Forums.Likebd.Com

Full Version: জামাআতে নামাজ পড়ার গুরুত্ব
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজকে ফরজ করে দিয়েছেন। আবার এ নির্ধারিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে গিয়ে ইমামের সঙ্গে জামাআতে আদায় করার ব্যাপারে তিনি সুনানে হুদা নির্ধারণ করেছেন। বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও জামাআতে নামাজ আদায়ের কঠোর নির্দেশ প্রদান করেছেন।
মসজিদে ইমামের সঙ্গে জামাআতে নামাজ আদায়ের মধ্যে রয়েছে মানুষের জন্য কল্যাণ হিকমত এবং বিশ্বনবির গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাতের বাস্তবায়ন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়ার জীবনে কখনো জামাআত ব্যতীত নামাজ আদায় করেননি। আজান শোনার পর ওজর ব্যতীত জামাআতে উপস্থিত না হওয়া সুন্নাতের পরিপন্থী কাজ।
যারা আজান শোনার পর জামাআতের সঙ্গে নামাজ আদায় করে না তারা দুনিয়ার কল্যাণ ও হিকমত এবং বিশ্বনবির গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত পালন থেকে বঞ্চিত হয়। অথচ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জামাআতে নামাজ আদায়ের ব্যাপারে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছেন।
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আজান শোনার পর নামাজের জামাআতে (মসজিদে) উপস্থিত হয় না এবং জামাআতে উপস্থিত না হওয়ার কোনো ওজর বা কারণও না থাকে; এমতাবস্থায় যদি সে একাকি নামাজ আদায় করে, তবে ওই ব্যক্তির (একাকি) নামাজ কবুল হবে না।
একজন সাহাবা জানতে চাইলেন, ওজর বা কারণ বলতে কি বোঝায়? উত্তরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ভয় অথবা অসুস্থতা। (আবু দাউদ)
নামাজ আদায়ের জন্য আল্লাহ তাআলা কুরআনে সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সে সময় অনুযায়ী জামাআতে নামাজ আদায়ের ব্যাপারেও সঠিক পন্থা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে অন্য হাদিসে এসেছে-
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করছেন। তিনি বলেন, ‘হে মুসলমানগণ! আল্লাহ তোমাদের জন্য সুনানে হুদা বা হিদায়াতের পন্থা নির্ধারিত করে দিয়েছেন। আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাআতের সাথে মসজিদে আদায় করাই হচ্ছে সুনানে হুদা।
তোমরা যদি তোমাদের ঘরে নামাজ আদায় করা শুরু কর, যেমন অমুক ব্যক্তি জামাআত ছেড়ে ঘরে নামাজ আদায় করে, তাহলে তোমরা তোমাদের নবির সুন্নাত ছেড়ে দিলে। যদি তোমরা নবির সুন্নাত ছেড়ে দাও, তাহলে হিদায়াতের পথ থেকে তোমরা বিচ্যুত হয়ে পড়বে। (মুসলিম, মিশকাত)
পরিশেষে...
নামাজের জামাআতের গুরুত্ব সম্পর্কে বিশ্বননির ছোট্ট একটি হাদিস দিয়ে শেষ করতে চাই। বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নামাজের আজান হওয়ার পরও যারা ঘর থেকে মসজিদে নামাজের জামাআতে উপস্থিত হয় না। যদি সেসব ঘরে নারী এবং ‍শিশু না থাকতো, তবে তিনি সে সব ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিতেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথা সময়ে নামাজের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইমামের সঙ্গে জামাআতে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়ার কল্যাণ ও হিকমত লাভ করার তাওফিক দান করুন। বিশ্বনবির গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাতের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সূত্রঃ জাগো নিউজ