Forums.Likebd.Com

Full Version: যেসব কারণে খাবেন পালংশাক
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
পালংশাক ভিটামিন, খনিজ, রঞ্জক এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের সমৃদ্ধ উৎস। এই উপাদানগুলো অত্যাবশ্যকীয় শারীরিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় বলে পালংশাক খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঔষধি উদ্ভিদ হিসেবে রান্নায় ব্যবহৃত হয় পালংশাক । পালংশাকের সবচেয়ে ভালো দিকটি হচ্ছে এতে ফ্যাটের পরিমাণ খুবই কম থাকে। পালংশাকের আরো কিছু গুণের কথাই আজ আমরা জেনে নিব যা জানলে আপনি বুঝতে পারবেন কেন এই সবজিটি নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন।

১। দৃষ্টিশক্তির জন্য ভালো

পালংশাকে বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন এবং জ্যান্থিন থাকে যা দৃষ্টিশক্তির জন্য ভালো। রান্না করা পালংশাক থেকে পাওয়া যায় বিটা ক্যারোটিন। এটি ভিটামিন এ এর ঘাটতি, চোখের চুলকানি, চোখের আলসার এবং চোখ শুস্ক হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। পালংশাকে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান থাকে বলে চোখের ফোলা অথবা চোখের যন্ত্রণা কমতে সাহায্য করে।

২। বয়স সংক্রান্ত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন (এএমডি)

এএমডি কে রাইনাইটিস পিগমেনটোসা বলে। এর ফলে অন্ধত্ব এর সমস্যাও হতে পারে। চোখের রেটিনার কেন্দ্রীয় অংশের লুটেইন এবং জেন্থিন কমে যাওয়ার কারণে এমনটা হয়। আমেরিকার ওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি এর মতে, পালংশাক গ্রহণ করলে এই দুইটি গুরুত্বপূর্ণ রঞ্জক পাওয়া যায় এবং এএমডি হওয়া প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়াও পালংশাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ফ্রি র‍্যাডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব কমায়। ফ্রি র‍্যাডিকেল দৃষ্টিশক্তির উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এবং বয়সজনিত সমস্যা যেমন- গ্লুকোমা এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশন সৃষ্টির জন্য দায়ী।

৩। স্নায়বিক উপকারিতা

পালংশাকের পটাসিয়াম, ফোলেট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্নায়বিক উপকারিতা প্রদান করে। নিউরোলজির মতে, ফোলেট আলঝেইমার্স হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। তাই যারা স্নায়বিক বা জ্ঞানীয় দক্ষতা কমে যাওয়ার উচ্চমাত্রার ঝুঁকিতে আছেন তাদের পালংশাক গ্রহণ করা উচিৎ। পটাসিয়াম মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খনিজ। পটাসিয়াম মস্তিস্কে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে, জ্ঞানীয় দক্ষতা, মনোযোগ এবং স্নায়ুর কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

৪। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ

পালংশাকে উচ্চমাত্রার পটাসিয়াম এবং নিম্নমাত্রার সোডিয়াম থাকে। এই খনিজের সমন্বয়ের কারণে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য পালংশাক খাওয়া ভালো। পালংশাকে যে ফোলেট থাকে তা উচ্চ রক্তচাপ কমায় এবং রক্তনালীকে শিথিল হতে সাহায্য করে।

এছাড়াও পালংশাক পেশীকে শক্তিশালী হতে সাহায্য করে, হাড়, দাঁত ও নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, চোখের ছানি হওয়ার ঝুঁকি কমায়, সঠিকভাবে বিপাকীয় কাজ হতে সাহায্য করে। নতুন একটি গবেষণায় জানা গেছে যে, পালংশাকে থাইলোকয়েড থাকে যা ক্ষুধার অনুভূতি কমায়। তাই বলা যায় যে পালংশাক ওজন কমতে সাহায্য করে, গ্যাস্ট্রিক আলসার হওয়ার সম্ভাবনা কমায়, এথেরো স্ক্লেরোসিস ও স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি কমায় এবং ভ্রূণের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পালংশাকে ক্যান্সাররোধী উপাদান আছে এবং ত্বকের সুরক্ষায়ও কাজ করে। তাই আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যুক্ত করুন পালংশাক।