02-21-2017, 09:59 PM
বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই আপনার হাঁটুতে যদি মটমট শব্দ হয় কিন্তু ব্যথা না করে তাহলে এটি শুধু একধরনের শব্দ যা গ্যাসের বুদবুদ ফেটে যাওয়ার কারণে হয়, বলেন ম্যাসাচুসেটস এর ক্রেসি স্পোর্টস পারফর্মেন্স এর সহকারী প্রতিষ্ঠাতা টনি জেন্টিলকোর। এ রকম শব্দের কারণে ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু এই গ্যাসগুলো - অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও কার্বনডাইঅক্সাইড হচ্ছে সাইনুভিয়াল ফ্লুয়িড এর অংশ। যা জয়েন্টকে পিচ্ছিল রাখতে সাহায্য করে। তাই চিন্তিত হবেন না।
হাঁটুর আরেকটি অক্ষতিকর শব্দের উৎস হচ্ছে – আপনার হাঁটুর টেন্ডনগুলো তার নিজের অবস্থান থেকে সামান্য সরে গিয়ে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে এলে হতে পারে মটমট শব্দ। এ ধরনের শব্দ হওয়ার সাথে কোন ব্যথা থাকে না।
জেন্টিলকোর বলেন, কিছু মানুষ উবু হওয়ার সময় হাঁটুর উপর অনেকবেশি চাপ দেয় – এর ফলে হাঁটুর জয়েন্টে অনেক বেশি চাপ পড়ে। এর ফলে তাদের তরুণাস্থি ক্ষয় হয় এবং এর মসৃণতা কমে যায়। হাঁটু ভাজ করার সময় অস্থি ও তরুণাস্থির মধ্যের সংঘর্ষের কারণে শব্দ সৃষ্টি হয়।
যদি এ ধরনের শব্দের সাথে সাথে হাঁটুতে ব্যথাও হয় তাহলে একজন চিকিৎসককে দেখানো ভালো। চিকিৎসক হয়তো আপনাকে কাজ থেকে কিছুটা বিরতি নিতে পরামর্শ দেবেন।
যে কারণে হাঁটুতে শব্দ হওয়ার পাশাপাশি ব্যথা ও ফুলে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে-
১। মেনিসকাস টিয়ারস
মেনিসকাস হচ্ছে রাবারের মত সি আকৃতির ডিস্ক যা হাঁটুকে নিরাপত্তা দেয় এবং আঘাত শোষণ করে নেয়। হাঁটুর অস্থিগুলো যেনো পরস্পর ঘষা না লাগে সেজন্য সাহায্য করে এটি। খেলার সময় বা হঠাৎ করেই হাঁটু ভাজ করলে মেনিসকাস এর মধ্যে চিড় ধরে। তরুণদের মধ্যে আঘাতের কারণে হয়ে থাকে এ ধরনের ফাটল কিন্তু বয়স্কদের মধ্যে এরকম হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।
২। তরুণাস্থিতে আঘাত
কখনো কখনো অস্থিকে ঢেকে রাখা তরুণাস্থিতেও আঘাত লেগে ফাটল ধরতে পারে। এক্ষেত্রে হাঁটুতে ফোলা দেখা যায় বা সংক্রমণ হয়। হাঁটুর তরুণাস্থি পাতলা হয়ে ভেঙ্গে যেতে পারে যাকে আরথ্রাইটিস বলে। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এমন অনুভূতি হয় যে, তাদের হাঁটুটি নড়াচড়া করার সময় হাঁটুর বাটিটি (প্যাটেলা) ঘুরে যায়। আরথ্রাইটিসের সবচেয়ে সাধারণ রূপটি হচ্ছে অষ্টিওআরথ্রাইটিস, সাধারণত মধ্য বয়সীদের ও বৃদ্ধদের হয়ে থাকে।
হাঁটুকে সুস্থ রাখার জন্য যা করবেন
- নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে পা ও হাঁটু সুস্থ থাকে। সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা করলে ও সাইকেল চালালে হাঁটুর পেশী শক্তিশালী হয়।
- ব্যায়ামের পূর্বে ওয়ার্ম আপ করে নিন।
- ব্যায়ামের পর ৩০ সেকেন্ডের জন্য স্ট্রেচিং করুন। এর ফলে আঘাত পাওয়া থেকে রক্ষা পাবেন।
- দীর্ঘক্ষণ ও কঠিন ব্যায়ামের পূর্বে হালকা ব্যায়াম করুন।
- ভালো মানের ও সঠিক মাপের জুতা পরুন।
- ওজন স্বাভাবিক রাখুন। মাত্রাতিরিক্ত ওজন হাঁটুর উপর চাপ ফেলে।
সূত্র: প্রিভেনশন ও ওয়েবএমডি
হাঁটুর আরেকটি অক্ষতিকর শব্দের উৎস হচ্ছে – আপনার হাঁটুর টেন্ডনগুলো তার নিজের অবস্থান থেকে সামান্য সরে গিয়ে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে এলে হতে পারে মটমট শব্দ। এ ধরনের শব্দ হওয়ার সাথে কোন ব্যথা থাকে না।
জেন্টিলকোর বলেন, কিছু মানুষ উবু হওয়ার সময় হাঁটুর উপর অনেকবেশি চাপ দেয় – এর ফলে হাঁটুর জয়েন্টে অনেক বেশি চাপ পড়ে। এর ফলে তাদের তরুণাস্থি ক্ষয় হয় এবং এর মসৃণতা কমে যায়। হাঁটু ভাজ করার সময় অস্থি ও তরুণাস্থির মধ্যের সংঘর্ষের কারণে শব্দ সৃষ্টি হয়।
যদি এ ধরনের শব্দের সাথে সাথে হাঁটুতে ব্যথাও হয় তাহলে একজন চিকিৎসককে দেখানো ভালো। চিকিৎসক হয়তো আপনাকে কাজ থেকে কিছুটা বিরতি নিতে পরামর্শ দেবেন।
যে কারণে হাঁটুতে শব্দ হওয়ার পাশাপাশি ব্যথা ও ফুলে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে-
১। মেনিসকাস টিয়ারস
মেনিসকাস হচ্ছে রাবারের মত সি আকৃতির ডিস্ক যা হাঁটুকে নিরাপত্তা দেয় এবং আঘাত শোষণ করে নেয়। হাঁটুর অস্থিগুলো যেনো পরস্পর ঘষা না লাগে সেজন্য সাহায্য করে এটি। খেলার সময় বা হঠাৎ করেই হাঁটু ভাজ করলে মেনিসকাস এর মধ্যে চিড় ধরে। তরুণদের মধ্যে আঘাতের কারণে হয়ে থাকে এ ধরনের ফাটল কিন্তু বয়স্কদের মধ্যে এরকম হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।
২। তরুণাস্থিতে আঘাত
কখনো কখনো অস্থিকে ঢেকে রাখা তরুণাস্থিতেও আঘাত লেগে ফাটল ধরতে পারে। এক্ষেত্রে হাঁটুতে ফোলা দেখা যায় বা সংক্রমণ হয়। হাঁটুর তরুণাস্থি পাতলা হয়ে ভেঙ্গে যেতে পারে যাকে আরথ্রাইটিস বলে। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এমন অনুভূতি হয় যে, তাদের হাঁটুটি নড়াচড়া করার সময় হাঁটুর বাটিটি (প্যাটেলা) ঘুরে যায়। আরথ্রাইটিসের সবচেয়ে সাধারণ রূপটি হচ্ছে অষ্টিওআরথ্রাইটিস, সাধারণত মধ্য বয়সীদের ও বৃদ্ধদের হয়ে থাকে।
হাঁটুকে সুস্থ রাখার জন্য যা করবেন
- নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে পা ও হাঁটু সুস্থ থাকে। সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা করলে ও সাইকেল চালালে হাঁটুর পেশী শক্তিশালী হয়।
- ব্যায়ামের পূর্বে ওয়ার্ম আপ করে নিন।
- ব্যায়ামের পর ৩০ সেকেন্ডের জন্য স্ট্রেচিং করুন। এর ফলে আঘাত পাওয়া থেকে রক্ষা পাবেন।
- দীর্ঘক্ষণ ও কঠিন ব্যায়ামের পূর্বে হালকা ব্যায়াম করুন।
- ভালো মানের ও সঠিক মাপের জুতা পরুন।
- ওজন স্বাভাবিক রাখুন। মাত্রাতিরিক্ত ওজন হাঁটুর উপর চাপ ফেলে।
সূত্র: প্রিভেনশন ও ওয়েবএমডি