03-13-2017, 10:47 AM
হাঁচি দিলেই নাক দিয়ে বেড়িয়ে আসছে জ্যান্ত পোকা
হাঁচি দিলেই নাক থেকে পোকা বেড়িয়ে আসছে বরিশালের মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের কৃষানী হনুফা বেগমের। গত কয়েক দিনে হাঁচির সাথে তার নাক সাথে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ টি জীবন্ত পোকা বের হয়েছে। শুধু তাই নয়, গত কয়েকদিন ধরে তার চোখ থেকে পানি ঝড়ছে অনবরত।
অসুস্থ্য হনুফাকে বরিশাল নগরীর ব্রাউন্ড কম্পাউন্ডের রয়েল সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডা. খান আব্দুর রউফের তত্ত্ববধানে চিকিৎসা চলছে তার। চিকিৎসক জানিয়েছেন, হনুফার মাথার মধ্যে বাসা বেঁধেছে পোকা। এ কারণে হঁচির সাথে তার নাক থেকে পোকা বের হচ্ছে। চোখ দিয়ে ঝড়ছে পানি।
চিকিৎসাধীন হনুফা বেগম জানান, তিনি ক্ষেতে কৃষিকাজ করেন। গত কিছু দিন ধরে তার মাথায় ব্যথা অনুভব করেন এবং চোখ থেকে অনবরত পানি পড়তে শুরু করে। মাঝে মধ্যে ওষুধ খেয়ে মাথা ব্যাথা নিবারনের চেষ্টা করতেন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি আকস্মিক তার নাক থেকে রক্ত পড়তে শুরু করে।
এতে তার মাথা ব্যাথা আরো বেড়ে গেলে তিনি জেলার গৌরনদীর একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি হন। সেখান থেকে তাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানোর পরামর্শ দেয়া হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি তার নাক থেকে রক্ত পড়া বেড়ে গেলে ওইদিনই তিনি নগরীর রয়েল সিটি হাসপাতালে ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডা. খান আব্দুর রউফের তত্ত্বাবধানে ভর্তি হন।
রয়েল সিটি হাসপাতাল কর্তপক্ষ জানায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসক খান আব্দুর রউফ এক ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করেন তার নাকের মধ্যে। এরপর তিনি হাঁচি দেয়ার সাথে সাথে তার নাক থেকে ১৫ থেকে ২০টি জীবন্ত পোকা বের হয়ে আসে। গত সোমবারও তার হাঁচির সাথে আরো ১০ থেকে ১২টি পোকা বের হয় নাক থেকে। এতে তার মাথা ব্যথা অনেকটা কমে যায়।
ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডা. খান আব্দুর রউফ জানান, এই রোগের নাম ‘ম্যাগোট ইন দ্যা নোজ এন্ড প্যারানাজাল এয়ার সাইনাস’। তিনি বলেন, নাক, চোখ এবং কপালের অভ্যন্তরে একাংশে ফাঁকা জায়গা থাকে। কোনভাবে পোকা সেখানে প্রবেশ করতে পারলে খালি স্থানে তারা বাসা বাঁধে এবং ডিম পাড়ে। এরপর ওই ডিম থেকে বাচ্চা হয়। হনুফার ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছে বলে তারা পরীক্ষা-নীরিক্ষায় বুঝতে পেরেছেন।
চিকিৎসক বলেন, অচেতন অবস্থায় হনুফার নাকের ভেতর পোকা প্রবেশ করে- নাক, চোখ ও কপালের খালি স্থানে বাসা বেঁধেছে। সেখানে ডিম দেয়ায় সেই ডিম থেকে অনেক বাচ্চা হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে পোকাটি বাসা বাধলেও হনুফা ও তার পরিবার বিষয়টি বুঝতে পারেন নি।
এ কারণে তার মাথা ব্যথা এবং চোখ দিয়ে অনবরত পানি ঝড়ছে। সিটিস্ক্যান করে তার মাথার মধ্যে পোকার বাসাটি নির্নয় করে ওই বাসা ওষুধের মাধ্যমে ধ্বংস করা হবে। এতে হনুফা সুস্থ-স্বাভাবিক হয়ে উঠেবে বলে আশা করছেন তিনি।
চিকিৎসক ডা. রউফ বলেন, মাথার ভেতর কিভাবে পোকা ঢুকেছে, সে বিষয়ে হনুফা কিছু বলতে পারছে না। তবে চিকিৎসকের ধারণা কৃষানী হনুফা কৃষি কাজের ফাঁকে কখনো কোন গাছের নীচে ঘুমিয়ে পড়লে অচেতন অবস্থায় তার নাক কিংবা কান দিয়ে পোকা প্রবেশ করে খালি স্থানে বাসা বেঁধেছে। এ ধরনের সম্যসা এড়াতে কোন গাছের নীচে বেশিক্ষণ না থাকার অনুরোধ করেছেন ইএনটি বিশেষজ্ঞ খান আব্দুর রউফ। -বিডি প্রতিদিন
হাঁচি দিলেই নাক থেকে পোকা বেড়িয়ে আসছে বরিশালের মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের কৃষানী হনুফা বেগমের। গত কয়েক দিনে হাঁচির সাথে তার নাক সাথে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ টি জীবন্ত পোকা বের হয়েছে। শুধু তাই নয়, গত কয়েকদিন ধরে তার চোখ থেকে পানি ঝড়ছে অনবরত।
অসুস্থ্য হনুফাকে বরিশাল নগরীর ব্রাউন্ড কম্পাউন্ডের রয়েল সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডা. খান আব্দুর রউফের তত্ত্ববধানে চিকিৎসা চলছে তার। চিকিৎসক জানিয়েছেন, হনুফার মাথার মধ্যে বাসা বেঁধেছে পোকা। এ কারণে হঁচির সাথে তার নাক থেকে পোকা বের হচ্ছে। চোখ দিয়ে ঝড়ছে পানি।
চিকিৎসাধীন হনুফা বেগম জানান, তিনি ক্ষেতে কৃষিকাজ করেন। গত কিছু দিন ধরে তার মাথায় ব্যথা অনুভব করেন এবং চোখ থেকে অনবরত পানি পড়তে শুরু করে। মাঝে মধ্যে ওষুধ খেয়ে মাথা ব্যাথা নিবারনের চেষ্টা করতেন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি আকস্মিক তার নাক থেকে রক্ত পড়তে শুরু করে।
এতে তার মাথা ব্যাথা আরো বেড়ে গেলে তিনি জেলার গৌরনদীর একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি হন। সেখান থেকে তাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানোর পরামর্শ দেয়া হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি তার নাক থেকে রক্ত পড়া বেড়ে গেলে ওইদিনই তিনি নগরীর রয়েল সিটি হাসপাতালে ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডা. খান আব্দুর রউফের তত্ত্বাবধানে ভর্তি হন।
রয়েল সিটি হাসপাতাল কর্তপক্ষ জানায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসক খান আব্দুর রউফ এক ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করেন তার নাকের মধ্যে। এরপর তিনি হাঁচি দেয়ার সাথে সাথে তার নাক থেকে ১৫ থেকে ২০টি জীবন্ত পোকা বের হয়ে আসে। গত সোমবারও তার হাঁচির সাথে আরো ১০ থেকে ১২টি পোকা বের হয় নাক থেকে। এতে তার মাথা ব্যথা অনেকটা কমে যায়।
ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডা. খান আব্দুর রউফ জানান, এই রোগের নাম ‘ম্যাগোট ইন দ্যা নোজ এন্ড প্যারানাজাল এয়ার সাইনাস’। তিনি বলেন, নাক, চোখ এবং কপালের অভ্যন্তরে একাংশে ফাঁকা জায়গা থাকে। কোনভাবে পোকা সেখানে প্রবেশ করতে পারলে খালি স্থানে তারা বাসা বাঁধে এবং ডিম পাড়ে। এরপর ওই ডিম থেকে বাচ্চা হয়। হনুফার ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছে বলে তারা পরীক্ষা-নীরিক্ষায় বুঝতে পেরেছেন।
চিকিৎসক বলেন, অচেতন অবস্থায় হনুফার নাকের ভেতর পোকা প্রবেশ করে- নাক, চোখ ও কপালের খালি স্থানে বাসা বেঁধেছে। সেখানে ডিম দেয়ায় সেই ডিম থেকে অনেক বাচ্চা হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে পোকাটি বাসা বাধলেও হনুফা ও তার পরিবার বিষয়টি বুঝতে পারেন নি।
এ কারণে তার মাথা ব্যথা এবং চোখ দিয়ে অনবরত পানি ঝড়ছে। সিটিস্ক্যান করে তার মাথার মধ্যে পোকার বাসাটি নির্নয় করে ওই বাসা ওষুধের মাধ্যমে ধ্বংস করা হবে। এতে হনুফা সুস্থ-স্বাভাবিক হয়ে উঠেবে বলে আশা করছেন তিনি।
চিকিৎসক ডা. রউফ বলেন, মাথার ভেতর কিভাবে পোকা ঢুকেছে, সে বিষয়ে হনুফা কিছু বলতে পারছে না। তবে চিকিৎসকের ধারণা কৃষানী হনুফা কৃষি কাজের ফাঁকে কখনো কোন গাছের নীচে ঘুমিয়ে পড়লে অচেতন অবস্থায় তার নাক কিংবা কান দিয়ে পোকা প্রবেশ করে খালি স্থানে বাসা বেঁধেছে। এ ধরনের সম্যসা এড়াতে কোন গাছের নীচে বেশিক্ষণ না থাকার অনুরোধ করেছেন ইএনটি বিশেষজ্ঞ খান আব্দুর রউফ। -বিডি প্রতিদিন