03-13-2017, 10:34 AM
জাপানের শিকোকু দ্বীপে অবস্থিত রয়েছে নাগোরো গ্রাম। বহুকাল আগে এখানে বহুজনের বসবাস ছিল, কিন্তু বছরের পর বছর ধরে এখানে জনসংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে গেছে।
গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কর্মসংস্থানের সন্ধানে অন্যত্র চলে গেছেন, বর্তমানে এখানে রয়েছেন বৃদ্ধরা।
আয়ানো সুকিমি নামের একজন মহিলা যখন গ্রামের ফিরে আসেন তখন গ্রামের জনশূন্য দেখে তিনি অত্যন্ত দুঃখিত হন।
সেই দিন তিনি সিদ্ধান্ত নেন গ্রাম থেকে যারা চলে গেছে সেই সমস্ত জায়গার জন্য তিনি একটি করে পুতুল তৈরি করবেন।
তিনি এই রকমই পুতুল তৈরি করে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় রেখে দিয়েছেন।
এখন সেই গ্রামে মানুষের বদলে জায়গা নিয়েছে পুতুলেরা। সুকিমির এই কাজের ধারণা হঠাত্ই এসেছে। বারো বছর আগে, তিনি পাখিদের ভয় দেখানোর জন্য পুতুল তৈরি করতেন। গ্রামের জনশূন্যতার অভাব মেটানোর জন্য তিনি এই পুতুল তৈরি করেন।
এখনও পর্যন্ত তিনি ৩৫০টিরও বেশি কাকতাড়ুয়া তৈরি করেছেন। কাকতাড়ুয়া বানানোর জন্য তিনি লাঠি, কাগজ ও কাপড়ের ব্যবহার করেন। তাদের দেখাশুনো করার জন্য তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়। এখন বহু পর্যটক এখানে ভ্রমণে আসেন বলে পুতুলগুলিকে সুন্দর কাপড় পড়িয়ে রাখার প্রয়োজন পড়ে।
নাগোরো শুধু এমন একটি গ্রাম নয় যেখানে এই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, বর্তমানে জাপানের হাজার হাজার গ্রামের পরিস্থিতি একই রকমের। জাপানের জনসংখ্যায় অল্প বয়স্কদের সংখ্যা কম এবং বয়স্কদের সংখ্যা বেশি। জাপানে ৬৫ বছরের বেশি বয়সের বৃদ্ধের সংখ্যা প্রায় ১২৭ মিলিয়ন, এবং প্রায় ৪০ হাজার লোকের বয়স একশো বছর।
৬৫ বছরের আয়ানো সুকিমি গ্রামের সর্বকনিষ্ঠ নারী। ২০১২ সালেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল গ্রামের স্কুল। এখন সেখানে শুধুমাত্র রয়েছে পুতুল।
- ইন্টারনেট
গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কর্মসংস্থানের সন্ধানে অন্যত্র চলে গেছেন, বর্তমানে এখানে রয়েছেন বৃদ্ধরা।
আয়ানো সুকিমি নামের একজন মহিলা যখন গ্রামের ফিরে আসেন তখন গ্রামের জনশূন্য দেখে তিনি অত্যন্ত দুঃখিত হন।
সেই দিন তিনি সিদ্ধান্ত নেন গ্রাম থেকে যারা চলে গেছে সেই সমস্ত জায়গার জন্য তিনি একটি করে পুতুল তৈরি করবেন।
তিনি এই রকমই পুতুল তৈরি করে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় রেখে দিয়েছেন।
এখন সেই গ্রামে মানুষের বদলে জায়গা নিয়েছে পুতুলেরা। সুকিমির এই কাজের ধারণা হঠাত্ই এসেছে। বারো বছর আগে, তিনি পাখিদের ভয় দেখানোর জন্য পুতুল তৈরি করতেন। গ্রামের জনশূন্যতার অভাব মেটানোর জন্য তিনি এই পুতুল তৈরি করেন।
এখনও পর্যন্ত তিনি ৩৫০টিরও বেশি কাকতাড়ুয়া তৈরি করেছেন। কাকতাড়ুয়া বানানোর জন্য তিনি লাঠি, কাগজ ও কাপড়ের ব্যবহার করেন। তাদের দেখাশুনো করার জন্য তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়। এখন বহু পর্যটক এখানে ভ্রমণে আসেন বলে পুতুলগুলিকে সুন্দর কাপড় পড়িয়ে রাখার প্রয়োজন পড়ে।
নাগোরো শুধু এমন একটি গ্রাম নয় যেখানে এই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, বর্তমানে জাপানের হাজার হাজার গ্রামের পরিস্থিতি একই রকমের। জাপানের জনসংখ্যায় অল্প বয়স্কদের সংখ্যা কম এবং বয়স্কদের সংখ্যা বেশি। জাপানে ৬৫ বছরের বেশি বয়সের বৃদ্ধের সংখ্যা প্রায় ১২৭ মিলিয়ন, এবং প্রায় ৪০ হাজার লোকের বয়স একশো বছর।
৬৫ বছরের আয়ানো সুকিমি গ্রামের সর্বকনিষ্ঠ নারী। ২০১২ সালেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল গ্রামের স্কুল। এখন সেখানে শুধুমাত্র রয়েছে পুতুল।
- ইন্টারনেট