Forums.Likebd.Com

Full Version: সব দিবসই এখন ভালোবাসা দিবস
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
যখন যে দিবসই থাকুক না কেন শেষ পর্যন্ত তা দাঁড়ায় ভালোবাসা দিবসে। হোক সে ভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস বা পহেলা বৈশাখ। সব দিবসেরই শেষ পরিণতি প্রেমিক-প্রেমিকাদের মিলন মেলা।

এবার মাতৃভাষা দিবসে সকাল থেকে যেমনটা ভিড় ছিলো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, সময় গড়ানোর সাথে সাথে তা বাড়তে থাকে বিভিন্ন পার্ক, উদ্যান ও রেস্টুরেন্টগুলোতে। তাছাড়া সব ফুলও যায়না শহীদ মিনারে।

বেলা বাড়ার সাথে পার্কগুলোতে বাড়ে কপোত-কপোতীদের আনাগোনা। জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান (বোটানিক্যাল গার্ডেন) এর টিকিট বিক্রেতারা জানান, অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ টিকিট বিক্রির পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ। আর উদ্যানে আসা দর্শনার্থীদের প্রায় সবাই যুগলবন্ধী।

পাশে থাকা জাতীয় চিড়িয়াখানায়ও কপোত-কপতীদের রয়েছে সরব উপস্থিতি। এছাড়া রমনা পার্ক, সোহরায়ার্দি উদ্যান, হাতির ঝিল, ধানমন্ডি লেক, বলদা গার্ডেনসহ সব পার্ক ও উদ্যানগুলোতে যুগলদের আনাগোনা ছিলো চোখে পড়ার মতো।

বিকেল বাড়ার সাথে সাথে ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট, চটপটি -ফুচকার দোকানগুলোতে বাড়তে থাকে ভিড়। তাই এসব দোকানে বিক্রয়ও হয় ভালোবাসা দিবসের মতো। মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডের ফুচকা বিক্রেতা মিজানুর রহমান জানান, ২১ শে ফেব্রুয়ারি হোক আর পহেলা বৈশাখ, এসব দিনগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় থাকে তুলনামূলক বেশি। তাই আগের দিনই বেশি খাবার বানানোর প্রস্তুতি নিতে হয়। আর এসব দিনের ক্রেতাদের মধ্যে যুবক-যুবতীরাই বেশি। তবে ছুটির দিন থাকায় অনেকেই পরিবার নিয়েও আসে।

মিরপুরের একটি অভিজাত রেস্তোরাঁর কর্মকর্তা জানান, স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন দিবসগুলোতে ক্রেতাদের সংখ্যা বেশি থাকে। কি দিবস সেটা জরুরী না, সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় সবাই বেড়ানোর সময় পায়।

রমনা পার্কে আসা একজন(মেয়ে) জানান, অন্যান্য দিন বাসা থেকে বের হতে পারেন না। যেহেতু ভাষা দিবস তাই বের হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। অবশ্য ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সকালে শহীদ মিনারে ফুলও দিয়েছন তিনি।

অপর একজন জানান, চাকরি করার কারনে সব সময় প্রিয় মানুষটির সাথে দেখা করার সুযোগ পান না। তাই এই দিনে বের হওয়া।