Forums.Likebd.Com

Full Version: শিশুর ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে ১১ টি সুপার ফুড
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
প্রত্যেক বাবা-মা তাদের সন্তানের খাবার নিয়ে চিন্তিত থাকেন। আপনার সন্তান কী পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছে? সে কি তার শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন পাচ্ছে? অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বা ভিটামিনেরই বা কী অবস্থা? শিশুর জন্য সঠিক খাদ্য নির্বাচনে অনেক পরিশ্রম করতে হয় আপনার। চলুন তাহলে জেনে নিই এমন কিছু সুপার ফুডের কথা যেগুলো সকল ধরনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে, শিশুর বৃদ্ধি ও গঠনে সাহায্য করবে এবং অবশ্যই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি বৃদ্ধি করবে।

১। ডিম

সেদ্ধ, পোচ বা ভুনা করা ইত্যাদি যেকোন ধরনের ডিমই খুব ভালো একটি সুপার ফুড। ডিম হচ্ছে প্রথম শ্রেণীর প্রোটিনের উৎস। ডিমের কুসুম হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন ও খনিজের সংরক্ষণাগার, যা আপনার শিশুর খাওয়া উচিৎ। এছাড়াও ডিমের কুসুমে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও থাকে।

২। বাদাম ও শুকনো ফল

সকল ধরনের বাদাম ও শুকনো ফল যেমন- পেস্তা বাদাম, আখরোট, কিশমিশ, শুকনো ডুমুর, খেজুর ইত্যাদি আপনার শিশুকে মুঠো ভরে খেতে দিন। যদি আপনার সন্তান এগুলো খেতে না চায় তাহলে বাদাম ও শুকনো ফলের বিস্কুট বা চকলেট বা বাদাম পাপড়ি (Nuts chikki) খেতে দিন স্ন্যাক্স হিসেবে।

৩। জাম জাতীয় ফল

আকার কোন বিষয় নয়। এই ছোট ও রঙিন ফলগুলো সত্যিই পুষ্টিতে ভরপুর।তাই স্ট্রবেরি বা জাম আপনার সন্তানকে খেতে দিন।

৪। রঙিন ফল

আপনার শিশুর খাদ্যতালিকায় শুধু আপেল, কলা বা কমলাই রাখবেন না। তাকে অন্যান্য রঙিন ফল যেমন- ডালিম, তরমুজ ইত্যাদি ফলগুলো খেতে শেখানো প্রয়োজন।

৫। সবুজ সবজি

পালংশাক এবং মেথি ফলিক এসিড ও জিংক এর সমৃদ্ধ উৎস। এগুলোতে প্রচুর ভিটামিনও থাকে। সবুজ খাবার ইমিউনিটির উন্নতিতে এবং ডিএনএ-এর মেরামতেও সাহায্য করে।

৬। ক্রুসিফেরি পরিবারের সবজি

ফুলকপি, ব্রোকলি ও বাঁধাকপির কথা ভুলে গেলে চলবে না। কারণ এগুলোতে ক্যান্সার রোধী উপাদান ছাড়াও ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করার উপাদানও থাকে।

৭। রঙিন সবজি

শিশুকে সবুজ সবজি খাওয়ানো গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অন্য রঙিন সবজির কথা ভুলে গেলেও চলবে না। তাই আপনার শিশুকে গাজর, বিট ফল, লাল ও হলুদ ক্যাপসিকাম, টমেটো, মিষ্টি আলু ইত্যাদি সবজিগুলো খেতে দিন। কারণ এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ।

৮। হোল গ্রেইন / আস্ত শস্য

আস্ত শস্য ফাইবারে সমৃদ্ধ বলে আপনার শিশুকে আস্ত শস্য থেকে তৈরি খাবার খেতে দিন। শুধু গমের তৈরি রুটি না দিয়ে মাল্টি গ্রেইন বা বিভিন্ন ধরনের শস্য দিয়ে তৈরি করা খাবার খাওয়ান শিশুকে।

৯। দই

টক দই শিশুদের পছন্দ হবেনা, তাই ওদেরকে বিভিন্ন ফ্লেভারের দই খেতে দিতে পারেন। দই প্রোবায়োটিকে পরিপূর্ণ। এর উপকারী ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের খারাপ ব্যাকটেরিয়ার সম্মিলনকে বাঁধা দেয় বলে শিশুর পাকস্থলীর সংক্রমণ হয়না এবং শিশু সুস্থ থাকে।

১০। রসুন এবং পেঁয়াজ

অন্ত্রের H. pylori ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে পেঁয়াজ ও রসুন। শিশুর খাবারে পেঁয়াজ ও রসুন যোগ করুন।

১১। স্যামন মাছ

স্যামন মাছ ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডে সমৃদ্ধ যা মস্তিষ্কের গঠনে, দৃষ্টিশক্তির উন্নয়নে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য প্রয়োজনীয়।

সূত্র : দ্যা হেলথ সাইট