03-13-2017, 10:33 AM
আমেরিকার ওকলাহামার এক মায়ের গল্প এটি। তিনি গর্ভে বড় করে তুলছেন এক অসুস্থ শিশুকে। আগত এই সন্তান বাঁচবে না। তবুও এর জন্ম দেবেন তিনি, অন্য কোনো অসুস্থ শিশুকে বাঁচাতে। গর্ভের শিশুর গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় প্রত্যঙ্গগুলো অন্য কোনো শিশুকে দান করতেই তাকে দুনিয়ায় আনবেন তিনি।
ওকলামার ওই নারীর নাম কেরি ইয়ং। গর্ভধারণের পর জানতে পারেন কন্যা শিশুর মা হতে চলেছেন। তার নামও রেখে দিলেন, ইভা। কিন্তু খুব শিগগিরই দারুণ দুঃসংবাদে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়লেন। জানতে পারেন, তার শিশুটি 'অ্যানিনসেফালি' নামের এক বিরল অবস্থায় রয়েছে। এ কারণে গর্ভে তার মস্তিষ্ক ও মাথার খুলির কিছু অংশই তৈরি হয়নি।
২০ সপ্তাহ পর শিশুর এই অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারেন কেরি। আল্ট্রাসাউন্ড জানায় এই মর্মান্তিক তথ্য। কিন্তু তাকে পৃথিবীতে আনার সিদ্ধান্ত নেন মা। ইভা আসবে পৃথিবীতে, কিছুদিন বাঁচবে ঠিকই। তারপর চলে যাবে না ফেরার দেশে। এই কিছুদিন মেয়েকে সময় দেবেন মা।
তার স্বামী রয়সি জানালেন স্ত্রী আরেকটি ইচ্ছার কথা। ইভাকে তার মা পৃথিবীতে আনতেই চাইছেন অন্য কোনো শিশুকে বাঁচাতে। সম্মতি জানান রয়সি। ইভার মৃত্যুর আগেই তার প্রয়োজনীয় প্রত্যঙ্গ অন্য কোনো শিশুকে নতুন জীবন দেবে।
এমন ইচ্ছার কথা স্বামীকে জানান কেরি। আর জন্মের পর কিছু সময় মেয়েকে জড়িয়ে ধরা আর চুমু খাওয়াই হবে মায়ের পরম প্রাপ্তি।
রয়সি একজন লেখক। আট বছর হয়েছে কেরিকে বিয়ে করেছেন। এর মাঝে কেরি আরো বেশ কিছু বিষয়ে তার মানসিক শক্তির জানান দিয়েছেন। কিন্তু এবারের সিদ্ধান্ত সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে বলেই মনে করেন রয়সি।
আমি এমন এক নারীকে বিয়ে করেছি, যে কিনা মানবিকতার চূড়ান্ত নমুনা দেখিয়ে দিচ্ছে, আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন রয়সি।
সূত্র: ফক্স নিউজ
ওকলামার ওই নারীর নাম কেরি ইয়ং। গর্ভধারণের পর জানতে পারেন কন্যা শিশুর মা হতে চলেছেন। তার নামও রেখে দিলেন, ইভা। কিন্তু খুব শিগগিরই দারুণ দুঃসংবাদে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়লেন। জানতে পারেন, তার শিশুটি 'অ্যানিনসেফালি' নামের এক বিরল অবস্থায় রয়েছে। এ কারণে গর্ভে তার মস্তিষ্ক ও মাথার খুলির কিছু অংশই তৈরি হয়নি।
২০ সপ্তাহ পর শিশুর এই অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারেন কেরি। আল্ট্রাসাউন্ড জানায় এই মর্মান্তিক তথ্য। কিন্তু তাকে পৃথিবীতে আনার সিদ্ধান্ত নেন মা। ইভা আসবে পৃথিবীতে, কিছুদিন বাঁচবে ঠিকই। তারপর চলে যাবে না ফেরার দেশে। এই কিছুদিন মেয়েকে সময় দেবেন মা।
তার স্বামী রয়সি জানালেন স্ত্রী আরেকটি ইচ্ছার কথা। ইভাকে তার মা পৃথিবীতে আনতেই চাইছেন অন্য কোনো শিশুকে বাঁচাতে। সম্মতি জানান রয়সি। ইভার মৃত্যুর আগেই তার প্রয়োজনীয় প্রত্যঙ্গ অন্য কোনো শিশুকে নতুন জীবন দেবে।
এমন ইচ্ছার কথা স্বামীকে জানান কেরি। আর জন্মের পর কিছু সময় মেয়েকে জড়িয়ে ধরা আর চুমু খাওয়াই হবে মায়ের পরম প্রাপ্তি।
রয়সি একজন লেখক। আট বছর হয়েছে কেরিকে বিয়ে করেছেন। এর মাঝে কেরি আরো বেশ কিছু বিষয়ে তার মানসিক শক্তির জানান দিয়েছেন। কিন্তু এবারের সিদ্ধান্ত সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে বলেই মনে করেন রয়সি।
আমি এমন এক নারীকে বিয়ে করেছি, যে কিনা মানবিকতার চূড়ান্ত নমুনা দেখিয়ে দিচ্ছে, আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন রয়সি।
সূত্র: ফক্স নিউজ