03-13-2017, 10:53 AM
মাথার মধ্যে থেকে বেরল জ্যান্ত আরশোলা!
ঘাপটি মেরে বসেছিল মাথার মধ্যে। শুধু তাই নয়, জ্যান্ত অবস্থায় মাথার মধ্যে দিব্যি নড়াচড়াও করে বেড়াচ্ছিল। মাথায় অসহ্য যন্ত্রণায় চিকিৎসকের কাছে ছুটে যেতে বাধ্য হন সিলভিয়া। পরীক্ষা করে দেখা যায়, জ্যান্ত একটা আরশোলা পায়চারি করে বেড়াচ্ছে সেলভির মাথায়! অবশেষে ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় বাইরে আনা সম্ভব হয় এই ঘটনার প্রধান ‘আসামী’কে। কিন্তু কীভাবে ঘটল এমন আজব ঘটনা?
দক্ষিণ চেন্নাইয়ের ইনজামবাকামে থাকেন সেলভি। প্রায়শই মাথা ব্যথায় কষ্ট পেতেন বছর বিয়াল্লিশের সেলভি। কিন্তু কারণ বুঝতে পারতেন না। কিছু দিন আগে হঠাৎই কাজ করতে করতে সেলভির মনে হয় মাথার মধ্যে যেন কিছু একটা হেঁটে বেড়াচ্ছে। ‘জিনিস’টা কখনও নাকের দিকে আসছে, কখনও বা দু’চোখের মাঝে, কখনও বা মাথার দিকে যাচ্ছে। চরম অসুবিধার মধ্যে পড়েন সেলভি। তৎক্ষণাৎ ছুটে যান স্থানীয় ক্লিনিকে। চিকিৎসকরা টর্চ জ্বালিয়ে নাকের মধ্যে কিছু আছে কিনা দেখার চেষ্টা করেন। কিন্তু সমস্যার কোনও রকম সুরাহা না হওয়ায় স্ট্যানলি মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় সিেলভিকে। সেখানে নাসাল এন্ডোস্কপি করে দেখা যায় সেলভির দুই চোখের ঠিক মাঝখানে মস্তিষ্কের উপরিভাগে রয়েছে একটি আরশোলা এবং
সেটি দিব্যি হাঁটাচলা করে বেড়াচ্ছে!
মেডিক্যাল টিমের সঙ্গে সেলভি। ছবি: সংগৃহীত
মাথার মধ্যে জলজ্যান্ত আরশোলা দেখে তাজ্জব বনে গিয়েছিলেন সেলভির চিকিৎসক রবি সারাভাননও। রবি জানান, এমন অদ্ভূত ঘটনা তাঁর দীর্ঘ কর্ম জীবনে কখনও দেখেননি তিনি। সেলভি নিজেও অবাক! কীভাবে গোটা একটা আরশোলা তাঁর মাথায় গিয়ে বসে রইল, তা বুঝতেই পারছেন না।
তাঁর কথায়, ‘‘সারা মাথা জুড়ে একটা পোকা হেঁটে বেড়াচ্ছে, ভাবতেই পারছি না। মারাত্মক কষ্ট হচ্ছিল। শুধু তাই নয়, চোখেও চরম সমস্যার সৃষ্টি করছিল আরশোলাটা। শুধু ভাবছিলাম কখন এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাব।’’
নাসাল এন্ডোস্কপিতে ধরা পড়ার পরেই আরশোলাটি বাইরে বের আনার প্রক্রিয়া শুরু করেন চিকিৎসকরা। ক্লাম্পস এবং সাকার দিয়ে প্রায় ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় অবশেষে সেলভির মাথার ভিতর থেকে বের করে আনা সম্ভব হয় আরশোলাটিকে।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সেলভির মাথার মধ্যে মারাত্মক সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও ছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে সে সমস্ত কিছুই হয়নি। কীভাবে পোকাটি সেলভির মাথায় এল এখন এটাই ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের।
সূত্রঃ আনন্দবাজার
ঘাপটি মেরে বসেছিল মাথার মধ্যে। শুধু তাই নয়, জ্যান্ত অবস্থায় মাথার মধ্যে দিব্যি নড়াচড়াও করে বেড়াচ্ছিল। মাথায় অসহ্য যন্ত্রণায় চিকিৎসকের কাছে ছুটে যেতে বাধ্য হন সিলভিয়া। পরীক্ষা করে দেখা যায়, জ্যান্ত একটা আরশোলা পায়চারি করে বেড়াচ্ছে সেলভির মাথায়! অবশেষে ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় বাইরে আনা সম্ভব হয় এই ঘটনার প্রধান ‘আসামী’কে। কিন্তু কীভাবে ঘটল এমন আজব ঘটনা?
দক্ষিণ চেন্নাইয়ের ইনজামবাকামে থাকেন সেলভি। প্রায়শই মাথা ব্যথায় কষ্ট পেতেন বছর বিয়াল্লিশের সেলভি। কিন্তু কারণ বুঝতে পারতেন না। কিছু দিন আগে হঠাৎই কাজ করতে করতে সেলভির মনে হয় মাথার মধ্যে যেন কিছু একটা হেঁটে বেড়াচ্ছে। ‘জিনিস’টা কখনও নাকের দিকে আসছে, কখনও বা দু’চোখের মাঝে, কখনও বা মাথার দিকে যাচ্ছে। চরম অসুবিধার মধ্যে পড়েন সেলভি। তৎক্ষণাৎ ছুটে যান স্থানীয় ক্লিনিকে। চিকিৎসকরা টর্চ জ্বালিয়ে নাকের মধ্যে কিছু আছে কিনা দেখার চেষ্টা করেন। কিন্তু সমস্যার কোনও রকম সুরাহা না হওয়ায় স্ট্যানলি মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় সিেলভিকে। সেখানে নাসাল এন্ডোস্কপি করে দেখা যায় সেলভির দুই চোখের ঠিক মাঝখানে মস্তিষ্কের উপরিভাগে রয়েছে একটি আরশোলা এবং
সেটি দিব্যি হাঁটাচলা করে বেড়াচ্ছে!
মেডিক্যাল টিমের সঙ্গে সেলভি। ছবি: সংগৃহীত
মাথার মধ্যে জলজ্যান্ত আরশোলা দেখে তাজ্জব বনে গিয়েছিলেন সেলভির চিকিৎসক রবি সারাভাননও। রবি জানান, এমন অদ্ভূত ঘটনা তাঁর দীর্ঘ কর্ম জীবনে কখনও দেখেননি তিনি। সেলভি নিজেও অবাক! কীভাবে গোটা একটা আরশোলা তাঁর মাথায় গিয়ে বসে রইল, তা বুঝতেই পারছেন না।
তাঁর কথায়, ‘‘সারা মাথা জুড়ে একটা পোকা হেঁটে বেড়াচ্ছে, ভাবতেই পারছি না। মারাত্মক কষ্ট হচ্ছিল। শুধু তাই নয়, চোখেও চরম সমস্যার সৃষ্টি করছিল আরশোলাটা। শুধু ভাবছিলাম কখন এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাব।’’
নাসাল এন্ডোস্কপিতে ধরা পড়ার পরেই আরশোলাটি বাইরে বের আনার প্রক্রিয়া শুরু করেন চিকিৎসকরা। ক্লাম্পস এবং সাকার দিয়ে প্রায় ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় অবশেষে সেলভির মাথার ভিতর থেকে বের করে আনা সম্ভব হয় আরশোলাটিকে।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সেলভির মাথার মধ্যে মারাত্মক সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও ছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে সে সমস্ত কিছুই হয়নি। কীভাবে পোকাটি সেলভির মাথায় এল এখন এটাই ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের।
সূত্রঃ আনন্দবাজার