Forums.Likebd.Com

Full Version: তরুণীকে খুন করে মৃতদেহের সঙ্গে দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন!
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
তরুণীকে খুন করে মৃতদেহের সঙ্গে দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন!
মানুষের যৌনাচার যে কত বিচিত্রগামী হতে পারে, তার দৃষ্টান্ত দুনিয়া আগেও দেখেছে। কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক যুবক যে কাণ্ড ঘটিয়েছে, তা জেনে শিউরে উঠেছেন সকলে। ১৮ বছরে অস্টিন গ্রামারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে তার রুমমেট ২০ বছরের লেসলি পেরিকে হত্যা করে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর মৃতদেহের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে চলেছিল।



গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিলোম স্প্রিং-এর মিডো কোর্ট এলাকার ২০০ নম্বর বাড়ি থেকে একটি ফোন যায় স্থানীয় পুলিশ ডিপার্টমেন্টে। ফোনে জানানো হয়, বাড়ির ভিতরে একটি রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে লেসলির বিকৃত মৃতদেহ আবিষ্কার করে।



ঘরে লেসলির রুমমেট অস্টিনও উপস্থিত ছিল। সন্দেহবশত অস্টিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পর থেকেই তদন্ত চলছিল। চলছিল অস্টিনকে জেরা করার কাজও। শেষমেশ প্রকৃত সত্যের আভাস পায় পুলিশ। সম্প্রতি জেরায় নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে অস্টিনও। পুলিশের কাছে যে স্বীকারোক্তি সে করেছে, তা জেনে শিউরে উঠেছেন পৃথিবীর মানুষ।



জানা গিয়েছে, অস্টিন আদপে আরকানসাস এলাকার বাসিন্দা। কর্মসূত্রে সিলোম স্প্রিং এলাকায় সে আসে বছর কয়েক আগে। সেখানেই লেসলির সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে তার। দু’জনে একই কফিশপে কাজ করতেন। শুধু তা-ই নয়, একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে লেসলি আর অস্টিন এক সঙ্গে থাকাও শুরু করেন। দু’জনের সম্পর্ক কতটা গভীর ছিল, তা অবশ্য পুলিশ স্পষ্ট করে জানায়নি।



কিন্তু পুলিশকে অস্টিন জানিয়েছে, ১৭ ফেব্রুয়ারির অন্তত দিন সাতেক আগে সে লেসলিকে খুন করে। তার পর লেসলির মৃতদেহের পোশাক-আশাক খুলে নিয়ে সেই মৃতদেহের সঙ্গেই সঙ্গম করা শুরু করে।



প্রতি দিন বেশ কয়েক বার করে লেসলির মৃতদেহের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতো বলে পুলিশকে জানিয়েছে অস্টিন। তার বক্তব্যের সত্যতার প্রমাণও পেয়েছে পুলিশ। ডাক্তারি পরীক্ষায় লেসলির মৃতদেহের যোনির ভিতর থেকে বীর্যের নমুনা সংগৃহীত হয়েছে। সেই বীর্য যে অস্টিনেরই তারও প্রমাণ মিলেছে।



ঠিক কী কারণে নিজের বান্ধবীকে অস্টিন খুন করল, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পুলিশের ধারণা, নিজের বিকৃত যৌনকামনা চরিতার্থ করতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে অস্টিন। তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।



অন্য দিকে লেসলির বন্ধুরা অস্টিনের কঠিনতম শাস্তির দাবিতে প্রচার চালাচ্ছেন। এই উদ্দেশ্যে ‘রিমেমবারিং লেসলি পেরি’ নামের একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করেছেন তাঁরা।



সূত্রঃ এবেলা