02-20-2017, 10:49 AM
পাঠকের প্রশ্ন: আপু আসসালামুআলাইকুম! আমি গুছিয়ে বলতে পারিনা, প্লিজ একটু ধৈর্য্য ধরে পড়বেন। আমার বিয়ের বয়স পাঁচ বছর। দু সন্তান-মেয়ে তিন বছর, ছেলে ছয় মাস। আমি ব্যাংকে চাকরি করি, স্বামী ব্যবসা।
আমাদের প্রেমের বিয়ে। সমবয়সী তাই বাড়ি থেকে মানবে না। নিজেরাই প্রথমে বিয়ে করি, পরে উপায় না দেখে দুই বাড়ি থেকে নতুন করে বিয়ে দেয়। ওদের অবস্থা বেশ ভাল, সম্মানী পরিবার, ওর মা আমরা যে স্কুলে পড়তাম,সেখানকার টিচার ছিলেন!
বিয়ের পর দিন থেকেই আমার স্বামীর সাথে আমার সমস্যার শুরু,বিষয় পর্ণ দেখা। এখন পর্যন্ত এটা নিয়ে তার সাথে আমার যুদ্ধ! বিয়ের দুবছর পর আমার ব্যাংকে চাকরি হয়, পোস্টিং হয় বাড়ি থেকে অনেক দূরে। তারপর থেকেই আমি স্বামী সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন। অবশ্য আমার কোন সংসার নাই। আমার শ্বশুড় মারা গেছেন, শ্বাশুড়ী মা সংসারের সব। উনি খরচ চালান, ছেলে ব্যবসা করা স্বত্তেও সংসারের জন্য খরচ নেন না,ছোট ছেলে তো খুব আদরের, কোন বিষয়ে দ্বায়িত্ব নাই। আর তাই যা আয় হয় বাজে খরচ বেশী করে, তিন বেলা বাইরে খায়, যা মন চায় কেনে। বিয়ের পর থেকে আমার সব খরচ শ্বাশুড়ী মা বহন করেছেন, এমনকি আমার মেয়ের খরচও আমার চাকরি না হওয়া পর্যন্ত উনি বহন করতেন। আর তাই সব বিষয়ে তার ইচ্ছাতেই আমার সব করতে হত, নিজের ইচ্ছায় কিছু করতে পারতাম না। প্রচুর কথা শুনতে হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে,তখন ওটাই ছিল স্বাভাবিক। চাকরি করার পর থেকে আমি আমার, আমার সন্তান ও আমার ছোট বোনের পড়ার খরচ দেই। আর একটা কথা, আমি এখন আমার মায়ের বাড়ির কাছের ব্রাঞ্চে আছি, তাই এখন মায়ের বাড়িতে থাকি।
আমার স্বামীর খারাপ দোষ হল দ্বায়িত্ব বলতে কোন ব্যাপার তার মধ্যে নেই। বিয়ের পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন দিন আমাকে বলেনি আমার কিছু লাগবে কিনা বা কোন জিনিস শখ করে কিনে দেয়নি/কোথাও ঘুরতে নিয়ে যায়নি। আমার কোন প্রস্তুতি ছাড়াই দুটো সন্তান হয়ে গেছে। আশা ছিল বাচ্চাদের প্রতি অন্তত মায়া হবে, দ্বায়িত্ববোধ জন্মাবে, কিন্তু তা হয়নি। বাচ্চাদের প্রতি তাঁর নূন্যতম আকর্ষন নেই।
ছেলে হওয়ার পর পুরা ছুটিটা শ্বশুড় বাড়ি ছিলাম,তখন থেকেই তার আচরণে আমি হতাশ। ও আমি থাকা স্বত্তেও পর্ন দেখতো। অবশ্য আমার সামনে না,ওর দোকান এ বসে ওসব দেখতো। আমি ওর আইডি পাসওয়ার্ড জেনে ফেলেছিলাম, তাই চেক করতাম ইউটিউবে কী দেখে!
আর আমার ধারণা ও টাকার প্রতি খুব দূর্বল ,যে কয়টা মাস ওখানে ছিলাম বেতন হওয়া মাত্র টাকা নিত। আমি অবশ্য জোর করে টাকা পরে ফেরত নিতাম,কারণ বাচ্চাদের সব আমাকে দেখতে হয়। ওর এই স্বভাবটার জন্য শ্বশুড় বাড়িতে ট্রান্সফার নিয়ে যেতে ইচ্ছা হয়না, কারণ ওর মা রিটায়ার করছেন। আমি গেলে এখন আমাকেই সংসারের হাল ধরতে হবে। আমার শ্বাশুড়ি ছেলেকে কিছুতেই এসব দ্বায়িত্ব দিতে চান না, শুধু বলবেন- ও আগে ভাল করে ব্যবসা দাঁড় করাক। অথচ ছেলে ঠিকই রাজ্যের ফালতু খরচ করে,তারপরও।
এখন সব মিলিয়ে আমি হতাশ,আমার কোন ভবিষ্যত আমি দেখতে পারছিনা। ও কোন দ্বায়িত্ব বহন করেনা,তার উপর পর্ন দেখতে খুব পছন্দ করে। বিয়ের পরের দিন থেকে এটা জানার পর এটা আমার কাছে আতঙ্কের মত,আমি খুব ঘৃণা করি এটাকে। দু বাচ্চার বাবা হয়ে কেউ যদি এই আচরণ করে, আমি কী করবো?
গত দু সপ্তাহ ধরে তার সাথে কোন রকম যোগাযোগ করি না, তাকেও না করছি যোগাযোগ করতে। তাকে এত করে এত বার অনুরোধ করছি এটা ছাড়তে, কথা দেয় বাচ্চার মাথায় হাত দিয়ে যে আর দেখবেনা, কিন্তু ঠিকই দেখে! সেও আর যোগাযোগ করেনা। আমি বুঝতে পারছি না, আমি কী করবো? দু বাচ্চার মখের দিকে তাকিয়ে এই পর্ণের সাথে সমঝোতা করে সব ইচ্ছা ত্যাগ করে সংসারের বোঝা একা টানবো নাকি সব শেষ করে দিব?
তার আর একটা খারাপ দিক,তার সাথে আমার যে বিষয়ে যে কথাই হোক, ওর মাকে তা অবশ্যই বলবে এবং ওর মার সামনে আমার দোষ তুলে ধরে রাগারাগি করে,নিজ থেকে আগের পুরাতন দোষ তুলেও উনার সামনে আমাকে ছোট করে প্রায়ই। ফলে শ্বাশুড়ি মাও যে কোন বিষয়ে আমাকে কটু কথা খুব ভদ্র ভাবে প্রায়ই বলেন!
আমার কাছে শ্বশুড় বাড়ি আতঙ্কের মত, শ্বাশুড়িকে যমের মত ভয় পাই। উনি যা বলেন,চুপচাপ শুনে যাই। আমি আর পারছিনা। আমি কী করবো, শেষ করবো সম্পর্কটা? আমি ওকে ভালোবাসি, কিন্তু ওর পর্ন দেখার অভ্যাস,আমাকে ছোট করার অভ্যাস মানতে পারিনা।
প্রশ্নটি আমাদের ফেসবুক পেজে করেছেন : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চাকরিজীবী মা।
চাইলে আপনিও যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের কাছে। আর নিজের নাম গোপন রাখতে চাইলে প্রশ্ন পাঠাতে পারেন পেজের ইনবক্সে, সঙ্গে লিখে দিতে হবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
স্বাস্থ্য হোক বা সৌন্দর্য, খেলা হোক বা সিনেমা, দাম্পত্য বা প্রেম, অফিসের সমস্যা কিংবা আইনি, বিজ্ঞান হোক বা রাজনীতি, স্কুল-কলেজ হোক বা সামাজিক ও পারিবারিক কোনো সমস্যা। যে কোনো সমস্যা লিখে জানান আমাদের। আপনার হয়ে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করবো আমরা।
আপনার প্রশ্ন, বিশেষজ্ঞের উত্তর।
আপনার জন্যই অপেক্ষায় আছি আমরা।
আমাদের প্রেমের বিয়ে। সমবয়সী তাই বাড়ি থেকে মানবে না। নিজেরাই প্রথমে বিয়ে করি, পরে উপায় না দেখে দুই বাড়ি থেকে নতুন করে বিয়ে দেয়। ওদের অবস্থা বেশ ভাল, সম্মানী পরিবার, ওর মা আমরা যে স্কুলে পড়তাম,সেখানকার টিচার ছিলেন!
বিয়ের পর দিন থেকেই আমার স্বামীর সাথে আমার সমস্যার শুরু,বিষয় পর্ণ দেখা। এখন পর্যন্ত এটা নিয়ে তার সাথে আমার যুদ্ধ! বিয়ের দুবছর পর আমার ব্যাংকে চাকরি হয়, পোস্টিং হয় বাড়ি থেকে অনেক দূরে। তারপর থেকেই আমি স্বামী সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন। অবশ্য আমার কোন সংসার নাই। আমার শ্বশুড় মারা গেছেন, শ্বাশুড়ী মা সংসারের সব। উনি খরচ চালান, ছেলে ব্যবসা করা স্বত্তেও সংসারের জন্য খরচ নেন না,ছোট ছেলে তো খুব আদরের, কোন বিষয়ে দ্বায়িত্ব নাই। আর তাই যা আয় হয় বাজে খরচ বেশী করে, তিন বেলা বাইরে খায়, যা মন চায় কেনে। বিয়ের পর থেকে আমার সব খরচ শ্বাশুড়ী মা বহন করেছেন, এমনকি আমার মেয়ের খরচও আমার চাকরি না হওয়া পর্যন্ত উনি বহন করতেন। আর তাই সব বিষয়ে তার ইচ্ছাতেই আমার সব করতে হত, নিজের ইচ্ছায় কিছু করতে পারতাম না। প্রচুর কথা শুনতে হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে,তখন ওটাই ছিল স্বাভাবিক। চাকরি করার পর থেকে আমি আমার, আমার সন্তান ও আমার ছোট বোনের পড়ার খরচ দেই। আর একটা কথা, আমি এখন আমার মায়ের বাড়ির কাছের ব্রাঞ্চে আছি, তাই এখন মায়ের বাড়িতে থাকি।
আমার স্বামীর খারাপ দোষ হল দ্বায়িত্ব বলতে কোন ব্যাপার তার মধ্যে নেই। বিয়ের পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন দিন আমাকে বলেনি আমার কিছু লাগবে কিনা বা কোন জিনিস শখ করে কিনে দেয়নি/কোথাও ঘুরতে নিয়ে যায়নি। আমার কোন প্রস্তুতি ছাড়াই দুটো সন্তান হয়ে গেছে। আশা ছিল বাচ্চাদের প্রতি অন্তত মায়া হবে, দ্বায়িত্ববোধ জন্মাবে, কিন্তু তা হয়নি। বাচ্চাদের প্রতি তাঁর নূন্যতম আকর্ষন নেই।
ছেলে হওয়ার পর পুরা ছুটিটা শ্বশুড় বাড়ি ছিলাম,তখন থেকেই তার আচরণে আমি হতাশ। ও আমি থাকা স্বত্তেও পর্ন দেখতো। অবশ্য আমার সামনে না,ওর দোকান এ বসে ওসব দেখতো। আমি ওর আইডি পাসওয়ার্ড জেনে ফেলেছিলাম, তাই চেক করতাম ইউটিউবে কী দেখে!
আর আমার ধারণা ও টাকার প্রতি খুব দূর্বল ,যে কয়টা মাস ওখানে ছিলাম বেতন হওয়া মাত্র টাকা নিত। আমি অবশ্য জোর করে টাকা পরে ফেরত নিতাম,কারণ বাচ্চাদের সব আমাকে দেখতে হয়। ওর এই স্বভাবটার জন্য শ্বশুড় বাড়িতে ট্রান্সফার নিয়ে যেতে ইচ্ছা হয়না, কারণ ওর মা রিটায়ার করছেন। আমি গেলে এখন আমাকেই সংসারের হাল ধরতে হবে। আমার শ্বাশুড়ি ছেলেকে কিছুতেই এসব দ্বায়িত্ব দিতে চান না, শুধু বলবেন- ও আগে ভাল করে ব্যবসা দাঁড় করাক। অথচ ছেলে ঠিকই রাজ্যের ফালতু খরচ করে,তারপরও।
এখন সব মিলিয়ে আমি হতাশ,আমার কোন ভবিষ্যত আমি দেখতে পারছিনা। ও কোন দ্বায়িত্ব বহন করেনা,তার উপর পর্ন দেখতে খুব পছন্দ করে। বিয়ের পরের দিন থেকে এটা জানার পর এটা আমার কাছে আতঙ্কের মত,আমি খুব ঘৃণা করি এটাকে। দু বাচ্চার বাবা হয়ে কেউ যদি এই আচরণ করে, আমি কী করবো?
গত দু সপ্তাহ ধরে তার সাথে কোন রকম যোগাযোগ করি না, তাকেও না করছি যোগাযোগ করতে। তাকে এত করে এত বার অনুরোধ করছি এটা ছাড়তে, কথা দেয় বাচ্চার মাথায় হাত দিয়ে যে আর দেখবেনা, কিন্তু ঠিকই দেখে! সেও আর যোগাযোগ করেনা। আমি বুঝতে পারছি না, আমি কী করবো? দু বাচ্চার মখের দিকে তাকিয়ে এই পর্ণের সাথে সমঝোতা করে সব ইচ্ছা ত্যাগ করে সংসারের বোঝা একা টানবো নাকি সব শেষ করে দিব?
তার আর একটা খারাপ দিক,তার সাথে আমার যে বিষয়ে যে কথাই হোক, ওর মাকে তা অবশ্যই বলবে এবং ওর মার সামনে আমার দোষ তুলে ধরে রাগারাগি করে,নিজ থেকে আগের পুরাতন দোষ তুলেও উনার সামনে আমাকে ছোট করে প্রায়ই। ফলে শ্বাশুড়ি মাও যে কোন বিষয়ে আমাকে কটু কথা খুব ভদ্র ভাবে প্রায়ই বলেন!
আমার কাছে শ্বশুড় বাড়ি আতঙ্কের মত, শ্বাশুড়িকে যমের মত ভয় পাই। উনি যা বলেন,চুপচাপ শুনে যাই। আমি আর পারছিনা। আমি কী করবো, শেষ করবো সম্পর্কটা? আমি ওকে ভালোবাসি, কিন্তু ওর পর্ন দেখার অভ্যাস,আমাকে ছোট করার অভ্যাস মানতে পারিনা।
প্রশ্নটি আমাদের ফেসবুক পেজে করেছেন : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চাকরিজীবী মা।
চাইলে আপনিও যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের কাছে। আর নিজের নাম গোপন রাখতে চাইলে প্রশ্ন পাঠাতে পারেন পেজের ইনবক্সে, সঙ্গে লিখে দিতে হবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
স্বাস্থ্য হোক বা সৌন্দর্য, খেলা হোক বা সিনেমা, দাম্পত্য বা প্রেম, অফিসের সমস্যা কিংবা আইনি, বিজ্ঞান হোক বা রাজনীতি, স্কুল-কলেজ হোক বা সামাজিক ও পারিবারিক কোনো সমস্যা। যে কোনো সমস্যা লিখে জানান আমাদের। আপনার হয়ে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করবো আমরা।
আপনার প্রশ্ন, বিশেষজ্ঞের উত্তর।
আপনার জন্যই অপেক্ষায় আছি আমরা।