01-13-2017, 11:39 PM
আমাদের দৈনন্দিন সুস্থতা নির্ভর করে আমাদের খাওয়া দাওয়ার ওপর। ভালো স্বাস্থ্য নির্ভর করে আমরা প্রতিদিন কি খাবার খাচ্ছি, কতটুকু পরিমাণে খাচ্ছি এবং কখন খাচ্ছি।
বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞান এগিয়ে গেছে অনেক ধাপ সামনে। তাই আমরা আমাদের প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকা সম্পর্কে আগের থেকে অনেক বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নিউট্রিশন বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে আমাদের আজকের এই লেখাটি, যা আপনাদেরকে প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকা গঠনে বিশেষ সাহায্য করবে।
ঠান্ডায় বাঁধাকপি
ডাক্তার জাস্টিন সোনেনবার্গ বলেন, প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা বা কয়েক দিন ফ্রিজে রাখা তবে মোটেও পাস্তুরিত নয়, এমন বাঁধাকপিতে অনেক স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা অন্ত্রকে পূর্ণ করে তোলে এবং ঠান্ডা বা ঠান্ডাজনীত সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে।
ক্যানসার রোধে হলুদ
ডাক্তার মাইকেল বলে, বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা থেকে এটি প্রমাণিত যে, হলুদ হার্ট ডিজিস, অস্টেওআরথারাইসিস এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার রোধে সহায়তা করে। আমি সাধারণত দিনে অর্ধেক চা চামচ খাওয়ার কথা বলে থাকি। তবে আপনি যদি এর স্বাদের প্রতি সন্তুষ্ট না থাকেন তাহলে এর ট্যাবলেট কিনে খেতে পারেন।
প্রোটিনের চাহিদায় টুনা মাছ
ডাক্তার কেইট বলেন, সবচেয়ে কম খরচে প্রাপ্ত প্রোটিনের মধ্যে মাছ প্রধান। এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩, ভিটামিন ডি এবং সোলেনিয়াম থাকে।
খাদ্য তালিকায় মাছ
একটি বড় গবেষণা থেকে বলা হয়, সপ্তাহে অন্তত একদিন খাদ্য তালিকায় মাছ থাকলে অ্যাজমার সমস্যা কম হয় লক্ষণীয়ভাবে। আরেকটি গবেষণা থেকে বলা, মাছের স্লাসেস হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে।
ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে ডার্ক চকলেট
ডাক্তার সিনথিয়া বলেন, ডার্ক চকলেট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করে, খারাপ এলডিএল কোলেস্ট্রলকে শরীর থেকে দূরে সরিয়ে দেয় এবং ভালো এইচডিএল কোলেস্ট্রোল বৃদ্ধি করে।
ফলের তালিকায় বেরি
ডাক্তার ডেভিড বলেন, বেরিতে অনেক বেশি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে, যা হার্ট সংক্রান্ত রোগ, কয়েক ধরনের ক্যানসার এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
কিনুন বেগুনি বাঁধাকপি
ডাক্তার মাইকেলের মতে, বেরির মতো বেগুনি বাঁধাকপিরও চোখ এবং মস্তিষ্ক রক্ষণাবেক্ষণকারী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে।
বোধশক্তি বাড়াতে সবুজ সবজি
ডাক্তার মারথা ক্লেইরি মরিস বলেন, একটি গবেষণাতে দেখা যায় যারা প্রতিদিন অন্তত এক বেলা সবুজ শাকসবজি খান তাদের বোধশক্তি ১১ বছর কম অর্থাৎ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে বোধশক্তি লোপ পেতে থাকে তা ধরে রাখার জন্য বেশি করে সবুজ শাকসবজি খাওয়া দরকার। এছাড়া সবুজ সবজি হার্টের সমস্যা, হাড়ের সমস্যা এবং ক্যানসার প্রতিরোধে বেশ উপযোগী।
অনেক দিন বেঁচে থাকার জন্য মটরশুটি
ডাক্তার ড্যান বাটনার বলেন, প্রতিদিন এক কাপ করে মটরশুটি খান এবং আপনার আয়ুতে এক বছর করে যোগ করুন। এটি সম্পূর্ণ আশযুক্ত খাবার এবং এতে রয়েছে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেড। এটি অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
সকালের নাস্তায় বাদাম
গ্যারি ফ্রেসার বলেন, সপ্তাহে পাঁচ আউন্স বা তার বেশি বাদাম খেলে তা আপনার হার্ট সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। আপনি এর জন্য যেকোনো বাদাম খেতে পারেন। যেমন কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম, এলমন্ড ইত্যাদি। যেকোনোটি আপনার সকালের নাস্তায় যোগ করে ফেলুন।
পুষ্টিকর খাবার স্প্রাউট
বাদাম, ফল এবং মটরদানা মিলিয়ে স্প্রাউট বানানো হয়। ডাক্তার ধারিউস বলেন, স্প্রাউটে প্রচুর পরিমাণে ফিটোকেমিক্যাল থাকে, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
খাবারের মেশান শস্যদানা
শস্যদানা তে সম্পূর্ণ ফাইবার এবং প্রচুর ওমেগা ৩ থাকে, যা হার্টের রোগ, ক্যানসার, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে এবং বোধশক্তি বাড়ায়। আপনি আপনার ওটমিল, দই, প্যানকেক, ওয়াফেল, সালাদ, স্যুপ বা স্যান্ডুইসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন শস্যদানা- বলেন ডাক্তার এঙ্গি একিন।
বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞান এগিয়ে গেছে অনেক ধাপ সামনে। তাই আমরা আমাদের প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকা সম্পর্কে আগের থেকে অনেক বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নিউট্রিশন বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে আমাদের আজকের এই লেখাটি, যা আপনাদেরকে প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকা গঠনে বিশেষ সাহায্য করবে।
ঠান্ডায় বাঁধাকপি
ডাক্তার জাস্টিন সোনেনবার্গ বলেন, প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা বা কয়েক দিন ফ্রিজে রাখা তবে মোটেও পাস্তুরিত নয়, এমন বাঁধাকপিতে অনেক স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা অন্ত্রকে পূর্ণ করে তোলে এবং ঠান্ডা বা ঠান্ডাজনীত সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে।
ক্যানসার রোধে হলুদ
ডাক্তার মাইকেল বলে, বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা থেকে এটি প্রমাণিত যে, হলুদ হার্ট ডিজিস, অস্টেওআরথারাইসিস এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার রোধে সহায়তা করে। আমি সাধারণত দিনে অর্ধেক চা চামচ খাওয়ার কথা বলে থাকি। তবে আপনি যদি এর স্বাদের প্রতি সন্তুষ্ট না থাকেন তাহলে এর ট্যাবলেট কিনে খেতে পারেন।
প্রোটিনের চাহিদায় টুনা মাছ
ডাক্তার কেইট বলেন, সবচেয়ে কম খরচে প্রাপ্ত প্রোটিনের মধ্যে মাছ প্রধান। এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩, ভিটামিন ডি এবং সোলেনিয়াম থাকে।
খাদ্য তালিকায় মাছ
একটি বড় গবেষণা থেকে বলা হয়, সপ্তাহে অন্তত একদিন খাদ্য তালিকায় মাছ থাকলে অ্যাজমার সমস্যা কম হয় লক্ষণীয়ভাবে। আরেকটি গবেষণা থেকে বলা, মাছের স্লাসেস হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে।
ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে ডার্ক চকলেট
ডাক্তার সিনথিয়া বলেন, ডার্ক চকলেট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করে, খারাপ এলডিএল কোলেস্ট্রলকে শরীর থেকে দূরে সরিয়ে দেয় এবং ভালো এইচডিএল কোলেস্ট্রোল বৃদ্ধি করে।
ফলের তালিকায় বেরি
ডাক্তার ডেভিড বলেন, বেরিতে অনেক বেশি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে, যা হার্ট সংক্রান্ত রোগ, কয়েক ধরনের ক্যানসার এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
কিনুন বেগুনি বাঁধাকপি
ডাক্তার মাইকেলের মতে, বেরির মতো বেগুনি বাঁধাকপিরও চোখ এবং মস্তিষ্ক রক্ষণাবেক্ষণকারী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে।
বোধশক্তি বাড়াতে সবুজ সবজি
ডাক্তার মারথা ক্লেইরি মরিস বলেন, একটি গবেষণাতে দেখা যায় যারা প্রতিদিন অন্তত এক বেলা সবুজ শাকসবজি খান তাদের বোধশক্তি ১১ বছর কম অর্থাৎ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে বোধশক্তি লোপ পেতে থাকে তা ধরে রাখার জন্য বেশি করে সবুজ শাকসবজি খাওয়া দরকার। এছাড়া সবুজ সবজি হার্টের সমস্যা, হাড়ের সমস্যা এবং ক্যানসার প্রতিরোধে বেশ উপযোগী।
অনেক দিন বেঁচে থাকার জন্য মটরশুটি
ডাক্তার ড্যান বাটনার বলেন, প্রতিদিন এক কাপ করে মটরশুটি খান এবং আপনার আয়ুতে এক বছর করে যোগ করুন। এটি সম্পূর্ণ আশযুক্ত খাবার এবং এতে রয়েছে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেড। এটি অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
সকালের নাস্তায় বাদাম
গ্যারি ফ্রেসার বলেন, সপ্তাহে পাঁচ আউন্স বা তার বেশি বাদাম খেলে তা আপনার হার্ট সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। আপনি এর জন্য যেকোনো বাদাম খেতে পারেন। যেমন কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম, এলমন্ড ইত্যাদি। যেকোনোটি আপনার সকালের নাস্তায় যোগ করে ফেলুন।
পুষ্টিকর খাবার স্প্রাউট
বাদাম, ফল এবং মটরদানা মিলিয়ে স্প্রাউট বানানো হয়। ডাক্তার ধারিউস বলেন, স্প্রাউটে প্রচুর পরিমাণে ফিটোকেমিক্যাল থাকে, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
খাবারের মেশান শস্যদানা
শস্যদানা তে সম্পূর্ণ ফাইবার এবং প্রচুর ওমেগা ৩ থাকে, যা হার্টের রোগ, ক্যানসার, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে এবং বোধশক্তি বাড়ায়। আপনি আপনার ওটমিল, দই, প্যানকেক, ওয়াফেল, সালাদ, স্যুপ বা স্যান্ডুইসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন শস্যদানা- বলেন ডাক্তার এঙ্গি একিন।