03-13-2017, 10:56 AM
সাপের মতো চামড়া খসে যায় ভারতীয় এই কিশোরীর!
বিরল রোগে ভুগছে শালিনি যাদব নামের ভারতীয় এক কিশোরী। তার বয়স মাত্র ১৬। এই বয়সের আর পাঁচটা ছেলেমেয়ে যখন স্কুলে গিয়ে পড়াশশোনা করে, তখন শালিনিকে তাড়িয়ে দিয়েছে তার স্কুল। কারণ ৪৫ দিন অন্তর অন্তর ঠিক সাপের মতোই এই কিশোরীর গোটা শরীরের চামড়াটাই খসে যায়। ফলে, শালিনিকে দেখলেই ভয় পায় তার সহপাঠী এবং স্কুলের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।
কিন্তু কেন এমনটা হয় শালিনির? তার শরীরে কি কোন রহস্য রয়েছে? না, অত্যন্ত বিরল রোগে আক্রান্ত এই ভারতীয় কিশোরী। যে রোগের নাম এরিথ্রোডারমা। যে রোগের ফলে ছয় থেকে আট সপ্তাহ অন্তর অন্তর শুকিয়ে গিয়ে শরীরের চামড়া খসে যায়। এই রোগটিকে ‘রেড ম্যান সিন্ড্রোম’-ও বলা হয়ে থাকে। চামড়া খসে যাওয়া আটকানোর জন্য প্রত্যেক ঘণ্টায় গোসল করা বা পানিতে ভেজাতে হয় শালিনিকে। প্রত্যেক তিন ঘণ্টা অন্তর একটি বিশেষ ময়শ্চারাইজার বা ক্রিম তার সারা গায়ে লাগাতে হয়। কিন্তু শালিনির বাবা দিনমজুর। আট জনের পরিবারে সবার মুখে খাবার জুটিয়ে শালিনির জন্য ক্রিম কেনার সামর্থ্য হয়না তার পরিবারের। জন্মের পর থেকেই এই রোগে আক্রান্ত শালিনি।
শালিনির মা দেবকুঁয়ার বলেন, ‘অনেক চিকিৎসককে দেখিয়েছি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। চামড়া উঠে যাওয়ার সময় যখন ও যন্ত্রণায় ছটফট করে, তা চোখে দেখা যায় না। ’ শালিনির অসহায় মা আরও বলেন, ‘এই রোগটা হয়তো ওকে প্রাণে মারছে না, কিন্তু তিলে তিলে ওর জীবনটা শেষ করে দিচ্ছে। আর কী করব আমরা ভেবেই পাচ্ছি না। ’
আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে একটি সংবাদসংস্থাকে উদ্ধৃত করে শালিনিকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যদিও বিরল রোগে ভোগা শালিনি ভারতের কোথায় থাকে, তার উল্লেখ করা হয়নি।
বিরল রোগে ভুগছে শালিনি যাদব নামের ভারতীয় এক কিশোরী। তার বয়স মাত্র ১৬। এই বয়সের আর পাঁচটা ছেলেমেয়ে যখন স্কুলে গিয়ে পড়াশশোনা করে, তখন শালিনিকে তাড়িয়ে দিয়েছে তার স্কুল। কারণ ৪৫ দিন অন্তর অন্তর ঠিক সাপের মতোই এই কিশোরীর গোটা শরীরের চামড়াটাই খসে যায়। ফলে, শালিনিকে দেখলেই ভয় পায় তার সহপাঠী এবং স্কুলের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।
কিন্তু কেন এমনটা হয় শালিনির? তার শরীরে কি কোন রহস্য রয়েছে? না, অত্যন্ত বিরল রোগে আক্রান্ত এই ভারতীয় কিশোরী। যে রোগের নাম এরিথ্রোডারমা। যে রোগের ফলে ছয় থেকে আট সপ্তাহ অন্তর অন্তর শুকিয়ে গিয়ে শরীরের চামড়া খসে যায়। এই রোগটিকে ‘রেড ম্যান সিন্ড্রোম’-ও বলা হয়ে থাকে। চামড়া খসে যাওয়া আটকানোর জন্য প্রত্যেক ঘণ্টায় গোসল করা বা পানিতে ভেজাতে হয় শালিনিকে। প্রত্যেক তিন ঘণ্টা অন্তর একটি বিশেষ ময়শ্চারাইজার বা ক্রিম তার সারা গায়ে লাগাতে হয়। কিন্তু শালিনির বাবা দিনমজুর। আট জনের পরিবারে সবার মুখে খাবার জুটিয়ে শালিনির জন্য ক্রিম কেনার সামর্থ্য হয়না তার পরিবারের। জন্মের পর থেকেই এই রোগে আক্রান্ত শালিনি।
শালিনির মা দেবকুঁয়ার বলেন, ‘অনেক চিকিৎসককে দেখিয়েছি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। চামড়া উঠে যাওয়ার সময় যখন ও যন্ত্রণায় ছটফট করে, তা চোখে দেখা যায় না। ’ শালিনির অসহায় মা আরও বলেন, ‘এই রোগটা হয়তো ওকে প্রাণে মারছে না, কিন্তু তিলে তিলে ওর জীবনটা শেষ করে দিচ্ছে। আর কী করব আমরা ভেবেই পাচ্ছি না। ’
আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে একটি সংবাদসংস্থাকে উদ্ধৃত করে শালিনিকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যদিও বিরল রোগে ভোগা শালিনি ভারতের কোথায় থাকে, তার উল্লেখ করা হয়নি।