Forums.Likebd.Com

Full Version: বিসমিল্লাহ আসলে কি এবং এর ফযিলত!
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
পরম করুণাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি। সমস্ত প্রশংসাই আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালার। দরুদ ও সালাম আল্লহর প্রেরিত রসূল (সাঃ) এর প্রতি।



তাফসীর-ই-ইবনে আবি হাতিমে রয়েছে যে, হযরত ওসমান বিন আফফান (রাঃ) রাসূল (সাঃ) কে 'বিসমিল্লাহ' সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তখন তিনি উত্তরে বলেছিলেনঃ 'এতো আল্লাহতায়ালার নাম। আল্লাহর বড় নাম এবং এই বিসমিল্লাহ এর মধ্যে এতদূর নৈকট্য রয়েছে যেমন রয়েছে চক্ষুর কালো অংশ ও সাদা অংশের মধ্যে।'



ইবনে মরদুওয়াই এর তাফসিরে রয়েছে যে; রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ 'আমার উপর এমন একটি আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে যার মত আয়াত হযরত সোলাইমান ছাড়া অন্য কোন নবীর উপর অবতীর্ণ হয় নাই। আয়াতটি হল "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম"।'



হযরত জাবির (রাঃ) বর্নণা করেন যে, যখন এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয় তখন পূর্ব দিকে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যায়, বায়ুমন্ডলী স্তব্ধ হয়ে যায়, তরঙ্গ বিক্ষুব্দ সমুদ্র প্রশান্ত হয়ে উঠে, জন্তু গুলো কান লাগিয়ে মনযোগ সহকারে শুনতে থাকে, আকাশ থেকে অগ্নিশিখা নিক্ষিপ্ত হয়ে শয়তানকে বিতারন করে এবং বিশ্ব প্রভু স্বীয় সন্মান ও মর্যাদার কছম করে বলেনঃ 'যে জিনিসের উপর আমার এ নাম নেওয়া যাবে তাতে অবশ্যই বরকত হবে।'



হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন যে, দোযখের ১৯টি দারোগার হাত হতে যে বাঁচতে চায় সে যেন 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' পাঠ করে। এতেও ঘটেছে ১৯টি অক্ষরের সমাবেশ। প্রত্যেকটি অক্ষর প্রত্যেক ফেরেশতার জন্য রক্ষক হিসেবে কাজ করবে।'



মুসনাদ-ই-আহমাদের মধ্যে রয়েছে, রাসূল (সাঃ) এর সোয়ারীর উপর তাঁর পিছনে যে সাহাবী (রাঃ) উপবিষ্ট ছিলেন তাঁর বর্ণনাটি এইঃ 'রাসুল (সাঃ) এর উষ্ট্রীটির কিছু পদস্খলন ঘটলে (হোঁচট খেলে) আমি বললাম যে শয়তানের সর্বনাশ হোক।



তখন তিনি বললেন, এরূপ বলোনা, এতে শয়তান গর্বভরে ফুলে উঠে এবং মনে করে যে, যেন সে-ই স্বীয় শক্তির বলে ফেলে দিয়েছে। তবে হাঁ 'বিসমিল্লাহ' বলাতে সে মাছির মত লাঞ্ছিত ও হৃতগর্ব হয়ে পরে।' ইমাম-নাসাঈ (রঃ) স্বীয় কিতাব 'আমালুল ইয়াওমে ওয়াল লাইলাহ' এর মধ্যে এবং ইবনে মরদুওয়াই (রঃ) স্বীয় তাফসীরের মধ্যে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন এবং সাহাবীর নাম বলেছেন ওসামা-বিন-ওমায়ের (রাঃ)।



হাদীসে আছে যে 'বিসমিল্লাহ' এর দ্বারা কাজ আরম্ভ করা না হয় তা কল্যাণহীন ও বরকত শূন্য থাকে।



মুসনাদ-ই-আহমাদ এবং সুনানের মধ্যে রয়েছে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ), হযরত সাঈদ বীন যায়েদ (রাঃ) এবং হযরত আবু সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসুল (সাঃ) বলেছেন - যে ব্যাক্তি ওযুর সময় বিসমিল্লাহ বলে না তার ওযু হয় না।



রাসূল (সাঃ) হযরত ওমার বিন আবুসালামা (রাঃ) কে বলেনঃ 'বিসমিল্লাহ বলে খাও, ডান হাতে খাও এবং তোমার সামনের দিক থেকে খেতে থাক।'



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এর অর্থঃ- 'পরম করুনাময় ও অসীম মেহেরবান আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি।'



ইবনুল মোবারাক বলেন, 'রহমান' তাঁকেই বলে যাঁর কাছে চাইলে তিনি দান করেন, আর 'রাহিম' তাঁকে বলে যাঁর কাছে না চাইলে তিনি রাগ্বান্বিত হন। জামে'উত তিরমিযীতে আছে যে, আল্লাহতায়ালার নিকট যে ব্যাক্তি চায় না তিনি তার প্রতি রাগ্বান্বিত হন।