01-10-2017, 02:00 PM
এখন নারীরা আগের চেয়ে অনেক বেশি অধিকার এবং সুবিধা ভোগ করেন। তারপরও নারীরা এখনো পুরুষদের তুলনায় কম সুখী।
এর একটি কারণ বিয়ে। এমনটাই মত যুক্তরাষ্ট্রের অক্সিডেন্টা কলেজের অধ্যাপক লিসা ওয়েড এর। তিনি আমেরিকান কলেজের যৌন সংস্কৃতি বিষয়ে লেখা বই 'আমেরিকান হুকআপ' এর লেখক। বইটি লিঙ্গবিষয়ক একটি পাঠ্যবইও বটে।
তিনি বলেন, এখনো বিয়ের পর নারীরাই গৃহস্থালির বেশির ভাগ কাজ করেন। যার বিনিময়ে তাদেরকে কোনো মজুরি দেওয়া হয় না। তারা প্রতিদিনই বেশি কাজ করছে আর এই বৈষম্যর ব্যাপারে তারা তাদের স্বামীদের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন।
নারীরাই দম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য তাদের ব্যক্তিগত অবসর এবং কর্মজীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যগুলো বিসর্জন দেন বেশি।
বিয়ে একটি অধীনস্ততার মুহূর্ত। আর পুরুষদের তুলনায় নারীরাই নিজেদেরকে এবং নিজেদের ক্যারিয়ারকে তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক, সন্তান-সন্ততি এবং স্বামীর ক্যারিয়ারের অধীনস্ত করেন।
একাকী থাকার সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, অনেক নারীর জন্যই বিয়ে একটি পশ্চাদগামী চুক্তি। ফলে একাকি নারীদের তুলনায় বিবাহিত নারীরা কম সুখী।
এমনকি তারা তাদের স্বামীদের তুলনায়ও কম সুখী। তারা পুরুষদের তুলনায় বিয়ে করতেও কম আগ্রহী থাকেন। তারাই বেশি বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটাকে চান এবং তালাকের পর বিবাহিত অবস্থার চেয়ে বেশি সুখী হন। অথচ পুরুষদের বেলায় এর বিপরীতটাই সত্য। আর বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটানো নারীরা পুরুষদের তুলনায় অনেক কমই পুনরায় বিয়ে করতে আগ্রহী হন।
অথচ সমাজে প্রতিনিয়ত এর বিপরীত কথাই প্রচার করা হয়। টিভি, সিনেমা সর্বত্র দেখানো হয় অবিবাহিত নারীরা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন।
কিন্তু নারীরা যদি পুরুষদেরকে বিয়ে না করেন তাহলে কী ঘটবে?
বিয়ে সমাজে পুরুষদের সহিংসতা এবং সংঘাত কমায়। কারণ বিযের পর তাদের হারানোর মতো কিছু একটা থাকে। যে কারণে তারা সহিংসতা ত্যাগ করেন।
বিয়ের পর কর্মক্ষেত্রে পুরুষদের পরিশ্রম করার প্রবণতা বাড়ে। যা পুঁজিপতিদের এবং অর্থনীতির জন্য ভালো। বিয়ের ফলে সন্তান জন্ম নিলে আয় ও ব্যয়ের চক্রও বাড়ে। যা শ্রমিকদেরকে তাদের নিয়োগকর্তার ওপার আরো বেশি করে নির্ভরশীল করে তোলে। এতে সামাজিক গতিশীলতা হ্রাস পায়। এবং পরবর্তী প্রজন্মের শ্রমিক ও সামাজিক নিরাপত্তা বিনিয়োগকারী সৃষ্টি করে।
বিয়ে নারীদেরকে মেশিনের মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলে। আর বিয়েতে যেহেতু নারীরাই সবচেয়ে কম উপকৃত হয় সেহেতু নারীদেরকেই লক্ষ্য করেই বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার প্রচারণা চালানো হয় বেশি।
এর একটি কারণ বিয়ে। এমনটাই মত যুক্তরাষ্ট্রের অক্সিডেন্টা কলেজের অধ্যাপক লিসা ওয়েড এর। তিনি আমেরিকান কলেজের যৌন সংস্কৃতি বিষয়ে লেখা বই 'আমেরিকান হুকআপ' এর লেখক। বইটি লিঙ্গবিষয়ক একটি পাঠ্যবইও বটে।
তিনি বলেন, এখনো বিয়ের পর নারীরাই গৃহস্থালির বেশির ভাগ কাজ করেন। যার বিনিময়ে তাদেরকে কোনো মজুরি দেওয়া হয় না। তারা প্রতিদিনই বেশি কাজ করছে আর এই বৈষম্যর ব্যাপারে তারা তাদের স্বামীদের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন।
নারীরাই দম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য তাদের ব্যক্তিগত অবসর এবং কর্মজীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যগুলো বিসর্জন দেন বেশি।
বিয়ে একটি অধীনস্ততার মুহূর্ত। আর পুরুষদের তুলনায় নারীরাই নিজেদেরকে এবং নিজেদের ক্যারিয়ারকে তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক, সন্তান-সন্ততি এবং স্বামীর ক্যারিয়ারের অধীনস্ত করেন।
একাকী থাকার সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, অনেক নারীর জন্যই বিয়ে একটি পশ্চাদগামী চুক্তি। ফলে একাকি নারীদের তুলনায় বিবাহিত নারীরা কম সুখী।
এমনকি তারা তাদের স্বামীদের তুলনায়ও কম সুখী। তারা পুরুষদের তুলনায় বিয়ে করতেও কম আগ্রহী থাকেন। তারাই বেশি বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটাকে চান এবং তালাকের পর বিবাহিত অবস্থার চেয়ে বেশি সুখী হন। অথচ পুরুষদের বেলায় এর বিপরীতটাই সত্য। আর বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটানো নারীরা পুরুষদের তুলনায় অনেক কমই পুনরায় বিয়ে করতে আগ্রহী হন।
অথচ সমাজে প্রতিনিয়ত এর বিপরীত কথাই প্রচার করা হয়। টিভি, সিনেমা সর্বত্র দেখানো হয় অবিবাহিত নারীরা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন।
কিন্তু নারীরা যদি পুরুষদেরকে বিয়ে না করেন তাহলে কী ঘটবে?
বিয়ে সমাজে পুরুষদের সহিংসতা এবং সংঘাত কমায়। কারণ বিযের পর তাদের হারানোর মতো কিছু একটা থাকে। যে কারণে তারা সহিংসতা ত্যাগ করেন।
বিয়ের পর কর্মক্ষেত্রে পুরুষদের পরিশ্রম করার প্রবণতা বাড়ে। যা পুঁজিপতিদের এবং অর্থনীতির জন্য ভালো। বিয়ের ফলে সন্তান জন্ম নিলে আয় ও ব্যয়ের চক্রও বাড়ে। যা শ্রমিকদেরকে তাদের নিয়োগকর্তার ওপার আরো বেশি করে নির্ভরশীল করে তোলে। এতে সামাজিক গতিশীলতা হ্রাস পায়। এবং পরবর্তী প্রজন্মের শ্রমিক ও সামাজিক নিরাপত্তা বিনিয়োগকারী সৃষ্টি করে।
বিয়ে নারীদেরকে মেশিনের মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলে। আর বিয়েতে যেহেতু নারীরাই সবচেয়ে কম উপকৃত হয় সেহেতু নারীদেরকেই লক্ষ্য করেই বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার প্রচারণা চালানো হয় বেশি।