08-29-2017, 04:21 PM
চারিদিকে আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়ে চলেছে ডিভোর্স বা বিবাহবিচ্ছেদের হার। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যখন একেবারেই বনিবনা হচ্ছে না, তখন বিচ্ছেদের মতন কঠিন পথ বেছে নিতে হচ্ছে অনেকটা বাধ্য হয়েই! তারা না হয় নিজেদের মতন দুনিয়া গুছিয়ে নিচ্ছেন হাজারো ঝড়-ঝঞ্ঝা পেরিয়ে কিন্তু যাদের সন্তান আছে, তারা কী করছেন? হয়তো মা, নয়তো বাবা কারো একজনের কাছে থেকে মানুষ হতে হচ্ছে বাচ্চাদের।
প্রকৃতপক্ষে একজন নারী যখন ডিভোর্সি হয়ে সন্তানকে দেখাশোনার ভার নেন, বেশ কঠিন হয়ে যায় ব্যাপারটা। নিজ ক্যারিয়ার ও জীবনের পাশাপাশি নাড়িছেঁড়া ধনটির জীবনের দিকে পরিপূর্ণ নজর দিতে হয়। আজকের ফিচারে সেজন্য এমন কিছু টিপস দেয়া হবে সিঙ্গেল মায়েদের জন্য, যেগুলো সন্তান প্রতিপালনে আপনার জন্য বেশ সহায়ক হবে। জেনে আসা যাক তবে-
সন্তানদের দ্রুত ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করুন
যতো কাজই থাকুক আপনার সন্তানের, সেগুলো সব সুন্দরভাবে গুছিয়ে সন্ধ্যা আটটার মধ্যে ঘুম পাড়িয়ে দিন তাদের। শুনতে হয়তো বেশ হাস্যকর লাগতে পারে, কিন্তু এই অভ্যাস তাকে ধীরে ধীরে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করবে। নিয়মিত নয়-দশ ঘণ্টা ঘুমোলে তাদের মেজাজ-মর্জি, আচার-আচরণ ও অভ্যাস ভালো থাকবে। আপনিও সারাদিন শান্তির মধ্যে পার করতে পারবেন।
সৃজনশীল হোন
জ্বি, এ টিপস আপনার জন্যে। নিজের মধ্যে সৃজনশীল বেশ কিছু অভ্যাস ও শখের সঞ্চার করুন। সোশ্যাল মিডিয়াতে স্ক্রল করা কিংবা টিভি দেখা কিন্তু মোটেও সৃজনশীল কোনো কাজ নয়। আপনি বই পড়তে পারেন, ছবি আঁকতে পারেন, লেখালিখি করতে পারেন, রান্না করতে পারেন এমনকি কারুশৈলীর কাজ করতে পারেন। আপনি যা-ই করেন না কেন, খেয়াল রাখবেন যে আপনার সন্তান কিন্তু আপনাকে অনুসরণ করবে এবং আপনার থেকেই শিখবে। তার ভবিষ্যত সুনিশ্চিত করতে হবে আপনাকেই।
সাহায্য নিন
মা হওয়ার মানে এই না যে আপনি সবকিছু জেনে কিংবা বুঝে গিয়েছেন। মাতৃত্বের যাত্রায় হয়তো আপনি সবকিছু বুঝে উঠতে পারবেন না বা আপনার কাছে শক্ত মনে হবে অনেককিছু। সুতরাং, সে সময়গুলোতে অসহায় হয়ে অসার হয়ে বসে থাকার চাইতে কারো কাছে সাহায্য চান। তিনি হতে পারেন আপনার মা, বন্ধু, সহকর্মী কিংবা পরিবারের যেকোন সদস্য!
নিজেকে ক্ষমা করুন
অধিকাংশ সময় আপনার হয়তো বিবাহবিচ্ছেদের জন্য নিজেকে খুব দোষারোপ করতে মন চাইবে। একটু থামুন ও চিন্তা করুন। আপনি কিন্তু নিজের ও সন্তানের উত্তম ভবিষ্যতের জন্যেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাই, নীরবে বসে নিজেকে একটু সময় দিন। নিজেকে ক্ষমা করুন। সর্বাগ্রে নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন, তবেই চারপাশের বাকি মানুষেরা আপনাকে শ্রদ্ধা করবে এবং ভালোবাসবে।
নিজের উপর বিশ্বাস স্থাপন করুন
সবারই একটি নিজস্ব মতামত ও বিশ্বাস আছে। কিন্তু যখনই আপনার নিজের ও সন্তানের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন হবে তখন নিজের মনের কথা শুনুন। আশেপাশের মানুষ অনেক কথাই বলবে, কিন্তু কি লাভ সবাইকে সন্তুষ্ট করে? আপনি তাতে কী পাবেন? এজন্য সবকিছুর আগে নিজেকে চিনতে শিখুন। নিজেকে নিয়ে গবেষণা করে ফল বের করুন। সেভাবেই কাজ করে চলুন নিরন্তর।
মনে রাখবেন, আপনার পথ কিন্তু একান্তই আপনার। এ পথ কেউ কখনো চলে দেবেনা। নিজের পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌছতে হবে আপনাকেই। প্রতিটা পা ভেবেচিন্তে ফেলুন। তবেই আপনি নিজের ও সন্তানের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে পারবেন। শুভকামনা রইলো।
প্রকৃতপক্ষে একজন নারী যখন ডিভোর্সি হয়ে সন্তানকে দেখাশোনার ভার নেন, বেশ কঠিন হয়ে যায় ব্যাপারটা। নিজ ক্যারিয়ার ও জীবনের পাশাপাশি নাড়িছেঁড়া ধনটির জীবনের দিকে পরিপূর্ণ নজর দিতে হয়। আজকের ফিচারে সেজন্য এমন কিছু টিপস দেয়া হবে সিঙ্গেল মায়েদের জন্য, যেগুলো সন্তান প্রতিপালনে আপনার জন্য বেশ সহায়ক হবে। জেনে আসা যাক তবে-
সন্তানদের দ্রুত ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করুন
যতো কাজই থাকুক আপনার সন্তানের, সেগুলো সব সুন্দরভাবে গুছিয়ে সন্ধ্যা আটটার মধ্যে ঘুম পাড়িয়ে দিন তাদের। শুনতে হয়তো বেশ হাস্যকর লাগতে পারে, কিন্তু এই অভ্যাস তাকে ধীরে ধীরে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করবে। নিয়মিত নয়-দশ ঘণ্টা ঘুমোলে তাদের মেজাজ-মর্জি, আচার-আচরণ ও অভ্যাস ভালো থাকবে। আপনিও সারাদিন শান্তির মধ্যে পার করতে পারবেন।
সৃজনশীল হোন
জ্বি, এ টিপস আপনার জন্যে। নিজের মধ্যে সৃজনশীল বেশ কিছু অভ্যাস ও শখের সঞ্চার করুন। সোশ্যাল মিডিয়াতে স্ক্রল করা কিংবা টিভি দেখা কিন্তু মোটেও সৃজনশীল কোনো কাজ নয়। আপনি বই পড়তে পারেন, ছবি আঁকতে পারেন, লেখালিখি করতে পারেন, রান্না করতে পারেন এমনকি কারুশৈলীর কাজ করতে পারেন। আপনি যা-ই করেন না কেন, খেয়াল রাখবেন যে আপনার সন্তান কিন্তু আপনাকে অনুসরণ করবে এবং আপনার থেকেই শিখবে। তার ভবিষ্যত সুনিশ্চিত করতে হবে আপনাকেই।
সাহায্য নিন
মা হওয়ার মানে এই না যে আপনি সবকিছু জেনে কিংবা বুঝে গিয়েছেন। মাতৃত্বের যাত্রায় হয়তো আপনি সবকিছু বুঝে উঠতে পারবেন না বা আপনার কাছে শক্ত মনে হবে অনেককিছু। সুতরাং, সে সময়গুলোতে অসহায় হয়ে অসার হয়ে বসে থাকার চাইতে কারো কাছে সাহায্য চান। তিনি হতে পারেন আপনার মা, বন্ধু, সহকর্মী কিংবা পরিবারের যেকোন সদস্য!
নিজেকে ক্ষমা করুন
অধিকাংশ সময় আপনার হয়তো বিবাহবিচ্ছেদের জন্য নিজেকে খুব দোষারোপ করতে মন চাইবে। একটু থামুন ও চিন্তা করুন। আপনি কিন্তু নিজের ও সন্তানের উত্তম ভবিষ্যতের জন্যেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাই, নীরবে বসে নিজেকে একটু সময় দিন। নিজেকে ক্ষমা করুন। সর্বাগ্রে নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন, তবেই চারপাশের বাকি মানুষেরা আপনাকে শ্রদ্ধা করবে এবং ভালোবাসবে।
নিজের উপর বিশ্বাস স্থাপন করুন
সবারই একটি নিজস্ব মতামত ও বিশ্বাস আছে। কিন্তু যখনই আপনার নিজের ও সন্তানের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন হবে তখন নিজের মনের কথা শুনুন। আশেপাশের মানুষ অনেক কথাই বলবে, কিন্তু কি লাভ সবাইকে সন্তুষ্ট করে? আপনি তাতে কী পাবেন? এজন্য সবকিছুর আগে নিজেকে চিনতে শিখুন। নিজেকে নিয়ে গবেষণা করে ফল বের করুন। সেভাবেই কাজ করে চলুন নিরন্তর।
মনে রাখবেন, আপনার পথ কিন্তু একান্তই আপনার। এ পথ কেউ কখনো চলে দেবেনা। নিজের পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌছতে হবে আপনাকেই। প্রতিটা পা ভেবেচিন্তে ফেলুন। তবেই আপনি নিজের ও সন্তানের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে পারবেন। শুভকামনা রইলো।