02-13-2017, 11:07 PM
আপনি কি গর্ভবতী হয়েছেন? আপনার একটি পিরিয়ড মিস করলে—অথবা এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে কিছু উপসর্গ দেখা যেতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, প্রতি ১০ জন মহিলার মধ্যে ৭ জনের তাদের গর্ভাবস্থার ছয় সপ্তাহের মধ্যে এর উপসর্গ দেখা যায়।
যদি আপনার ঋতুচক্রের সঠিক তথ্য না রাখেন অথবা এর ব্যাপ্তিকাল এক মাস থেকে অন্য মাসে ভিন্ন রকমের হয়, তবে কখন আপনার পিরিয়ড হতে পারে তাতে নিশ্চিত হতে পারবেন না। কিন্তু যদি আপনি নীচে উল্লেখিত কিছু উপসর্গ নিজের মধ্যে দেখতে শুরু করেন—যদিও সব মহিলার মধ্যে এর সব দেখা নাও যেতে পারে—এবং আপনি অবাক হচ্ছেন যে আপনার পিরিয়ড কেন শুরু হয়নি, তবে আপনার গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশী। একটি হোম প্রেগনেন্সি টেস্ট করে আপনি এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হন।
১০. খাবারে অরুচি
যদি আপনি নতুন গর্ভবতী হন, এটা অস্বাভাবিক নয় যে একটি bologna স্যান্ডউইচ বা এক কাপ কফি, এবং বিশেষ কিছুর সুগন্ধির ঘ্রাণে আপনি অনীহা বোধ করবেন যা আপনার রুচি কমিয়ে দিবে। যদিও এর কারণ নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি, এটা হয়ত আপনার দেহে দ্রুত এস্ট্রোজেন এর পরিমাণ বৃদ্ধির একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এছাড়াও আপনি হয়ত দেখতে পাবেন যে কিছু বিশেষ খাদ্য যা আপনি মজা করে খেতেন তা হঠাৎ করে আপনার কাছে একেবারেই অসহ্য লাগছে।
৯. মেজাজের পরিবর্তন
গর্ভাবস্থায় মেজাজের পরিবর্তন একটি সাধারণ বিষয়, আংশিক ভাবে এর কারণ হরমোনের পরিবর্তন যা আপনার neurotransmitters (মস্তিস্কের রাসায়নিক বাহক) এর মাত্রা প্রভাবিত করে। প্রত্যেকেই এ পরিবর্তনে আলাদা ভাবে সাড়া প্রদান করে থাকে। মা-হতে-যাওয়া এমন অনেকে উচ্চমাত্রায় আবেগপ্রবণ হয়ে উঠতে পারেন, যা ভাল বা মন্দ উভয় রকমেরই হতে পারে, এবং অন্যেরা আরও একটু বেশী রকমের বিষণ্ণ বা চিন্তিত অনুভব করতে পারেন।
নোটঃ যদি আপনি দুঃখিত বা নিরাশ বোধ করেন বা আপনার দৈনিক দায়িত্ব সমূহ যথাযথ ভাবে পালন করতে না পারেন, বা আপনি নিজেকে নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলতে পারেন বলে মনে করেন, তবে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে অথবা মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে অনতিবিলম্বে যোগাযোগ করুন।
৮. পেট ফাঁপা
গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে আপনার মধ্যে পেট ফাঁপার অনুভুতি এনে দিতে পারে, অনেকটা সেরকম যা অনেক মহিলা তাদের পিরিয়ড শুরুর ঠিক পূর্বে অনুভব করে থাকেন। এ কারণে কোমরের কাছে আপনার কাপড় সাধারণ সময়ের চেয়ে আরও বেশী আঁটসাঁট মনে হতে পারে, এমনকি একেবারে প্রথম দিকেও যখন আপনার গর্ভ বেশ ছোট আছে।
৭. বারবার মূত্রত্যাগের ইচ্ছা
আপনি গর্ভধারণের অল্প কিছুকাল পরেই, হরমোন পরিবর্তনের কারণে আপনার দেহের কিছু ধারাবাহিক প্রক্রিয়া দ্রুত হয় যা আপনার কিডনিতে রক্ত প্রবাহের হার বাড়িয়ে দেয়। এর কারণে আপনার মুত্রথলি আরও দ্রুত পূর্ণ হওয়ার অনুভূতি এনে দেয়, সুতরাং আপনার আরও বেশী বার মূত্র ত্যাগ করার প্রয়োজন হয়। এ ধরণের উপসর্গ আপনার গর্ভাবস্থার প্রথম তিনমাস অংশে ছয় সপ্তাহের পূর্বেই শুরু হতে পারে।
বারবার মূত্রত্যাগের ইচ্ছা চলতে থাকে—বা তীব্রতর হয়—যতই আপনার গর্ভাবস্থা এগিয়ে যেতে থাকে। গর্ভাবস্থায় আপনার দেহে রক্তের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে যায়, যার পরিণতিতে বাড়তি তরল আপনার দেহে প্রক্রিয়াজাত হয় এবং শেষ পর্যায়ে এসে মূত্রথলিতে জমা হয়। এ সমস্যাটি আরও জটিল হয় যখন আপনার ক্রমবৃদ্ধিমান শিশু আপনার মুত্রথলিতে আরও বেশী চাপ দিতে থাকে।
৬. অবসাদ
আপনি কি হঠাৎ ক্লান্তি বোধ করেন? না, সেটি দূর করে ফেলুন। কেউ এটা নিশ্চিত করে জানেন না কি কারণে গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে অবসাদ দেখা দেয়, তবে সম্ভবত প্রজেস্টেরন হরমোনের মাত্রার দ্রুত বৃদ্ধি আপনার ঘুম ঘুম ভাবের জন্য দায়ী। অবশ্যই সকালের বমিভাব এবং রাতে বারবার মূত্রত্যাগ করতে যাওয়াও আপনার মধ্যে নিস্ক্রিয়তা এনে দিতে পারে।
৫. নাজুক, স্ফীত বক্ষ
গর্ভাবস্থার প্রথম দিকের একটি চিহ্ন হল সংবেদনশীল, স্পর্শকাতর বক্ষ যা হরমোনের মাত্রার বৃদ্ধির কারণে হয়ে থাকে। আপনার পিরিয়ড শুরুর পূর্বে আপনি যেমন বোধ করেন আপনার বক্ষের স্পর্শকাতরতা এবং স্ফীতি তার চেয়ে বেশী ধরণের অনুভুত হতে পারে। গর্ভাবস্থার প্রথম তিনমাস অংশের পরে আপনার এ ধরণের অস্বস্থি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যেতে পারে, কারণ আপনার দেহ হরমোনের পরিবর্তনের সাথে ততদিনে তাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।
৪. বমি ভাব
কিছু মহিলার ক্ষেত্রে, গর্ভধারণের এক মাস না হওয়া পর্যন্ত সকাল বেলার বমিভাব শুরু হতে দেখা যায় না, যদিও অন্যদের ক্ষেত্রে এটি গর্ভাবস্থা শুরুর এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে হতে দেখা যায়। এবং কেবল সকালে নয়, গর্ভধারণ-সংক্রান্ত বমিভাব (বমিসহ বা বমিছাড়া) সকাল, বিকাল, বা রাত সকল সময়ের জন্য সমস্যা হতে পারে।
প্রায় অর্ধেক সংখ্যক বমিভাব সম্পন্ন গর্ভবতী মহিলা তাদের গর্ভধারণের দ্বিতীয় তিন মাসের শুরুতে এ সমস্যা থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পেয়ে থাকেণ। বেশীর ভাগ অন্যদের ক্ষেত্রে বমিভাব দূর হওয়ার জন্য আরও একমাস বা এমনি সময়ের প্রয়োজন হয়। অল্প সংখ্যক ভাগ্যবানরা এর থেকে সম্পূর্ণরূপে বেরিয়ে আসতে পারেন।
৩. একটি পিরিয়ড মিস করা
যদি সাধারণত আপনার পিরিয়ড প্রায় নিয়মিত হয় কিন্তু আপনার পিরিয়ড সময়মত শুরু হয়নি এমন হয়, তবে উপরোক্ত উপসর্গগুলির কোনোটি যদি আপনি না দেখেন তবে আপনি একটি প্রেগনেন্সি টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কিন্তু যদি আপনার পিরিয়ড নিয়মিত না হয় অথবা আপনি আপনার ঋতুচক্রের হিসাব ঠিকমত না রাখতে পারেন, তবে আপনার পিরিয়ড সময়মত শুরু হয়নি তা বুঝতে পারার পূর্বেই বমিভাব এবং বক্ষের স্পর্শকাতরতা এবং বাথরুমে ঘন ঘন যাওয়া আপনার গর্ভধারণের পূর্বাভাস হতে পারে।
২. আপনার স্বাভাবিক তাপমাত্রা বেশী হয়ে গেলে
যদি আপনি আপনার দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা লিপিবদ্ধ করে রাখেন এবং আপনি দেখেন যে আপনার দেহের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে অন্তত ১৮ দিন ধরে এক সারিতে স্থির ভাবে আছে, তবে আপনি সম্ভবত গর্ভধারণ করেছেন।
এবং চূড়ান্ত ভাবে.......
১. প্রমানঃ একটি পজিটিভ হোম প্রেগনেন্সি টেস্ট
বক্সের গায়ে লেখা যা আপনি পড়ে থাকেন তা সত্বেও, বাড়িতে করা অনেক প্রেগনেন্সি টেস্ট গর্ভধারণ নির্ধারণে যথেষ্ট পরিমাণে নির্ভরযোগ্য ভাবে সংবেদনশীল নয় যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি আপনার একটি পিরিয়ড মিস করার প্রায় এক সপ্তাহ সময় পরে তা করে থাকেন। সুতরাং যদি আপনি ঐ সময়ের পূর্বে টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নেন এবং একটি নেগেটিভ ফলাফল পান, তবে কয়েকদিন পরে আবার টেস্ট করে দেখার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন যে আপনি গর্ভধারণ করেছেন এটা বলতে পারার পূর্বেই একটি শিশু পরিণত হওয়া শুরু করতে পারে, সুতরাং আপনি যখন খুঁজে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন তখন আপনার শরীরের যত্ন নিতে থাকুন।
একবার যখন আপনি পজিটিভ ফলাফল পেয়ে যাবেন, তখন আপনার চিকিৎসকের সাথে সাক্ষাৎ করুন
যদি আপনার ঋতুচক্রের সঠিক তথ্য না রাখেন অথবা এর ব্যাপ্তিকাল এক মাস থেকে অন্য মাসে ভিন্ন রকমের হয়, তবে কখন আপনার পিরিয়ড হতে পারে তাতে নিশ্চিত হতে পারবেন না। কিন্তু যদি আপনি নীচে উল্লেখিত কিছু উপসর্গ নিজের মধ্যে দেখতে শুরু করেন—যদিও সব মহিলার মধ্যে এর সব দেখা নাও যেতে পারে—এবং আপনি অবাক হচ্ছেন যে আপনার পিরিয়ড কেন শুরু হয়নি, তবে আপনার গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশী। একটি হোম প্রেগনেন্সি টেস্ট করে আপনি এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হন।
১০. খাবারে অরুচি
যদি আপনি নতুন গর্ভবতী হন, এটা অস্বাভাবিক নয় যে একটি bologna স্যান্ডউইচ বা এক কাপ কফি, এবং বিশেষ কিছুর সুগন্ধির ঘ্রাণে আপনি অনীহা বোধ করবেন যা আপনার রুচি কমিয়ে দিবে। যদিও এর কারণ নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি, এটা হয়ত আপনার দেহে দ্রুত এস্ট্রোজেন এর পরিমাণ বৃদ্ধির একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এছাড়াও আপনি হয়ত দেখতে পাবেন যে কিছু বিশেষ খাদ্য যা আপনি মজা করে খেতেন তা হঠাৎ করে আপনার কাছে একেবারেই অসহ্য লাগছে।
৯. মেজাজের পরিবর্তন
গর্ভাবস্থায় মেজাজের পরিবর্তন একটি সাধারণ বিষয়, আংশিক ভাবে এর কারণ হরমোনের পরিবর্তন যা আপনার neurotransmitters (মস্তিস্কের রাসায়নিক বাহক) এর মাত্রা প্রভাবিত করে। প্রত্যেকেই এ পরিবর্তনে আলাদা ভাবে সাড়া প্রদান করে থাকে। মা-হতে-যাওয়া এমন অনেকে উচ্চমাত্রায় আবেগপ্রবণ হয়ে উঠতে পারেন, যা ভাল বা মন্দ উভয় রকমেরই হতে পারে, এবং অন্যেরা আরও একটু বেশী রকমের বিষণ্ণ বা চিন্তিত অনুভব করতে পারেন।
নোটঃ যদি আপনি দুঃখিত বা নিরাশ বোধ করেন বা আপনার দৈনিক দায়িত্ব সমূহ যথাযথ ভাবে পালন করতে না পারেন, বা আপনি নিজেকে নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলতে পারেন বলে মনে করেন, তবে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে অথবা মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে অনতিবিলম্বে যোগাযোগ করুন।
৮. পেট ফাঁপা
গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে আপনার মধ্যে পেট ফাঁপার অনুভুতি এনে দিতে পারে, অনেকটা সেরকম যা অনেক মহিলা তাদের পিরিয়ড শুরুর ঠিক পূর্বে অনুভব করে থাকেন। এ কারণে কোমরের কাছে আপনার কাপড় সাধারণ সময়ের চেয়ে আরও বেশী আঁটসাঁট মনে হতে পারে, এমনকি একেবারে প্রথম দিকেও যখন আপনার গর্ভ বেশ ছোট আছে।
৭. বারবার মূত্রত্যাগের ইচ্ছা
আপনি গর্ভধারণের অল্প কিছুকাল পরেই, হরমোন পরিবর্তনের কারণে আপনার দেহের কিছু ধারাবাহিক প্রক্রিয়া দ্রুত হয় যা আপনার কিডনিতে রক্ত প্রবাহের হার বাড়িয়ে দেয়। এর কারণে আপনার মুত্রথলি আরও দ্রুত পূর্ণ হওয়ার অনুভূতি এনে দেয়, সুতরাং আপনার আরও বেশী বার মূত্র ত্যাগ করার প্রয়োজন হয়। এ ধরণের উপসর্গ আপনার গর্ভাবস্থার প্রথম তিনমাস অংশে ছয় সপ্তাহের পূর্বেই শুরু হতে পারে।
বারবার মূত্রত্যাগের ইচ্ছা চলতে থাকে—বা তীব্রতর হয়—যতই আপনার গর্ভাবস্থা এগিয়ে যেতে থাকে। গর্ভাবস্থায় আপনার দেহে রক্তের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে যায়, যার পরিণতিতে বাড়তি তরল আপনার দেহে প্রক্রিয়াজাত হয় এবং শেষ পর্যায়ে এসে মূত্রথলিতে জমা হয়। এ সমস্যাটি আরও জটিল হয় যখন আপনার ক্রমবৃদ্ধিমান শিশু আপনার মুত্রথলিতে আরও বেশী চাপ দিতে থাকে।
৬. অবসাদ
আপনি কি হঠাৎ ক্লান্তি বোধ করেন? না, সেটি দূর করে ফেলুন। কেউ এটা নিশ্চিত করে জানেন না কি কারণে গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে অবসাদ দেখা দেয়, তবে সম্ভবত প্রজেস্টেরন হরমোনের মাত্রার দ্রুত বৃদ্ধি আপনার ঘুম ঘুম ভাবের জন্য দায়ী। অবশ্যই সকালের বমিভাব এবং রাতে বারবার মূত্রত্যাগ করতে যাওয়াও আপনার মধ্যে নিস্ক্রিয়তা এনে দিতে পারে।
৫. নাজুক, স্ফীত বক্ষ
গর্ভাবস্থার প্রথম দিকের একটি চিহ্ন হল সংবেদনশীল, স্পর্শকাতর বক্ষ যা হরমোনের মাত্রার বৃদ্ধির কারণে হয়ে থাকে। আপনার পিরিয়ড শুরুর পূর্বে আপনি যেমন বোধ করেন আপনার বক্ষের স্পর্শকাতরতা এবং স্ফীতি তার চেয়ে বেশী ধরণের অনুভুত হতে পারে। গর্ভাবস্থার প্রথম তিনমাস অংশের পরে আপনার এ ধরণের অস্বস্থি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যেতে পারে, কারণ আপনার দেহ হরমোনের পরিবর্তনের সাথে ততদিনে তাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।
৪. বমি ভাব
কিছু মহিলার ক্ষেত্রে, গর্ভধারণের এক মাস না হওয়া পর্যন্ত সকাল বেলার বমিভাব শুরু হতে দেখা যায় না, যদিও অন্যদের ক্ষেত্রে এটি গর্ভাবস্থা শুরুর এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে হতে দেখা যায়। এবং কেবল সকালে নয়, গর্ভধারণ-সংক্রান্ত বমিভাব (বমিসহ বা বমিছাড়া) সকাল, বিকাল, বা রাত সকল সময়ের জন্য সমস্যা হতে পারে।
প্রায় অর্ধেক সংখ্যক বমিভাব সম্পন্ন গর্ভবতী মহিলা তাদের গর্ভধারণের দ্বিতীয় তিন মাসের শুরুতে এ সমস্যা থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পেয়ে থাকেণ। বেশীর ভাগ অন্যদের ক্ষেত্রে বমিভাব দূর হওয়ার জন্য আরও একমাস বা এমনি সময়ের প্রয়োজন হয়। অল্প সংখ্যক ভাগ্যবানরা এর থেকে সম্পূর্ণরূপে বেরিয়ে আসতে পারেন।
৩. একটি পিরিয়ড মিস করা
যদি সাধারণত আপনার পিরিয়ড প্রায় নিয়মিত হয় কিন্তু আপনার পিরিয়ড সময়মত শুরু হয়নি এমন হয়, তবে উপরোক্ত উপসর্গগুলির কোনোটি যদি আপনি না দেখেন তবে আপনি একটি প্রেগনেন্সি টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কিন্তু যদি আপনার পিরিয়ড নিয়মিত না হয় অথবা আপনি আপনার ঋতুচক্রের হিসাব ঠিকমত না রাখতে পারেন, তবে আপনার পিরিয়ড সময়মত শুরু হয়নি তা বুঝতে পারার পূর্বেই বমিভাব এবং বক্ষের স্পর্শকাতরতা এবং বাথরুমে ঘন ঘন যাওয়া আপনার গর্ভধারণের পূর্বাভাস হতে পারে।
২. আপনার স্বাভাবিক তাপমাত্রা বেশী হয়ে গেলে
যদি আপনি আপনার দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা লিপিবদ্ধ করে রাখেন এবং আপনি দেখেন যে আপনার দেহের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে অন্তত ১৮ দিন ধরে এক সারিতে স্থির ভাবে আছে, তবে আপনি সম্ভবত গর্ভধারণ করেছেন।
এবং চূড়ান্ত ভাবে.......
১. প্রমানঃ একটি পজিটিভ হোম প্রেগনেন্সি টেস্ট
বক্সের গায়ে লেখা যা আপনি পড়ে থাকেন তা সত্বেও, বাড়িতে করা অনেক প্রেগনেন্সি টেস্ট গর্ভধারণ নির্ধারণে যথেষ্ট পরিমাণে নির্ভরযোগ্য ভাবে সংবেদনশীল নয় যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি আপনার একটি পিরিয়ড মিস করার প্রায় এক সপ্তাহ সময় পরে তা করে থাকেন। সুতরাং যদি আপনি ঐ সময়ের পূর্বে টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নেন এবং একটি নেগেটিভ ফলাফল পান, তবে কয়েকদিন পরে আবার টেস্ট করে দেখার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন যে আপনি গর্ভধারণ করেছেন এটা বলতে পারার পূর্বেই একটি শিশু পরিণত হওয়া শুরু করতে পারে, সুতরাং আপনি যখন খুঁজে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন তখন আপনার শরীরের যত্ন নিতে থাকুন।
একবার যখন আপনি পজিটিভ ফলাফল পেয়ে যাবেন, তখন আপনার চিকিৎসকের সাথে সাক্ষাৎ করুন