Forums.Likebd.Com

Full Version: বাড়ন্ত শিশুর খাদ্য তালিকায় এই ৯টি খাবার রাখছেন তো?
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
একটি শিশুর খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর এবং সুষম খাদ্য রাখা অপরিহার্য। বড়দের তুলনায় বাড়ন্ত শিশুদের খাবার অধিক পুষ্টিসমৃদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। বাড়ন্ত বয়সে শিশুদের পুষ্টি উপাদান বিশেষ করে ভিটামিন এবং মিনারেলের প্রয়োজন পড়ে যা তার মেধা বিকাশে সাহায্য করে। বর্তমান সময়ে শিশুরা ফাস্ট ফুডের প্রতি বেশি ঝুঁকে থাকে, তাই এইসময় শিশুদের খাবারে পুষ্টিকর খাবার রাখা আরো বেশি প্রয়োজন হয়ে পড়ে। অনেক সময় মায়েরা বোঝেন না কোন ধরনের খাবার শিশুর খাদ্য তালিকায় রাখবেন। তাদের জন্য আজকের এই ফিচার।

১। দুধ

শিশুর বৃদ্ধির জন্য দুধ অপরিহার্য একটি উপাদান। ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস দুধের দুটি গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল যা দাঁত, হাড় এবং নখ মজবুত করতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন ডি, প্রোটিন, জিঙ্ক, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২, নিয়াসিন এবং ভিটামিন বি৬। দুই বছর পর্যন্ত শিশুকে ফুল ক্রিম দুধ দিন। দুধ খেতে পছন্দ না করলে পুডিং, কাস্টার্ড ইত্যাদির মাধ্যমে শিশুকে দুধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করুন।

২। ডিম

বাড়ন্ত শিশুর জন্য আরেকটি প্রয়োজনীয় উপাদান হলো ডিম। ডিমে থাকা ভিটামিন বি শিশুর মস্তিষ্ক উন্নত করতে সাহায্য করে। ডিমে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ডি, ফোলেট, জিঙ্ক, আয়রন এবং সেলিয়াম শিশুর গ্রো বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

৩। ব্রকলি

সবজির মধ্যে ব্রকলি অন্যতম একটি সবজি যাতে ক্যালসিয়ামসহ আরো নানান উপাদান রয়েছে। এতে রয়েছে ফাইবার, ফসফরাস, জিঙ্ক, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক এবং ফলিক অ্যাসিড। প্রতিদিনকার সবজির সাথে ব্রকলি রাখুন।

৪। টকদই

বাড়ন্ত শিশুর জন্য টকদই বেশ প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেড, ভিটামিন বি, জিঙ্ক এবং ফসফরাস। হাড়, দাঁত, মজবুত করার পাশাপাশি টকদই শিশুর শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।

৫। মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলুতে থাকা বিটা ক্যারটিন এবং অন্যান্য ক্যারোটিনসাইড শিশুর দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। মিষ্টি আলু সিদ্ধ, রান্না বা চিপস যেকোনো ভাবে শিশুকে খাওয়াতে পারেন।

৬। ওটস

অনেকেই মনে করেন ওটস খাবারটি বড়দের খাবার, শিশুরা খেতে পারে না। অথচ সকালের নাস্তায় শিশুকে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে যে সকল শিশুরা সকালের নাস্তায় ওটস খেয়ে থাকেন সেসব শিশুরা স্কুলে অধিক মনোযোগ ধরে রাখতে পারে।

৭। চিজ

স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে চিজ অন্যতম। বাড়ন্ত শিশুকে নিয়মিতভাবে চিজ খেতে দিতে পারেন। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি১২, ফসফরাস ইত্যাদি। তবে খুব বেশি চিজ বা চিজ জাতীয় খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত রাখা উচিত।

৮। মাছ

শিশুরা মাছ খেতে পছন্দ করে না। কিন্তু শিশুদেরকে সপ্তাহে কমপক্ষে দুইদিন খাদ্য তালিকায় মাছ রাখুন। পুষ্টির সকল উপাদান মাছের মধ্যে পাবেন। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ খাদ্য তালিকায় আরখুন। এর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে সহায়তা করবে।

৯। বিনস

শিশুর জন্য বিনস পুষ্টিকর একটি খাবার। এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন এবং ভিটামিন বি শিশুর ওজন ধরে রাখতে সাহায্য করে।

অন্যান্য খাবারের সাথে বাড়ন্ত শিশুর খাদ্য তালিকায় এই খাবারগুলো রাখুন। এগুলো খাবারগুলো শিশুর চাহিদা পূরণ করে শিশুকে সুস্থ রাখবে।

সূত্র: টপ টেন হেলেথ রিমিডিস