02-21-2017, 10:00 PM
খাদ্যভ্যাসের কোনো পরিবর্তন ছাড়া শুধুই ব্যায়াম আপনার ওজন কমানো এমনকি বর্তমান ওজন ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট নয়, জানা গেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।
আমেরিকায় বর্তমানে ব্যাপক হারে ওবেসিটি দেখা দিয়েছে। শরীরচর্চার অভাবে তা হচ্ছে কিনা, তা দেখাই ছিল এই গবেষণার প্রতিপাদ্য, জানান গবেষণার মূল লেখক লারা ডুগাস। তিনি লয়োলা ইউনিভার্সিটি শিকাগো স্কুল অফ মেডিসিনের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর।
ওবেসিটির কারণ দেখার জন্য তিনি মানুষের খাদ্যভ্যাস পর্যবেক্ষণের কথা বলেন লাইভ সায়েন্সকে। অতীতের বিভিন্ন রিসার্চেও ওবেসিটির সাথে উচ্চ ক্যালোরির খাবার ও মিষ্টি পানীয় পানের যোগসূত্র দেখানো হয়েছে। নতুন এই গবেষণায় দেখা যায়, সাপ্তাহিক কত ঘন্টা সময় এসব মানুষ ব্যায়াম করেন সেটা তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণের ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না। এমনকি যারা অন্যদের চাইতে বেশী ব্যায়াম করেছিলেন, গবেষণার ২ বছরের সময় তাদের ওজন বাড়তে দেখা যায়। অন্যদিকে, যারা অন্যদের চাইতে কম ব্যায়াম করেন, তারা আবার ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন। এই গবেষণাটি PeerJ জার্নালে প্রকাশিত হয় জানুয়ারিতে। গবেষণাটি বলে “শুধু শরীরচর্চা ওজন বাড়া ঠেকাতে কার্যকরী নয়,” জানান ডুগাস।
এই গবেষণায় আমেরিকা, ঘানা, সাউথ আফ্রিকা, জামাইকা এবং ইন্ডিয়ান ওশেনের একটি দ্বীপদেশ সেচেলেস এর ১,৯০০ মানুষের তথ্য নেওয়া হয়। শুরুতে সকল অংশগ্রহণকারীকে ট্র্যাকিং ডিভাইস পরতে বলা হয় এক সপ্তাহের জন্য। এতে তারা কতটা সময় ব্যায়াম করেন তার তথ্য রাখা হয়। আমেরিকার সার্জন জেনারেলের ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি গাইডলাইনের সাথে তা যায় কিনা সেটা মিলিয়ে দেখা হয়। এই গাইডলাইন বলে, প্রতি সপ্তাহে একজন মানুষের কমপক্ষে আড়াই ঘন্টা মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম করা দরকার।
গবেষকেরা প্রতি অংশগ্রহণকারীর ওজন, উচ্চতা এবং বডি ফ্যাট ৩ বার পরিমাপ করেন- গবেষণার শুরুতে, এক বছর পর এবং দুই বছর পর।
গবেষণার শুরুতে ঘানার মানুষদের ওজন গড়ে সবচাইতে কম ছিল (নারী ও পুরুষের গড়ে ৬৩ কিলোগ্রাম) , আর আমেরিকার মানুষদের ওজন ছিল সবচাইতে বেশী (নারী ও পুরুষদের গড়ে ৯২ কেজি ও ৯৩ কেজি)।
গবেষণার ২ বছর শেষে দেখা যায়, যারা শুরুতে গাইডলাইন মেনে ব্যায়াম করেন তাদের ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে অন্যদের তুলনায় বেশী। উদাহরণস্বরূপ, আমেরিকার যেসব মানুষ গাইডলাইন মেনে চলেন তাদের ওজন বছরে গড়ে হাফ পাউন্ড করে বাড়ে। আর যারা গাইডলাইন মেনে চলেন না তাদের ওজন বছরে কমে গড়ে হাফ পাউন্ড। এই ব্যাপারটা শুধু আমেরিকানদের জন্য নয়, অন্য দেশগুলোর মানুষের জন্যও প্রযোজ্য হতে দেখা যায়। তাই এটা অন্যান্য জনগোষ্ঠীর জন্যও প্রযোজ্য হতে পারে, বলেন ডুগাস।
ব্যায়াম কেন মানুষকে ওজন কমাতে সাহায্য করে না, সে ব্যাপারটা পরিষ্কার নয়। একটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হতে পারে যে ব্যায়ামের ফলে মানুষের ক্ষুধা বাড়ে, তারা স্বাভাবিকের চাইতে বেশী খেয়ে থাকেন।
গবেষণার ফলাফল এমন হলেও ব্যায়াম ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না, বলেন ডুগাস। ব্যায়ামের প্রচুর উপকারিতা আছে। অতীতের গবেষণা বলে যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। এছাড়া মেজাজ এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে, এমনকি আয়ুও বাড়ায়।
আমেরিকায় বর্তমানে ব্যাপক হারে ওবেসিটি দেখা দিয়েছে। শরীরচর্চার অভাবে তা হচ্ছে কিনা, তা দেখাই ছিল এই গবেষণার প্রতিপাদ্য, জানান গবেষণার মূল লেখক লারা ডুগাস। তিনি লয়োলা ইউনিভার্সিটি শিকাগো স্কুল অফ মেডিসিনের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর।
ওবেসিটির কারণ দেখার জন্য তিনি মানুষের খাদ্যভ্যাস পর্যবেক্ষণের কথা বলেন লাইভ সায়েন্সকে। অতীতের বিভিন্ন রিসার্চেও ওবেসিটির সাথে উচ্চ ক্যালোরির খাবার ও মিষ্টি পানীয় পানের যোগসূত্র দেখানো হয়েছে। নতুন এই গবেষণায় দেখা যায়, সাপ্তাহিক কত ঘন্টা সময় এসব মানুষ ব্যায়াম করেন সেটা তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণের ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না। এমনকি যারা অন্যদের চাইতে বেশী ব্যায়াম করেছিলেন, গবেষণার ২ বছরের সময় তাদের ওজন বাড়তে দেখা যায়। অন্যদিকে, যারা অন্যদের চাইতে কম ব্যায়াম করেন, তারা আবার ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন। এই গবেষণাটি PeerJ জার্নালে প্রকাশিত হয় জানুয়ারিতে। গবেষণাটি বলে “শুধু শরীরচর্চা ওজন বাড়া ঠেকাতে কার্যকরী নয়,” জানান ডুগাস।
এই গবেষণায় আমেরিকা, ঘানা, সাউথ আফ্রিকা, জামাইকা এবং ইন্ডিয়ান ওশেনের একটি দ্বীপদেশ সেচেলেস এর ১,৯০০ মানুষের তথ্য নেওয়া হয়। শুরুতে সকল অংশগ্রহণকারীকে ট্র্যাকিং ডিভাইস পরতে বলা হয় এক সপ্তাহের জন্য। এতে তারা কতটা সময় ব্যায়াম করেন তার তথ্য রাখা হয়। আমেরিকার সার্জন জেনারেলের ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি গাইডলাইনের সাথে তা যায় কিনা সেটা মিলিয়ে দেখা হয়। এই গাইডলাইন বলে, প্রতি সপ্তাহে একজন মানুষের কমপক্ষে আড়াই ঘন্টা মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম করা দরকার।
গবেষকেরা প্রতি অংশগ্রহণকারীর ওজন, উচ্চতা এবং বডি ফ্যাট ৩ বার পরিমাপ করেন- গবেষণার শুরুতে, এক বছর পর এবং দুই বছর পর।
গবেষণার শুরুতে ঘানার মানুষদের ওজন গড়ে সবচাইতে কম ছিল (নারী ও পুরুষের গড়ে ৬৩ কিলোগ্রাম) , আর আমেরিকার মানুষদের ওজন ছিল সবচাইতে বেশী (নারী ও পুরুষদের গড়ে ৯২ কেজি ও ৯৩ কেজি)।
গবেষণার ২ বছর শেষে দেখা যায়, যারা শুরুতে গাইডলাইন মেনে ব্যায়াম করেন তাদের ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে অন্যদের তুলনায় বেশী। উদাহরণস্বরূপ, আমেরিকার যেসব মানুষ গাইডলাইন মেনে চলেন তাদের ওজন বছরে গড়ে হাফ পাউন্ড করে বাড়ে। আর যারা গাইডলাইন মেনে চলেন না তাদের ওজন বছরে কমে গড়ে হাফ পাউন্ড। এই ব্যাপারটা শুধু আমেরিকানদের জন্য নয়, অন্য দেশগুলোর মানুষের জন্যও প্রযোজ্য হতে দেখা যায়। তাই এটা অন্যান্য জনগোষ্ঠীর জন্যও প্রযোজ্য হতে পারে, বলেন ডুগাস।
ব্যায়াম কেন মানুষকে ওজন কমাতে সাহায্য করে না, সে ব্যাপারটা পরিষ্কার নয়। একটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হতে পারে যে ব্যায়ামের ফলে মানুষের ক্ষুধা বাড়ে, তারা স্বাভাবিকের চাইতে বেশী খেয়ে থাকেন।
গবেষণার ফলাফল এমন হলেও ব্যায়াম ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না, বলেন ডুগাস। ব্যায়ামের প্রচুর উপকারিতা আছে। অতীতের গবেষণা বলে যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। এছাড়া মেজাজ এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে, এমনকি আয়ুও বাড়ায়।