Forums.Likebd.Com

Full Version: প্রতি লিটার মায়ের দুধ ৪০ হাজার টাকা!
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
বুকের দুধ বিক্রি করার পেছনে বিশাল এক সিন্ডিকেট কাজ করে। শুধু অর্থনৈতিক কারণই নয়, এর সঙ্গে এক ধরনের বিলাসিতাও জড়িত। গোপনে বুকের দুধ বিক্রি শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়ান নারীরা। মাত্র এক লিটার বুকের দুধ তারা বিক্রি করছেন প্রায় ৪০ হাজার টাকায়, যেখানে সাধারণ দুধের দাম একশো টাকারও নিচে।



তদন্তে দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ায় বুকের দুধ বিক্রির প্রবণতা নারীদের মধ্যে ব্যাপক খারাপ প্রভাব ফেলেছে। আর এর পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করছে দুধের ওই চড়া দাম।



যেসব পরিবার অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী নয় তারা তাদের বাচ্চাকে দুধ পান করার পাশাপাশি কিছু দুধ বিক্রিও করছে। বিষয়টি এভাবে চলতে থাকলে তেমন ক্ষতি ছিল না।



কিন্তু অনুসন্ধানে জানা যায়, এর জন্য শুধু অর্থনৈতিক বিষয়টি জড়িত নয়। এর সঙ্গে একটি গোপন সিন্ডিকেটও তৈরি হয়েছে যে সিন্ডিকেটটি বুকের দুধ বিক্রি করা মায়েদের খোঁজখবর রেখে ক্রেতা সংগ্রহ করে দিচ্ছেন এবং তাদেরকে বুকের দুধ বিক্রি করতে উৎসাহ দিচ্ছে।



আর অনেক মা টাকার লোভ ও তাদের কুমন্ত্রণায় বুকের দুধ বিক্রিতে উৎসাহিত হচ্ছে। কোনো কোনো মা জানিয়েছেন এক লিটার দুধ তারা প্রায় ২০০ থেকে ৫০০ ডলারে বিক্রি করেন।



দুধ বিক্রিএক লিটার দুধ তারা প্রায় ২০০-৫০০ ডলারেও বিক্রি করেন। কেউ কেউ তার চেয়েও বেশি দাম দিতে চান।



বুকের দুধ কেনার প্রধান ক্রেতা হলো ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী এবং কিছু মা যারা তাদের সন্তানকে দুধপান করাতে পারেন না।



তাছাড়া এর সঙ্গে কিছু অ্যাথলেটও নারীর বুকের দুধ কিনে খাওয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তারা প্রাকৃতিকভাবে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করাতে নারীর বুকের দুধ বেছে নিয়েছেন।



নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মা জানান, তিনিও দীর্ঘদিন ধরে বুকের দুধ বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তবে তিনি তার দুধের দাম আকাশছোঁয়া রাখেন না। মাত্র ৩০ ডলারে এক লিটার দুধ বিক্রি করেন তিনি। কিন্তু তার অনেক বান্ধবী আছে যারা কোনো বাছবিচার না করে আকাশছোঁয়া দামে বুকের দুধ বিক্রিকে এক ধরনের ব্যবসা বানিয়ে ফেলেছেন।



ওই নারী আরও জানান, এখানে তার কোনো চাহিদা নেই। ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা তাকে অনুরোধ করেন তাই তাদের কাছে দুধ বিক্রি করেন। তাদের অর্থনৈতিক অবস্থাও ভালো।



স্বামী ভালো চাকরি করেন। দুধ বিক্রি করে তিনি যে টাকা পান তা তার সন্তানদের বাড়তি সেবাযত্নে ব্যয় করেন।



নিজের বুকের দুধ বিক্রির শুরুর গল্পটি জানাতে গিয়ে তিনি জানান, এক সময় তার মা ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। তখন তাকে দুধ দেওয়ার প্রয়োজন হতো। তখন থেকেই তিনি দুধ দেওয়া শুরু করেন। এখন পর্যন্ত তিনি অনেক পরিবার ও ক্যান্সার রোগীকে দুধ দিয়েছেন এবং ব্যাপারটি তার কাছে স্বাভাবিক হয়ে গেছে।



এ পেশায় আশার পর ভয়ংকর জগত সম্পর্কে জানতে পেরেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ পেশা এখন খুব ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে তা জানতাম না। বুকের দুধ এখন শুধু প্রয়োজন বা মানুষকে সাহায্য করার জন্যই বিক্রি করার হয় না, অনেক নারী এটাকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন এবং তারা তাদের সন্তানদের ঠিকমতো দুধ না খেতে দিয়ে তা বিক্রি করছেন।