Forums.Likebd.Com

Full Version: কুকুর শ্বেতকায় রাজহংসীর বিরল প্রেম!
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
তার স্বভাবটা ছিল রগচটা। খাওয়াদাওয়ায় অরুচি। আর কেউ কিছু বললে ঘেউ ঘেউ করে তেড়ে যেতো।কিন্তু সেই বেয়ারা কুকুরটাই দেখুন না কেমন বদলে গেছে। যেন কোনো এক জাদুর কাঠির পরশে রাতারাতি ভদ্রতায় রপ্ত হয়েছে সে।



আসলে যাদু টাদু নয়, প্রেমের ছোঁয়ায় ওর গোটা জীবনটাই বদলে গেছে। আর ও কার প্রেমে পড়েছে শুনবেন? কোনো কুকুরী নয়, এক শ্বেতকায় রাজহংসীর সঙ্গে মন মজেছে ওর।



রেক্স নামের এই কুকরটি একসময় খেতেই চাইতো না।তাকে খাওয়াতে পাক্কা দু জন লোক লাগতো। জোরাজুরি করেই তাকে খাবার খাওয়াতে হতো।কিন্তু যেদিন জার্মান শেপার্ড জাতের কুকুরটির আশ্রয়কেন্দ্রে গেরালডিন নামের রাজহংসী এলো সেদিনই সব বদলে গেল। পশুকেন্দ্রের মালিক পিউরিটন হর্স ভেবেছিলেন, এই বুঝি রেক্স হংসীটির টুটি কামড়ে ধরে।কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে মুহূর্তের মধ্যে দুজনের মধ্যে ভাব জমে ওঠলো।



এখন দুজন একসঙ্গেই সারা দিন ঘুরে বেড়ায়। রাতে রেক্সের সঙ্গেই ঘুমায় গেরালডিন।দুটি ভিন্ন জাতের পশু ও পাখির মধ্যে কীভাবে বন্ধুত্ব হলো তা ভেবে পান না পশুকেন্দ্রের কর্মচারীরা।





ইংল্যান্ডের ওই পশু আশ্রয়কেন্দ্রের কর্মচারী শেইলা ব্রিসলিন বলেন,‘ ওরা দুজন দুজনকে এত্ত ভালবাসে যে দেখতে মজাই লাগে।সারাদিন দুটিতে একসঙ্গে ঘুরে বেড়ায়। ও হাঁসটির মাথায় আদর করে দেয়। আর হংসীটি ওর কোল ঘেষে বসে থাকে।’



তিনি আরো বলেন, এমনিতে রেক্স খুব রাগী স্বভাবের কুকুর।এখনো যদি ওর সামনে দিয়ে কোনো পাখি হেঁটে যায় ও ধরে খেয়ে ফেলবে। কিন্তু গেরালডিনের কথা আলাদা। রেক্স-গেরালডিন সম্পর্ক সম্পর্কে ব্রিসলিন আরো বলেন,‘ ১৯৯৭ সাল থেকে আমি এখানে পশু উদ্ধারের কাজ করছি। পশুদের নানা অদ্ভূত আচরণ দেখে আমি অভ্যস্ত। কিন্তু কুকুর আর পাখির মধ্যে এ ধরণের প্রেমের সম্পর্ক এর আগে আমি দেখিনি।’



রেক্সের বয়স এখন ১১।আট বছর আগে ব্রিটেনের এক রাস্তা থেকে তুলে আনা হয়েছিল পরিত্যক্ত এ কুকুরটিকে।তখন সে এতটাই রাগী ছিল যে, সবাইকে কামড়াতে ছুটতো। রাগ কমাতে তাকে লেথাল ইঞ্জেকশন দেয়ার পরিকল্পনাও করা হয়েছিল।



কিন্তু গেরালডিনকে পাওয়ার পর মন্ত্রবলে যেন বদলে গেছে রেক্স।সকালে দুজন এক সঙ্গে নাস্তা করে।এরপর ঘুরে বেড়ায় গোটা কেন্দ্র জুড়ে।



গেরালডিনকে যেন কেউ আঘাত করতে না পারে এজন্য সারাক্ষণ তাকে আগলে রাখে।তাদের এ মিষ্টি সম্পর্ক দেখে আশ্রয় কেন্দ্রের সবাই খুব খুশী। না সবাই নয়। একজনের কিন্তু খুব মন খারাপ। সে হলো রেক্সের সাবেক গার্লফ্রেন্ড ভেরা।



বেচারীর মন খারাপ হবেই না বা কেন বলুন? সবুজ চোখের লম্বা গলার শ্বেতহংসীকে পেয়েই যে পুরনো বন্ধুকে ভুলে গেছে রেক্স।



এদিকে প্রেমিকের পুরনো প্রেমিকাকেও মোটেও পছন্দ নয় গেরালডিনে।ভেরাকে রেক্সের কাছেপিঠে দেখলেই ঠোকরাতে ছুটে যায় আগ্রাসী গেরালডিন।আশ্চর্যের বিষয় হলো ভেরাও ওকে রীতিমত ভয় পায়।তবে ভেরার নিঃসঙ্গতা ঘোচাতে নানারকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পশুকেন্দ্রের কর্মীরা।