Forums.Likebd.Com

Full Version: একটু খুনসুটিতে বাড়ে ভালোবাসা
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
স্বামী অফিস থেকে বাড়ি ফিরেছে তারপর বউয়ের সঙ্গে কিছু কথা বলে সোজা টিভির রুমে। রাতের খাবার দুজন একসঙ্গেই খেয়েছেন। এবার স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে কিছু কাজের কথা বলবেন বলে তার পাশে বসেছেন।



তখন রাত সাড়ে ১২টা, হঠাৎ স্বামীর মোবাইলটি বেজে উঠলো, তারপর আর কি, বন্ধুর সঙ্গে খোশগল্প জুড়ে দিলেন তিনি।



এদিকে ছেলের স্কুলে ভর্তির ব্যপারে স্ত্রীর জরুরি কথা আছে, খুব সকালে উঠেতে হবে, নানা কাজের তাড়া এসব ভেবে স্ত্রী স্বামীর এরকম রাত জেগে বন্ধুর সঙ্গে খোশগল্প করাটা মেনেই নিতে পারছেন না। সব মিলিয়ে তিনি যেন রেগে আগুন। তারপর আর কী, স্বামী ফোন রাখার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হলো স্ত্রীর জেরা; আর স্বামীর মোকাবেলার অধ্যায়, শুরু হলো খুনসুটি।



এমন সমস্যার মুখোমুখি যদি আপনিও হন, তখন কী করবেন। মনে রাখবেন সংসারে টুকটাক খুনসুটি তো হতেই পারে। কিন্তু যদি সবকিছু মিটমাট করতে চান তাহলে ঝগড়ার পর কিছু কাজ সঙ্গীর সঙ্গে একেবারেই করবেন না। আসুন জেনে নিই সেই কাজগুলো কী :



* খুনসুটির পর দীর্ঘ সময় নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখবেন না। এতে সম্পর্কের মাঝে টানাপড়েন দেখা দেবে।



* সঙ্গীর সামনে এমন ভাব দেখাবেন না, যেন কিছুই হয়নি। এতে সঙ্গীর রাগ আরও বাড়বে এবং খুনসুটি জটিল পর্যায়ে মোড় নেবে।



* সঙ্গী পরে যদি দুঃখ প্রকাশ করলে বা ক্ষমা চায় সঙ্গে সঙ্গে মেনে নিন। কোনোভাবেই সঙ্গীর সঙ্গে ওই মুহূর্তে এমন কোনো আচরণ করবেন না যাতে তিনি বিব্রত অনুভব করেন।



* ঝগড়ার সময় যে কথাগুলো বলেছিলেন পরে সেটা আর বলার চেষ্টা করবেন না। রাগের মাথায় মানুষ অনেক কিছুই বলে। সেগুলো যদি ধরে বসে থাকেন তাহলে বরং নিজের কষ্টই বাড়বে।



* খুনসুটির পর সঙ্গীকে একা থাকতে দিন, তবে বেশিক্ষণ নয়। কারণ সঙ্গী আপনার কাছে বেশি গুরুত্ব আশা করে এবং সবসময় পাশে চায়।



* সঙ্গীকে বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করতে যাবেন না। এতে হিতে বিরপীত হবে মানে আবার ঝগড়া শুরু হতে পারে।



* ঝগড়া মেটাতে সঙ্গীর সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইবেন না। এতে সঙ্গী আরো বেশি বিরক্ত হবে এবং আপনার প্রতি আস্থা হারাবে।