রতি সহযোগিতামূলক হতে চান। কারো অবস্থা অনুমান করে মন্তব্য করার চেয়ে বরং তাকে জিজ্ঞেস করুন। আর এতেই সে মুখ খুলবে এবং নিজের অবস্থা নিয়ে কথা বলবে।
‘আপনি সবসময়ই…’ বা ‘আপনি কখনোই না…’: কেউই সবসময় বা কখনোই কোনো কাজ না করেন না। লোকে নিজেদেরকে সবসময় একমাত্রিক হিসেবে দেখেন না। সুতরাং আপনারও উচিত নয় তাদেরকে সেভাবে সংজ্ঞায়িত করা। এভাবে কাউকে সংজ্ঞায়িত করলে তারা মনে কষ্ট পান।
এর পরিবর্তে অপরে কী এমন করল যা আপনার জন্য সমস্যা তা তুলে ধরুন। বাস্তব ঘটনার ওপর লেগে থাকুন। বলুন, ‘আমার মনে হচ্ছে যে আপনি প্রায়ই এমনটা করেন’। অথবা, ‘আপনি কাজটি এমন যথেষ্ট পরিমাণে প্রায় প্রায়ই করেন যা আমার নজরে পড়ার জন্য যথেষ্ট’।
‘আমি আগে যেমনটা বলেছি…’: এ কথাটি বললে মনে হবে যেন আপনি নিজেকে পুনর্ব্যক্ত ব্যক্ত করতে গিয়ে অপমানিত বোধ করছেন। যা শ্রোতার জন্য কঠোর হতে পারে। নিজেকে পুনর্ব্যক্ত করতে গিয়ে অপমানিত বোধ করার মানে হতে পারে যে, হয় আপনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বা আপনি নিজেকে সবার চেয়ে উত্তম ভাবেন।
এর পরিবর্তে আপনাকে যখন কোনো বিষয়ে দ্বিতীয়বার কথা বলতে হবে তখন বিষয়টি আরও পরিষ্কার করে এবং কৌতূহলোদ্দীপকভাবে বলার চেষ্টা করুন। এতে সকলেই আপনি কী বলছেন তা শুনবেন।
‘গুডলাক’ : আপনি যদি কারো জন্য সৌভাগ্য কামনা করেন তাহলে এমন নয় যে দুনিয়াটা সেখানেই থেমে যায়। কিন্তু আপনি এছাড়াও ভালো কোনো কথা বলতে পারেন। কারণ কথাটি দিয়ে অনেক সময় এমনটা বোঝায় যে, সফল হওয়ার জন্য বুঝি তাদের ভাগ্যের দরকার।
এর পরিবর্তে বলুন, ‘আমি জানি এর জন্য যা দরকার তা আপনার আছে’। কারো জন্য সৌভাগ্য কামনা করার চেয়ে বরং সফল হওয়ার জন্য তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতাটি আছে বললে তার আত্মবিশ্বাস আরেও বেড়ে যায়। এতে তিনি আপনাকে যারা তার সৌভাগ্য কামনা করেছে তাদের সকলের চেয়ে একটু ভিন্নভাবে দেখবেন।
‘এটা আপনার ব্যাপার’ বা ‘আপনার যা ইচ্ছা হয়’ : আপনি হয়তো কারো প্রশ্নের ব্যাপারে উদাসীন হতে পারেন। তথাপি তার কাছে আপনার মতামতটি গুরুত্বপূর্ণ। আর নয়তো তিনি আপনাকেই সবার আগে প্রশ্নটি করতেন না।
এর পরিবর্তে বলুন, ‘এ ব্যাপারে আমার তেমন কোনো দৃঢ় মতামত নেই, তবে এ বিষয়গুলো আপনি বিবেচনা করে দেখতে পারেন…’।
‘আচ্ছা, আমি অন্তত কখনোই না…’: অপরজনের কোনো পুরোনো এবং অপ্রাসঙ্গিক ভুলের প্রতি ইঙ্গিত করে নিজের ভুল থেকে মনোযোগ সরানোর আগ্রাসী উপায় হলো এই কথা বলা। অথচ তার সেই ভুলটি আপনার ইতোমধ্যেই ক্ষমা করে দেওয়ার কথা ছিল।
এর পরিবর্তে বলুন, ‘আমি দুঃখিত’। নিজের ভুল স্বীকার করে নেওয়ার মাধ্যমেই শুধু আপনি আরও যৌক্তিক এবং শান্তভাবে আলোচনা শুরু করতে পারেন। যাতে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। দোষ স্বীকার করাটা বিতর্ক এড়ানোর বিস্ময়করভাবে কার্যকর উপায়।
‘ওজন কমায় আপনাকে অনেক ভালো লাগছে’: কাউকে তার ওজন কমার কারণে ভালো লাগার কথা বলার মানে হলো আগে তাকে দেখতে মোটা লাগতো বা ভালো লাগতো না।
এর পরিবর্তে বলুন, ‘আপনাকে দেখতে অসাধারণ লাগছে’। এতে আর তাকে আগে দেখতে কেমন লাগতো তা বলা হবে না।
তার জন্য আপনি অনেক বেশি যোগ্য ছিলেন: এর মানে হলো আপনি আগে বাজে পছন্দ করেছিলেন বা আপনার পছন্দ করার ক্ষমতা ভালো না। এর পরিবর্তে বলুন, ‘তিনি আপনাকে হারিয়ে বেশ ক্ষতির শিকারই হলেন’।
বয়সের তুলনায় আপনাকে দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগছে: এভাবে বলাটা অনেক বেশি কর্কশ শোনায়। কেননা লোকে সাধারণভাবে যেকোনো বয়সেই দেখতে স্মার্ট হতে চান। এর পরিবর্তে বলুন, ‘আপনাকে দেখতে অসাধারণ লাগছে’।