07-10-2017, 01:38 AM
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ
জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান
‘আপনার জিজ্ঞাসা’।
জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির
জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর
দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ১৯৭০তম পর্বে দেবরের সামনে
পর্দা করতে হবে কি না, সে সম্পর্কে ঢাকার মধ্য
বাড্ডা থেকে চিঠিতে জানতে চেয়েছেন তানজী
আক্তার। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : আমার বাসায় আমি, আমার স্বামী, আমার দুই
দেবর (বয়স ২৮ ও ২৫ বছর) থাকি। আমার প্রশ্ন হলো,
তাঁরা নামাজ পড়ে না এবং তাঁদের সামনে আমাকে
যেতে হয়। এসব করলে আমার গুনাহ হবে কি?
উত্তর : নামাজ পড়েন না, এমনটা তাঁদের বড় ধরনের
আপরাধ। তাঁরা বড় ধরনের গুনাহ করছেন। তাতে
কোনো সন্দেহ নেই। সালাত ত্যাগ করা কুফরি কাজ।
তাই এই কুফরির কারণে অপরাধী তাঁরা।
তাঁদের সামনে আপনি যাচ্ছেন, এটিও আপনার জন্য
জায়েজ নেই। কারণ, আল্লাহর নবী (সা.) বলেছেন,
দেবরের ব্যাপারে কী বক্তব্য? কারণ পরিবারের
মধ্যে দেবরকে মূলত কাছাকাছি মনে করা হয়।
আমাদের স্বাভাবিক সমাজের মধ্যে দেবরের সঙ্গে
ওঠা-বসাটা একেবারেই স্বাভাবিক এবং আমরা
অনেকেই মনে করে থাকি যে মনে হয় এখানে পর্দার
কোনো বিধান নেই। এ জন্য বিশেষভাবে আল্লাহর
নবীকে (সা.) প্রশ্ন করা হয়েছে যে, ‘দেবরের
ব্যাপারে আপনি কী বলবেন?’
যেহেতু দেবরের বিষয়টি তখনকার সময় থেকে আরম্ভ
করে খুবই নিবিড় বিষয় ছিল। দেবরকে মনে করা হতো
যে ছোট ভাই। স্বামীর ছোট ভাই, সে ক্ষেত্রে গুরুত্ব
কম দেওয়া হতো।
কিন্তু আল্লাহর নবী (সা.) বলেছেন, ‘দেবরের কথা
বলছ? দেবর হচ্ছে একেবারেই মৃত্যুর সমতুল্য।’ সুতরাং
মৃত্যু থেকে মানুষ যেমন সব সময় আশঙ্কা করে এবং
সব সময় দূরে থাকার চেষ্টা করে, মানুষের
স্বাভাবিক স্বভাবজাত অভ্যাস হচ্ছে যে, মৃত্যুর কথা
শুনলেই সেখানে যাবে না। অনুরূপভাবে আল্লাহর
নবী (সা.) স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এটি মৃত্যুর সমতুল্য।
তাই এটি ভয়ংকর বিষয়।
এখানে তো পর্দা করতেই হবে; বরং আরো বেশি
পর্দা করতে হবে, যেহেতু আল্লাহর নবী (সা.) বলে
দিয়েছেন যে, এটি হলো মৃত্যুর বিষয়।
আসলেই তাই। আপনি যদি দেখেন, বেশির ভাগ
পারিবারিক অপরাধগুলো হচ্ছে, অভ্যন্তরীণ যে
অনাচারগুলো হচ্ছে, সেগুলো অধিকাংশই দেখা
গিয়েছে ভাবী-দেবর সম্পর্কের মধ্যে। তাই এটি
ইসলামী বিধানে একেবারেই নিষিদ্ধ কাজ, হারাম
কাজ, কোনোভাবেই আপনার জন্য জায়েজ নেই যে,
আপনি দেবরদের সামনে যাবেন। কিন্তু যদি দেবররা
আপনার বাসায় থাকে, তাহলে পরিপূর্ণ পর্দা বজায়
রেখে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, পরিপূর্ণ
পর্দা বজায় রেখে তাঁরাও আপনার সঙ্গে কথা বলতে
পারে, তাঁদের সহযোগিতা করতে পারেন বা তাঁরাও
আপনাকে সহযোগিতা করতে পারে। তবে সে
ক্ষেত্রে ইসলাম আপনাকে যেভাবে পর্দা দিয়েছে
সেই পর্দার মধ্যে থেকে সেটা করতে হবে। অন্যথায়
সব সময় এটি কবিরা গুনাহ হবে। এতে কোনো সন্দেহ
নেই।
সূত্রঃ এনটিভি
জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান
‘আপনার জিজ্ঞাসা’।
জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির
জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর
দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ১৯৭০তম পর্বে দেবরের সামনে
পর্দা করতে হবে কি না, সে সম্পর্কে ঢাকার মধ্য
বাড্ডা থেকে চিঠিতে জানতে চেয়েছেন তানজী
আক্তার। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : আমার বাসায় আমি, আমার স্বামী, আমার দুই
দেবর (বয়স ২৮ ও ২৫ বছর) থাকি। আমার প্রশ্ন হলো,
তাঁরা নামাজ পড়ে না এবং তাঁদের সামনে আমাকে
যেতে হয়। এসব করলে আমার গুনাহ হবে কি?
উত্তর : নামাজ পড়েন না, এমনটা তাঁদের বড় ধরনের
আপরাধ। তাঁরা বড় ধরনের গুনাহ করছেন। তাতে
কোনো সন্দেহ নেই। সালাত ত্যাগ করা কুফরি কাজ।
তাই এই কুফরির কারণে অপরাধী তাঁরা।
তাঁদের সামনে আপনি যাচ্ছেন, এটিও আপনার জন্য
জায়েজ নেই। কারণ, আল্লাহর নবী (সা.) বলেছেন,
দেবরের ব্যাপারে কী বক্তব্য? কারণ পরিবারের
মধ্যে দেবরকে মূলত কাছাকাছি মনে করা হয়।
আমাদের স্বাভাবিক সমাজের মধ্যে দেবরের সঙ্গে
ওঠা-বসাটা একেবারেই স্বাভাবিক এবং আমরা
অনেকেই মনে করে থাকি যে মনে হয় এখানে পর্দার
কোনো বিধান নেই। এ জন্য বিশেষভাবে আল্লাহর
নবীকে (সা.) প্রশ্ন করা হয়েছে যে, ‘দেবরের
ব্যাপারে আপনি কী বলবেন?’
যেহেতু দেবরের বিষয়টি তখনকার সময় থেকে আরম্ভ
করে খুবই নিবিড় বিষয় ছিল। দেবরকে মনে করা হতো
যে ছোট ভাই। স্বামীর ছোট ভাই, সে ক্ষেত্রে গুরুত্ব
কম দেওয়া হতো।
কিন্তু আল্লাহর নবী (সা.) বলেছেন, ‘দেবরের কথা
বলছ? দেবর হচ্ছে একেবারেই মৃত্যুর সমতুল্য।’ সুতরাং
মৃত্যু থেকে মানুষ যেমন সব সময় আশঙ্কা করে এবং
সব সময় দূরে থাকার চেষ্টা করে, মানুষের
স্বাভাবিক স্বভাবজাত অভ্যাস হচ্ছে যে, মৃত্যুর কথা
শুনলেই সেখানে যাবে না। অনুরূপভাবে আল্লাহর
নবী (সা.) স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এটি মৃত্যুর সমতুল্য।
তাই এটি ভয়ংকর বিষয়।
এখানে তো পর্দা করতেই হবে; বরং আরো বেশি
পর্দা করতে হবে, যেহেতু আল্লাহর নবী (সা.) বলে
দিয়েছেন যে, এটি হলো মৃত্যুর বিষয়।
আসলেই তাই। আপনি যদি দেখেন, বেশির ভাগ
পারিবারিক অপরাধগুলো হচ্ছে, অভ্যন্তরীণ যে
অনাচারগুলো হচ্ছে, সেগুলো অধিকাংশই দেখা
গিয়েছে ভাবী-দেবর সম্পর্কের মধ্যে। তাই এটি
ইসলামী বিধানে একেবারেই নিষিদ্ধ কাজ, হারাম
কাজ, কোনোভাবেই আপনার জন্য জায়েজ নেই যে,
আপনি দেবরদের সামনে যাবেন। কিন্তু যদি দেবররা
আপনার বাসায় থাকে, তাহলে পরিপূর্ণ পর্দা বজায়
রেখে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, পরিপূর্ণ
পর্দা বজায় রেখে তাঁরাও আপনার সঙ্গে কথা বলতে
পারে, তাঁদের সহযোগিতা করতে পারেন বা তাঁরাও
আপনাকে সহযোগিতা করতে পারে। তবে সে
ক্ষেত্রে ইসলাম আপনাকে যেভাবে পর্দা দিয়েছে
সেই পর্দার মধ্যে থেকে সেটা করতে হবে। অন্যথায়
সব সময় এটি কবিরা গুনাহ হবে। এতে কোনো সন্দেহ
নেই।
সূত্রঃ এনটিভি