02-19-2017, 03:00 PM
Movie Review:
♥♥♥♥♥♥♥
মুভিটা প্রথম দিকে বোরিং লাগছিল-অক্ষয় মানেই ভাল
Story-এ যুক্তিতে দেখলাম, শেষ পর্যন্ত তাই হল। যারা
কেবলি মুভিকে বিনোদন মনে করেন তাদের কাছে হয়ত মুভিটা
ভাল লাগবে না তবে বিনোদনও আছে। মুভিটিতে সুক্ষ্মভাবে
অনেকগুলি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে-যেমন:-
1. অনেক নিড়ীহ মানুষই কেইস-মামলার খপ্পরে পরে মাসের
পর মাস বছরের পর বছর কোর্টে ধর্ণা দিচ্ছে আর তা করতে
গিয়ে সে তার জীবনের সকল আনন্দ-ফুর্তি, প্রত্যাহিক
জীবনের স্বাভাবিক ও চলমান ব্যস্ততাকে মাটি করে দিচ্ছে।
চরম হতাশায় কাটছে অনেকের জীবন, নিজেকে তাদের জয়গায়
ভাবলেই অনুভব করা যায় কতটুকু কঠিন তাদের জীবন।
2. এ মুভির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে-একজন বিচারকের
দায়িত্বের গভীরতা কতটুকু? যে কেউ ইচ্ছে করলেই এ দায়িত্ব
নিতে পারে না। সারা ভারতে নিষ্পত্তিহীন মামলা বিপরীতে
প্রতি বিচারকের উপর 1 লাখ কেইস বর্তায়। একটা মামলা
নিষ্পত্তি করতে করতে নতুন আরো তৈরী হয় তাই ইচ্ছে
করলেই সব মামলা নিস্পত্তি করা সম্ভব নয়। আরেকটি বিষয়
বলা হয়েছে-কোর্ট-কাচারী, জজ আর উকিলকে আমরা যতই
গালাগালি করিনা কেন দিন শেষে সমস্যায় আমরা তাদের
স্বরণাপন্নই হই।
3. পুলিশ ডিপার্টমেন্টের প্রবলেম তুলে ধরা হয়েছে, একজন
পুলিশ নিজের প্রমোশনের জন্য একজন নিরীহ মানুষকে
এনকাউন্টার করতেও দ্বিধাবোধ করেনা। অর্থাৎ যে
প্রশাসনের উপর নিহীত থাকে অপরাধ নিয়ন্ত্রনের দায়িত্ব
তারাও যখন অপরাধে জড়িত থাকে তখন পরিস্থিতি কতটু
ভয়াবহ হতে পারে তা তুলে ধরা হয়েছে। এখানে দেখানো
হয়েছে-একজন 35000/- টাকা বেতনের পুলিশ অফিসারের 28
কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। আর এর মাধ্যমে এ ধরণের
চরিত্র সম্পন্ন সকল ব্যক্তিকেই বোঝানো হয়েছে।
4. উগ্রবাদী জঙ্গীরা যেভাবে নীড়িহ মানুষের উপর বোমা
ফাটায় তার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।
5. অনেক উকিল আছে যারা সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে
সত্য বানিয়ে দ্রুত নিজের ক্যারিয়ারকে বিল্ডআপ করতে
দ্বিধাবোধ করেন না আর সত্য-মিথ্যার খেলা খেলতে
বিন্দুমাত্র লজ্জাবোধও করেন না। আর তারাই সমাজে
প্রতিষ্ঠিত।
6. তারপরেও কিছু উকিল থাকে যারা সত্যের জন্য লড়াই করে
তাছাড়া উকিলদের কিছু মৌলিক চরিত্র থাকেই তা হয়ত
বোঝানো হয়েছে-
এক পথশিশু অক্ষয়ের মটর সাইকেল পরিষ্কার করে দিয়ে টাকা
দাবি করে (ইন্ডিয়ায় পথশিশুদের ভিক্ষার একটা কৌশল)
অক্ষয় ছেলেটিকে ডেকে তার মুখ পানি দিয়ে পরিস্কার করে
দিয়ে বলে যা সুদবাদ। পাশের একজন বলে “ভাই আপনার
লজ্জা করল না কাজটি করতে?” অক্ষয় বলে ”আমি একজন
উকিল”।
এ মুভিতে অক্ষয়ের প্রতিপক্ষ উকিলের একটা ডায়লগ আমার
খুব ভাল লেগেছে যেটা আমি এতদিন প্রায়ই ব্যবহার করতাম-
Everything is fair in Love & War.
কিন্তু অক্ষয় বুঝিয়ে দিল যে, ধারণাটি ভূল: যদি “ভালবাসা
আর যুদ্ধে সবকিছুই ন্যায্য” হয়ে থাকে তাহলে-
“চরমপন্থীরা যখন কোন নীড়িহ ব্যক্তির গলা জবাই করে
সেটাও ন্যায্য”
আর
“যখন কোন প্রেমিক তার প্রেমিকার মুখে এসিড নিক্ষেপ করে
সেটাও ন্যায্য”
অবশেষে আমি বুঝতে পারলাম-Everything is fair in Love
& War. কথাটি সত্য নয়।
♥♥♥♥♥♥♥
মুভিটা প্রথম দিকে বোরিং লাগছিল-অক্ষয় মানেই ভাল
Story-এ যুক্তিতে দেখলাম, শেষ পর্যন্ত তাই হল। যারা
কেবলি মুভিকে বিনোদন মনে করেন তাদের কাছে হয়ত মুভিটা
ভাল লাগবে না তবে বিনোদনও আছে। মুভিটিতে সুক্ষ্মভাবে
অনেকগুলি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে-যেমন:-
1. অনেক নিড়ীহ মানুষই কেইস-মামলার খপ্পরে পরে মাসের
পর মাস বছরের পর বছর কোর্টে ধর্ণা দিচ্ছে আর তা করতে
গিয়ে সে তার জীবনের সকল আনন্দ-ফুর্তি, প্রত্যাহিক
জীবনের স্বাভাবিক ও চলমান ব্যস্ততাকে মাটি করে দিচ্ছে।
চরম হতাশায় কাটছে অনেকের জীবন, নিজেকে তাদের জয়গায়
ভাবলেই অনুভব করা যায় কতটুকু কঠিন তাদের জীবন।
2. এ মুভির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে-একজন বিচারকের
দায়িত্বের গভীরতা কতটুকু? যে কেউ ইচ্ছে করলেই এ দায়িত্ব
নিতে পারে না। সারা ভারতে নিষ্পত্তিহীন মামলা বিপরীতে
প্রতি বিচারকের উপর 1 লাখ কেইস বর্তায়। একটা মামলা
নিষ্পত্তি করতে করতে নতুন আরো তৈরী হয় তাই ইচ্ছে
করলেই সব মামলা নিস্পত্তি করা সম্ভব নয়। আরেকটি বিষয়
বলা হয়েছে-কোর্ট-কাচারী, জজ আর উকিলকে আমরা যতই
গালাগালি করিনা কেন দিন শেষে সমস্যায় আমরা তাদের
স্বরণাপন্নই হই।
3. পুলিশ ডিপার্টমেন্টের প্রবলেম তুলে ধরা হয়েছে, একজন
পুলিশ নিজের প্রমোশনের জন্য একজন নিরীহ মানুষকে
এনকাউন্টার করতেও দ্বিধাবোধ করেনা। অর্থাৎ যে
প্রশাসনের উপর নিহীত থাকে অপরাধ নিয়ন্ত্রনের দায়িত্ব
তারাও যখন অপরাধে জড়িত থাকে তখন পরিস্থিতি কতটু
ভয়াবহ হতে পারে তা তুলে ধরা হয়েছে। এখানে দেখানো
হয়েছে-একজন 35000/- টাকা বেতনের পুলিশ অফিসারের 28
কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। আর এর মাধ্যমে এ ধরণের
চরিত্র সম্পন্ন সকল ব্যক্তিকেই বোঝানো হয়েছে।
4. উগ্রবাদী জঙ্গীরা যেভাবে নীড়িহ মানুষের উপর বোমা
ফাটায় তার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।
5. অনেক উকিল আছে যারা সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে
সত্য বানিয়ে দ্রুত নিজের ক্যারিয়ারকে বিল্ডআপ করতে
দ্বিধাবোধ করেন না আর সত্য-মিথ্যার খেলা খেলতে
বিন্দুমাত্র লজ্জাবোধও করেন না। আর তারাই সমাজে
প্রতিষ্ঠিত।
6. তারপরেও কিছু উকিল থাকে যারা সত্যের জন্য লড়াই করে
তাছাড়া উকিলদের কিছু মৌলিক চরিত্র থাকেই তা হয়ত
বোঝানো হয়েছে-
এক পথশিশু অক্ষয়ের মটর সাইকেল পরিষ্কার করে দিয়ে টাকা
দাবি করে (ইন্ডিয়ায় পথশিশুদের ভিক্ষার একটা কৌশল)
অক্ষয় ছেলেটিকে ডেকে তার মুখ পানি দিয়ে পরিস্কার করে
দিয়ে বলে যা সুদবাদ। পাশের একজন বলে “ভাই আপনার
লজ্জা করল না কাজটি করতে?” অক্ষয় বলে ”আমি একজন
উকিল”।
এ মুভিতে অক্ষয়ের প্রতিপক্ষ উকিলের একটা ডায়লগ আমার
খুব ভাল লেগেছে যেটা আমি এতদিন প্রায়ই ব্যবহার করতাম-
Everything is fair in Love & War.
কিন্তু অক্ষয় বুঝিয়ে দিল যে, ধারণাটি ভূল: যদি “ভালবাসা
আর যুদ্ধে সবকিছুই ন্যায্য” হয়ে থাকে তাহলে-
“চরমপন্থীরা যখন কোন নীড়িহ ব্যক্তির গলা জবাই করে
সেটাও ন্যায্য”
আর
“যখন কোন প্রেমিক তার প্রেমিকার মুখে এসিড নিক্ষেপ করে
সেটাও ন্যায্য”
অবশেষে আমি বুঝতে পারলাম-Everything is fair in Love
& War. কথাটি সত্য নয়।