02-16-2017, 11:36 PM
ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি একটি রোগ নিয়ে আমাদের তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই। বাংলাদেশে প্রতি বছর নতুন করে আড়াই লাখ ক্যানসার রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ১২ হাজারেরও বেশি শিশু। অথচ এসব শিশুর চিকিৎসায় দেশের হাসপাতালগুলোতে মাত্র ৯০টি শয্যা আর ২৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। যা অতিমাত্রায় সামান্য বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। বাংলাদেশে শিশু স্বাস্থ্যের অন্যান্য সমস্যাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হলেও শিশু ক্যানসারের বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি এবং শিশুদের ক্যানসার চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকও তৈরি হয়নি। চিকিৎসক স্বল্পতায় তাদের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে।
তারা বলেছেন, দেশে ক্যানসার আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্ব দেয়া হলেও বিশেষ একটি রোগ নিয়ে চিন্তা কম কর্তৃপক্ষের। ক্যানসারের মূল কারণ হচ্ছে জিনগত পরিবর্তন। এ ছাড়া ভেজাল খাদ্য, খাদ্যে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার, বায়ুদূষণ ও বিকিরণের মাত্রা বাড়ার কারণে প্রতিনিয়ত শিশুদের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে। শিশুরা ব্লাড ও ব্রেইন ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া কোলন, লিভার ও কিডনি ক্যানসারেও আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এক্ষেত্রে সচেতনতাই সবচেয়ে বেশি জরুরী।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুলাহ বাকী বলেন, দেশে প্রায় ১২ লাখ ক্যানসার রোগী রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় পাঁচ শতাংশ শিশু। এ সংখ্যা ১২ হাজারেরও বেশি। আমাদের দেশে ক্যানসার রোগীর তুলনায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্টের সংখ্যাও কম। এতে করে ক্যানসার আক্রান্তরা ভালো চিকিৎসা পাচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ক্যানসার চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেক পিতা-মাতাই নিঃস্ব হওয়ার পাশাপাশি হারান আদরের সন্তানকেও। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার ধরা পড়লে শিশু ক্যানসারের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ নিরাময় করা সম্ভব। ক্যানসারের লক্ষণগুলো হলো, শিশু খুব দ্রুত ফ্যাকাসে হয়ে যায়, পেটে অস্বাভাবিক চাকা অনুভূত হয়, শরীরে লাল বা কালো চাকা দেখা দেয়, দ্রুত ওজন কমে যায়, অস্বাভাবিক ব্যথা হয়, ঘন ঘন জ্বর হয়, পেট, গলা কুঁচকি বা বগলে গোটা বের হয়, চোখের মণি সাদা হয়ে যায়, হাড় বা হাড়ের কোনো প্রান্ত বা অস্থিসন্ধি ফুলে যায়, বিনা আঘাতে রক্তপাত হয়। এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ক্যানসার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
এক সময় ক্যানসার হলে নাই রা একথা বলা হতো। কিন্তু বর্তমানে সময় বদলেছে। এখন যদি সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাহলে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ক্যানসার রোগ নিরাময় করা সম্ভব। ক্যানসার চিকিৎসার প্রসারতা বাড়াতে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। শিশু ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা প্রদানে দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও বেডের সংখ্যা বাড়ানো খুবই জরুরি।
তারা বলেছেন, দেশে ক্যানসার আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্ব দেয়া হলেও বিশেষ একটি রোগ নিয়ে চিন্তা কম কর্তৃপক্ষের। ক্যানসারের মূল কারণ হচ্ছে জিনগত পরিবর্তন। এ ছাড়া ভেজাল খাদ্য, খাদ্যে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার, বায়ুদূষণ ও বিকিরণের মাত্রা বাড়ার কারণে প্রতিনিয়ত শিশুদের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে। শিশুরা ব্লাড ও ব্রেইন ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া কোলন, লিভার ও কিডনি ক্যানসারেও আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এক্ষেত্রে সচেতনতাই সবচেয়ে বেশি জরুরী।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুলাহ বাকী বলেন, দেশে প্রায় ১২ লাখ ক্যানসার রোগী রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় পাঁচ শতাংশ শিশু। এ সংখ্যা ১২ হাজারেরও বেশি। আমাদের দেশে ক্যানসার রোগীর তুলনায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্টের সংখ্যাও কম। এতে করে ক্যানসার আক্রান্তরা ভালো চিকিৎসা পাচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ক্যানসার চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেক পিতা-মাতাই নিঃস্ব হওয়ার পাশাপাশি হারান আদরের সন্তানকেও। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার ধরা পড়লে শিশু ক্যানসারের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ নিরাময় করা সম্ভব। ক্যানসারের লক্ষণগুলো হলো, শিশু খুব দ্রুত ফ্যাকাসে হয়ে যায়, পেটে অস্বাভাবিক চাকা অনুভূত হয়, শরীরে লাল বা কালো চাকা দেখা দেয়, দ্রুত ওজন কমে যায়, অস্বাভাবিক ব্যথা হয়, ঘন ঘন জ্বর হয়, পেট, গলা কুঁচকি বা বগলে গোটা বের হয়, চোখের মণি সাদা হয়ে যায়, হাড় বা হাড়ের কোনো প্রান্ত বা অস্থিসন্ধি ফুলে যায়, বিনা আঘাতে রক্তপাত হয়। এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ক্যানসার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
এক সময় ক্যানসার হলে নাই রা একথা বলা হতো। কিন্তু বর্তমানে সময় বদলেছে। এখন যদি সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাহলে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ক্যানসার রোগ নিরাময় করা সম্ভব। ক্যানসার চিকিৎসার প্রসারতা বাড়াতে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। শিশু ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা প্রদানে দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও বেডের সংখ্যা বাড়ানো খুবই জরুরি।