01-13-2017, 11:37 PM
কোনও রকম প্রসাধনী ও ওষুধ ছাড়াই আপনি সুন্দর ও সুস্থ থাকতে পারবেন! এর জন্য শুধু মাত্র এক গ্লাস শসার জুসই যথেষ্ট! বিষয়টি শুনে আপনি অবাক হলেও এটা সত্যি, প্রতিদিন এক গ্লাস শসার জুস পানে আপনার ত্বক ও শরীর শুধু সুস্থ থাকবে তা নয়, এটা আপনার শরীর ঠাণ্ডা করে শক্তিও বাড়িয়ে দেবে। এমনটাই দাবি করেছেন পুষ্টি বিজ্ঞানীরা।
নিউট্রিশন এবং সাটিফাইড মাইক্রোবায়লজির স্বাস্থ্য কোচ শিল্পা আরোরা বলেন, শসা জুসে ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, রিবোফ্লাভিন, বি -৬, ফ্লোয়িড (folate), পেনটোটেনিক (pantothenic) অ্যাসিড, লোহা, সিলিকা, ক্যালসিয়াম এবং দস্তা রয়েছে। তাই প্রতিদিন শসার জুস পান করলে আপনার ত্বক উজ্বল হবে।
এনডিটিভির খবরে শসার জুসের কয়েকটি গুণ তুলে ধরেছেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা, নিম্নে সেগুলো আলোচনা করা হলো:
ওজন কমায় : বেঙ্গালুরুর পুষ্টিবিজ্ঞানী ড. আঞ্জু সুদ বলেন, শসার জুসে ক্যালোরি কম এবং এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। শসায় উচ্চমাত্রায় পানি ও নিম্নমাত্রার ক্যালরিযুক্ত উপাদান রয়েছে। ফলে যারা দেহের ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য শসার রস আদর্শ টনিক হিসেবে কাজ করবে।
দেহের পানিশূন্যতা দূর করে : ধরুন আপনার পিপাসা পেয়েছে, হাতের কাছে পানি নেই। এসময় একটি শসা চিবিয়ে খান। পিপাসা মিটে যাবে। পুষ্টি বিজ্ঞানী শিল্পা আরোরা বলেন, শসায় ৯৫% পানি রয়েছে। এতে থাকা দুই যৌগ যেমন : অ্যাসকরবিক অ্যাসিড এবং ক্যাফিক অ্যাসিড রয়েছে। এটি শরীরে পানি জমা বা গ্যাসের কারণে হওয়া ফাঁপাভাব কমাতে সাহায্য করে। তাই পেট কমাতেও এই সবজি বেশ কার্যকর।
কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর করে : নিয়মিত শসা খেলে দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর হয়। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী ড. সুদ বলেন, শসার রস প্রাকৃতিকভাবে আপনার পেটে হালকাভাবে কাজ করে, যা আপনার ক্রনিক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ড. বি এন সিনহা, বলছেন, শসা রস আপনার শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা লড়াই করে আপনাকে মৌসুমি সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে : প্রতিদিন আমাদের দেহে যেসব ভিটামিনের দরকার হয়, তার বেশির ভাগই শসার মধ্যে বিদ্যমান। ভিটামিন এ, বি ও সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়।
হজমে সহায়ক : শসার রস আপনার শরীরের বিষাক্ত এবং পুরাতন বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে ও শরীর পরিষ্কার করে। পুষ্টিবিদ শিল্পা বলেছেন, শসা ছাড়া আপনি লেবুও খেতে পারেন। এতেও ভালো ফল পাওয়া যায়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ : শসা রসে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, যা আপনার শরীরে সঠিকভাবে ক্রিয়া করে উচ্চ এবং নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
শক্তি বাড়ে : শসা রসে রয়েছে ভিটামিন বি। যা আপনার শরীরে পুষ্টি যোগায় ও ক্লান্তি দূর করে। এতে আপনার কাজে আগ্রহ বাড়বে।
ভালো ঘুম হবে : শসার রস আপনার উদ্বেগ এবং মানসিক চাপ কমিয়ে স্নায়ু শান্ত করে। এতে আপনার ঘুম চক্রের উন্নতি হবে এমনটাই জানান ডা. বি এন সিনহা।
শরীর ঠাণ্ডা করে : শরীরের ভেতর ও বাইরে প্রচণ্ড উত্তাপ অনুভব করলে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। এ অবস্থায় একটি শসার রস দারুন কাজ করে। এ ছাড়া গ্রীষ্মকালে সূর্যের তাপে মুখের ত্বকের জ্বালা অনুভব করলে শসা কেটে লাগাতে পারেন। দিল্লি-ভিত্তিক পুষ্টিবিজ্ঞানী আনসুল জয়ভারত বলেন, গরমে শসা রস কুল্যান্ট হিসাবে কাজ করে। গরম গ্রীষ্মকালে জন্য একটি চমৎকার পানীয়।
চোখের জ্যোতি বাড়ায় : যদি চোখের জতি বাড়াতে চান, তাহলে অবশ্যই শসার জুস পান করুন। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে শসা দারুন কাজ করে। রূপচর্চার অংশ হিসেবে অনেকে শসা গোল করে কেটে চোখের পাতায় বসিয়ে রাখেন।এতে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা যেমন অপসারিত হয়, তেমনি চোখের জ্যোতি বাড়ে।চোখের প্রদাহপ্রতিরোধক উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকায় ছানি পড়া ঠেকাতেও এটি কাজ করে।
ত্বক পরিষ্কার করে : শসা ত্বক পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। শসায় উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন আছে, যা আপনার সুন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে। আপনার চোখের উপর শসার ঠাণ্ডা টুকরা রেখে দিন, এটা আপনার সৌন্দর্য বাড়াবে এবং চোখ ফোলা কমিয়ে দেবে।
চুলের সুন্দর্য বাড়ায় : শসার রস শুধু ত্বকের না আপনার চুলেরও সুন্দর্য বাড়ায়। এতে সিলিকন এবং সালফার রয়েছে যা সম্মিলিতভাবে চুল পড়া বন্ধ করে এবং চুল সিল্কি করে এমনটাই দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
নিউট্রিশন এবং সাটিফাইড মাইক্রোবায়লজির স্বাস্থ্য কোচ শিল্পা আরোরা বলেন, শসা জুসে ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, রিবোফ্লাভিন, বি -৬, ফ্লোয়িড (folate), পেনটোটেনিক (pantothenic) অ্যাসিড, লোহা, সিলিকা, ক্যালসিয়াম এবং দস্তা রয়েছে। তাই প্রতিদিন শসার জুস পান করলে আপনার ত্বক উজ্বল হবে।
এনডিটিভির খবরে শসার জুসের কয়েকটি গুণ তুলে ধরেছেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা, নিম্নে সেগুলো আলোচনা করা হলো:
ওজন কমায় : বেঙ্গালুরুর পুষ্টিবিজ্ঞানী ড. আঞ্জু সুদ বলেন, শসার জুসে ক্যালোরি কম এবং এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। শসায় উচ্চমাত্রায় পানি ও নিম্নমাত্রার ক্যালরিযুক্ত উপাদান রয়েছে। ফলে যারা দেহের ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য শসার রস আদর্শ টনিক হিসেবে কাজ করবে।
দেহের পানিশূন্যতা দূর করে : ধরুন আপনার পিপাসা পেয়েছে, হাতের কাছে পানি নেই। এসময় একটি শসা চিবিয়ে খান। পিপাসা মিটে যাবে। পুষ্টি বিজ্ঞানী শিল্পা আরোরা বলেন, শসায় ৯৫% পানি রয়েছে। এতে থাকা দুই যৌগ যেমন : অ্যাসকরবিক অ্যাসিড এবং ক্যাফিক অ্যাসিড রয়েছে। এটি শরীরে পানি জমা বা গ্যাসের কারণে হওয়া ফাঁপাভাব কমাতে সাহায্য করে। তাই পেট কমাতেও এই সবজি বেশ কার্যকর।
কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর করে : নিয়মিত শসা খেলে দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর হয়। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী ড. সুদ বলেন, শসার রস প্রাকৃতিকভাবে আপনার পেটে হালকাভাবে কাজ করে, যা আপনার ক্রনিক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ড. বি এন সিনহা, বলছেন, শসা রস আপনার শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা লড়াই করে আপনাকে মৌসুমি সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে : প্রতিদিন আমাদের দেহে যেসব ভিটামিনের দরকার হয়, তার বেশির ভাগই শসার মধ্যে বিদ্যমান। ভিটামিন এ, বি ও সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়।
হজমে সহায়ক : শসার রস আপনার শরীরের বিষাক্ত এবং পুরাতন বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে ও শরীর পরিষ্কার করে। পুষ্টিবিদ শিল্পা বলেছেন, শসা ছাড়া আপনি লেবুও খেতে পারেন। এতেও ভালো ফল পাওয়া যায়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ : শসা রসে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, যা আপনার শরীরে সঠিকভাবে ক্রিয়া করে উচ্চ এবং নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
শক্তি বাড়ে : শসা রসে রয়েছে ভিটামিন বি। যা আপনার শরীরে পুষ্টি যোগায় ও ক্লান্তি দূর করে। এতে আপনার কাজে আগ্রহ বাড়বে।
ভালো ঘুম হবে : শসার রস আপনার উদ্বেগ এবং মানসিক চাপ কমিয়ে স্নায়ু শান্ত করে। এতে আপনার ঘুম চক্রের উন্নতি হবে এমনটাই জানান ডা. বি এন সিনহা।
শরীর ঠাণ্ডা করে : শরীরের ভেতর ও বাইরে প্রচণ্ড উত্তাপ অনুভব করলে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। এ অবস্থায় একটি শসার রস দারুন কাজ করে। এ ছাড়া গ্রীষ্মকালে সূর্যের তাপে মুখের ত্বকের জ্বালা অনুভব করলে শসা কেটে লাগাতে পারেন। দিল্লি-ভিত্তিক পুষ্টিবিজ্ঞানী আনসুল জয়ভারত বলেন, গরমে শসা রস কুল্যান্ট হিসাবে কাজ করে। গরম গ্রীষ্মকালে জন্য একটি চমৎকার পানীয়।
চোখের জ্যোতি বাড়ায় : যদি চোখের জতি বাড়াতে চান, তাহলে অবশ্যই শসার জুস পান করুন। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে শসা দারুন কাজ করে। রূপচর্চার অংশ হিসেবে অনেকে শসা গোল করে কেটে চোখের পাতায় বসিয়ে রাখেন।এতে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা যেমন অপসারিত হয়, তেমনি চোখের জ্যোতি বাড়ে।চোখের প্রদাহপ্রতিরোধক উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকায় ছানি পড়া ঠেকাতেও এটি কাজ করে।
ত্বক পরিষ্কার করে : শসা ত্বক পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। শসায় উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন আছে, যা আপনার সুন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে। আপনার চোখের উপর শসার ঠাণ্ডা টুকরা রেখে দিন, এটা আপনার সৌন্দর্য বাড়াবে এবং চোখ ফোলা কমিয়ে দেবে।
চুলের সুন্দর্য বাড়ায় : শসার রস শুধু ত্বকের না আপনার চুলেরও সুন্দর্য বাড়ায়। এতে সিলিকন এবং সালফার রয়েছে যা সম্মিলিতভাবে চুল পড়া বন্ধ করে এবং চুল সিল্কি করে এমনটাই দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।