03-19-2017, 11:27 AM
সাতক্ষীরায় দলিত সম্প্রদায়ের এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা করা হয়েছে। গত ১৭ মার্চ,২০১৭ রোজ শুক্রবার তালা থানায় মামলাটি করা হয়।
শনিবার ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।মামলায় আসামিরা হলেন বিল্লাল হোসেন, রফিকুল ইসলাম ও আজমারুল ইসলাম।
ওই পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষকদের ডেকে এলাকার চেয়ারম্যান ও এক সদস্য বিচারের কথা বলে থানায় মামলা করা এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়েছেন।
ওই গৃহবধূর বাবা জানান, তাঁর মেয়ের শ্বশুরবাড়ি তালা উপজেলায়। গত ১০ মার্চ তাঁর মেয়ে বোরো ধানক্ষেতে কাজ করে দুপুরে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তিনজন তাঁকে বিলের মধ্যে একটি পাম্প মেশিন ঘরে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে তারা তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করে। বাড়ি ফিরে তাঁর মেয়ে বিষয়টি স্বামী ও শাশুড়িসহ পরিবারের অন্যদের জানান।
পরে বাড়ির লোকজন খেসরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাজীব আহমেদ রাজু ও সদস্য সিদ্দিকুর রহমানকে জানিয়ে এর বিচার দাবি করেন। চেয়ারম্যান দুই পক্ষকে ডেকে বিচার দেওয়ার আশ্বাস দিলেও কোনো পদক্ষেপ নেননি। উল্টো মামলা করতে দেরি করিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়রা বিচার না করায় গতকাল তালা থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারায় মামলাটি রেকর্ড করেছে।
ওই গৃহবধূ গতকালই সাতক্ষীরার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মহিবুল হাসানের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে শাশুড়ি ও সাত বছরের একটি ছেলে ছিল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তালা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মঞ্জুরুল হাসান মাসুদ বলেন, আজ ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।
আসামিদের ধরতে চেষ্টা চলছে। ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান বিচার করার কথা বলে কৌশলে সময়ক্ষেপণ করে ধর্ষণের আলামত নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন বলেও জানান তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যান রাজীব আহমেদ রাজু বলেন, ‘আমি সালিস করব বলিনি, বরং দুই পক্ষের কথা শুনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলাম।’
সূত্রঃ সময়ের কন্ঠস্বর
শনিবার ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।মামলায় আসামিরা হলেন বিল্লাল হোসেন, রফিকুল ইসলাম ও আজমারুল ইসলাম।
ওই পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষকদের ডেকে এলাকার চেয়ারম্যান ও এক সদস্য বিচারের কথা বলে থানায় মামলা করা এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়েছেন।
ওই গৃহবধূর বাবা জানান, তাঁর মেয়ের শ্বশুরবাড়ি তালা উপজেলায়। গত ১০ মার্চ তাঁর মেয়ে বোরো ধানক্ষেতে কাজ করে দুপুরে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তিনজন তাঁকে বিলের মধ্যে একটি পাম্প মেশিন ঘরে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে তারা তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করে। বাড়ি ফিরে তাঁর মেয়ে বিষয়টি স্বামী ও শাশুড়িসহ পরিবারের অন্যদের জানান।
পরে বাড়ির লোকজন খেসরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাজীব আহমেদ রাজু ও সদস্য সিদ্দিকুর রহমানকে জানিয়ে এর বিচার দাবি করেন। চেয়ারম্যান দুই পক্ষকে ডেকে বিচার দেওয়ার আশ্বাস দিলেও কোনো পদক্ষেপ নেননি। উল্টো মামলা করতে দেরি করিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়রা বিচার না করায় গতকাল তালা থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারায় মামলাটি রেকর্ড করেছে।
ওই গৃহবধূ গতকালই সাতক্ষীরার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মহিবুল হাসানের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে শাশুড়ি ও সাত বছরের একটি ছেলে ছিল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তালা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মঞ্জুরুল হাসান মাসুদ বলেন, আজ ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।
আসামিদের ধরতে চেষ্টা চলছে। ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান বিচার করার কথা বলে কৌশলে সময়ক্ষেপণ করে ধর্ষণের আলামত নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন বলেও জানান তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যান রাজীব আহমেদ রাজু বলেন, ‘আমি সালিস করব বলিনি, বরং দুই পক্ষের কথা শুনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলাম।’
সূত্রঃ সময়ের কন্ঠস্বর