Forums.Likebd.Com

Full Version: নামাজে শিশুদের শেষের কাতারে দাঁড়াতে বলা কি ঠিক?
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
প্রশ্ন : আমরা তো জানি, সাত বছর হলে বাচ্চাদের জন্য নামাজ ফরজ। আমি মসজিদে দেখেছি, ইমাম সাহেব বলেন বা পাশাপাশি আরো কিছু মুরুব্বি বলেন, বাচ্চারা নামাজে দাঁড়ালে বলে, ‘পিছনে যাও, পিছনে যাও। একদম লাইনের শেষে যাও।’ দেখা যায় যে তাদের রাস্তায়ও জায়গা হয় না। ইসলামী দৃষ্টিতে এটা কতটুকু জায়েজ?



উত্তর : প্রথম কথা হচ্ছে, আপনার যে বক্তব্য, সাত বছর বয়সে সালাত ফরজ, এটা শুদ্ধ নয়। তবে সাত বছর বয়সে রাসূল (সা.) হাদিসের মধ্যে আমাদের বলেছেন যে, ‘সাত বছর বয়স হলে তাদের সালাতের নির্দেশ দাও।’ এখানে তাগিদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।



সালাত যাতে আমরা আদায় করি, সে জন্য নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে। ফরজ, এ কথা বলা হয়নি। কিন্তু ১০ বছরের বিষয়টি একদল ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, এটি ফরজ। তখন বলা হয়েছে, ‘সালাতের জন্য তাদের প্রহার করো।’ প্রহার তো আর ফরজ না হলে করা যায় না।



এর পর যে চিত্রটি আপনি তুলে ধরেছেন, সেটি খুবই ভয়ংকর। আমরা যদি আমাদের সন্তানদের হাতে ধরে মসজিদে নিয়ে না আসি, তাহলে কারা আনবে! এটি একেবারেই ভুল কাজ।



ইমাম বলেন, মসজিদের মোতোয়াল্লি বলেন অথবা মুসল্লি বলেন, যদি এই কাজটি করেন, তাহলে তিনি ভুল কাজ করেছেন, গুনাহের কাজ করেছেন। কোনো সন্তান যদি শিশুও হয়, যদি মসজিদে আসে, তাকে নাহার করা জায়েজ নেই, নাহার মানে হচ্ছে তাকে ধমক দেওয়া, অবজ্ঞা করা। এটা করার কোনো সুযোগ নেই।



বরং আমাদের উচিত মসজিদে আসার ব্যাপারে তাকে আরো উৎসাহিত, অনুপ্রাণিত করা, তাঁর প্রতি স্নেহ দেখানো, সুন্দর আচরণ করা। সে কাজটি আমরা করি না, এটি ভুল কাজ।



কারণ, নবী (সা.) উসামা (রা.)-কে কাঁধে করে নিয়ে আসতেন। নবী (সা.) যখন সিজদাহে যেতেন, উমায়মা (রা.) তাঁর পিঠে উঠে যেতেন। হাসান, হোসেন (রা.) নবী (সা.)-এর খুতবার সময় মসজিদে প্রবেশ করেছিল। নবী (সা.). খুতবা বন্ধ করে দুজনকে কোলে করে নিয়ে এলেন।



এ রকম অনেক উদাহরণ রয়েছে। সুতরাং ছোট শিশুদের মসজিদে আনা একেবারেই বৈধ কাজ। নবী (সা.)-এর সুন্নাহ সমর্থিত কাজ এবং এ ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া বা দুর্ব্যবহার করা, অসৌজন্যমূলক আচরণ করা গর্হিত কাজ। যাঁরা করেছেন, তাঁরা ভুল কাজ করেছেন।



সূত্রঃ আপনার জিঙ্গাসা, এনটিভি অনলাইন