Forums.Likebd.Com

Full Version: এই মন্দিরে সন্ধ্যার পর মানুষ পাথর হয়ে যায়!
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
এই মন্দিরে সন্ধ্যার পর মানুষ পাথর হয়ে যায়!
আজ আমরা আপনাদের এমনই একটি রহস্যের কথা বলবো, যেটা শোনার পর আপনি অবাক হয়ে যাবেন। ভারতের রাজস্থানের মাটিতে বহু রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। কুলধারা গ্রাম এবং ভানগড় ফোর্ট এমনই একটি রহস্যময় স্থান।



যা বিশ্বে ভুতুড়ে স্থান নামে পরিচিত। কুলধারা গ্রাম এবং ভানগড় ফোর্ট ছাড়া আরেকটি রহস্যময় স্থান বারমের জেলাতে অবস্থিত রয়েছে। সেটি হলো কিরাডু মন্দির।



রাজস্থানে খাজুরাহো মন্দির নামে পরিচিত এই মন্দির প্রেমিকদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করে। কিন্তু এখানে এমন একটি ভয়ানক বিষয় রয়েছে যেটা জানার পর সাধারণ মানুষ রাতে এখানে থাকার সাহস করে না।



বিষয়টি হলো সন্ধ্যার পর যদি কেউ এই কিরাডুর মন্দিরে থাকে তাহলে সে পাথর হয়ে যায় বা তার মৃত্যু হয়ে যায়। কিরাডুর এই গল্পটি বহু বছর ধরে প্রচলিত। পাথর হয়ে যাওয়ার ভয় সন্ধ্যার পর এখানে কেউ থাকতে সাহস পায় না।



প্রচলিত কাহিনীটির পেছনের মূল বিষয়টি হলো - একটি মহিলার পাথর মূর্তি, যা কিরাডু থেকে দূরে অবস্থিত সিহণী গ্রামে রয়েছে। বহু বছর আগে কিরাডুতে এক সন্ন্যাসী এসেছিলেন।



একদিন তিনি তার শিষ্যদের গ্রামে ছেড়ে চলে যান। তারই মধ্যে শিষ্যদের শরীর খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু গ্রামবাসীরা তাদের কোনও সাহায্য করেননি। শিষ্যদের এই দুর্দশা দেখার পর সন্ন্যাসী তাদের অভিশাপ দেন।



সন্ন্যাসী বলেন, যেখানের লোকের হৃদয় পাষাণের মতো তাদের মানুষের রূপে থাকা উচিত নয়। তাদের সকলের পাথর হয়ে যাওয়া উচিত। এক মহিলা শিষ্যদের সাহায্য করেছিলেন তাই জন্য সন্ন্যাসী তার ওপর দয়া করেন এবং তাকে বলেন সে যেন সেখানে থেকে চলে যায় অন্যথা সেও পাথরের হয়ে যাবে। কিন্তু মনে রাখবে পেছনে ফিরে তাকাবে না।



কিন্তু গ্রামে যাওয়ার সময় তার মনে সন্দেহ হয় সন্ন্যাসীর কথা সত্য না মিথ্যা। তাই জন্য যে পেছনে ফিরে তাকাতে থাকলো এবং শেষে সেও পাথর হয়ে গেলো। সিহণী গ্রামের কুমোরের সেই পাথরের মূর্তি এখনও সেই ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেয়।



- ইন্টারনেট