Forums.Likebd.Com

Full Version: সেলফি উপকারিতা যা করবে বেশি সুখী এবং আত্মবিশ্বাসী
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
“সেলফি” বর্তমান সময়ে বেশ পরিচিত একটি নাম। ঘরে, বাইরে, বন্ধুদের আড্ডায় কিংবা কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে সেলফি তোলাটা একধরনের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। অনেকের ধারনা সেলফি একটি মানসিক রোগ। যারা অতিরিক্ত সেলফি তোলেন তাদেরকে “সেলফাইটিস” নামক সেলফি ব্যাধিতে আক্রান্ত বলে ধারনা করা হয়। এই ধারনাকে ভুল প্রমাণিত করেছেন ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালফোর্নিয়া। তারা রিসার্চ করে দেখেছেন যে, সেলফি তোলা এবং তা সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর ফলাফলটি সাইকোলজি অফ ওয়েল বিইং জার্নালে প্রকাশ হয়েছে।

এই গবেষণায় গবেষকরা ৪১ জন কলেজ শিক্ষার্থীর মধ্যে গবেষণা করেছেন ( এর মধ্যে ২৮ জন মহিলা এবং ১৩ জন পুরুষ) যারা প্রতিদিনকার কাজ যেমন স্কুলে যাওয়া, ক্লাস করা, হোমওয়ার্ক করে যা তাদের মনের উপর প্রভাব ফেলে থাকে। প্রথম সপ্তাহে তাদেরকে অ্যাপ ব্যবহার করতে বলে এবং তার অভিজ্ঞতা লিখে রাখতে বলা হয়। এরপরের তিন সপ্তাহে তাদেরকে লিখে রাখার সময় ছবি তুলতে বলা হয়।

তাদেরকে এলোমেলোভাবে কয়েকটি ছবি তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়। কোনোটি হাসিমুখে সেলফি, আবার কোনোটি এমন ছবি যা অন্যের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলে। এবং এই ধরনের ছবি অন্যকে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।

গবেষণা শেষে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন মুডের ২,০০০ এর চেয়ে বেশি ছবি সংগ্রহ করেন। তারা লক্ষ্য করেন প্রত্যেক গ্রুপে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু যে গ্রুপ সেলফি তুলেছে তাদের বেশি খুশি এবং আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে অন্য গ্রুপের তুলনায়।

এই গবেষণাটি নারী পুরুষ সম্বলিত একটি গ্রুপের মধ্যে করা হয়। নারী পুরুষ সকলের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য।


“ মিডিয়া প্রযুক্তি নিয়ে সবসময় নেতিবাচক তথ্য বা রিপোর্ট প্রকাশ করে। কিন্তু গত কয়েক দশকে অনেক ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এবং এই গবেষণা গ্যাজেট ব্যবহারের কিছু ইতিবাচক দিকই প্রকাশ করে” অভিজ্ঞ লেখক গ্লোরিয়া মার্ক এমনটি মনে করেন।

সেলফি তোলার শুধু নেতিবাচক দিক রয়েছে এমনটি নয়, এর কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে, যা মানুষকে আরো বেশি সুখী এবং আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।