Forums.Likebd.Com

Full Version: সাধারণ কলার অসাধারণ পুষ্টি উপকারিতা
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
শিশু থেকে বয়স্ক সব ধরণের মানুষই সুস্বাদু ও সুমিষ্ট
কলা পছন্দ করে। কলা স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে
পরিচিত। কারণ কলা বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি উপাদান
যেমন- ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬, রিবোফ্লাভিন,
ফোলেট, প্যান্টোথেনিক এসিড, নায়াসিন,
পটাসিয়াম, ম্যাংগানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, কপার,
ডায়াটারি ফাইবার ও প্রোটিনে সমৃদ্ধ। কলার
স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিব এবার।
১। স্থূলতা কমায়
কলা খেয়ে আপনি আপনার মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছাপূরণ
করতে পারেন। গড়ে একটি কলায় মাত্র ৯০-১১০
ক্যালরি থাকে। তাই ওজন কমতে সাহায্য করে কলা।
কলাতে প্রচুর ফাইবার থাকে এবং খুব সহজে হজম
হয়ে যায়। তাছাড়া কলাতে কোন ফ্যাট থাকেনা।
কলা খেলে পেট ভরা থাকে। কারণ কলা ক্ষুধা
সৃষ্টিকারী হরমোন গ্রেলিন নিঃসরণে বাধা দেয়।
তাই বেশি খাওয়ার প্রবণতাও কমে। এভাবে সুস্থ
থাকার পাশাপাশি ওজন কমতে সাহায্য করে কলা।
২। হাড়কে শক্তিশালী করে
শক্তিশালী হাড়ের গঠনের গ্যারান্টি দিতে পারে
কলা। কারণ কলাতে আছে
ফ্রুক্টোলাইকোস্যাকারাইড যা এক ধরণের
প্রিবায়োটিক যা অবশেষে প্রোবায়োটিকে পরিণত
হয়। প্রিবায়োটিক হচ্ছে এমন কার্বোহাইড্রেট যা
মানুষের শরীরে হজম হয়না। প্রোবায়োটিক হচ্ছে
অন্ত্রের উপকারি ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়া
খনিজ ও পুষ্টি উপাদানের দ্বারা উদ্দীপিত হয়। কলা
ক্যালসিয়ামের শোষণ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে হাড়কে
শক্তিশালী করে।
৩। আরথ্রাইটিস
কলায় অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান আছে। তাই
আরথ্রাইটিসের প্রদাহ, ফোলা ও যন্ত্রনা কমাতে
পারে কলা। প্রতিদিন ১ টি কলা খেয়ে ব্যথামুক্ত
থাকতে পারেন।
৪। ওজন বৃদ্ধি করে
কলা ওজন কমাতে সাহায্য করার পাশাপাশি ওজন
বৃদ্ধিতেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। দুধের সাথে
কলা খেলে ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। দুধ প্রোটিন সরবরাহ
করে আর কলা চিনি সরবরাহ করে। এছাড়াও কলা
যেহেতু সহজে হজম হয়ে যায় তাই একজন মানুষ খুব
সহজেই ৫-৬ টি কলা খেতে পারেন। এর ফলে ৫০০-৬০০
ক্যালরি গ্রহণ করা হয় যার মাধ্যমে ওজন বৃদ্ধি পায়।
তাছাড়া কলা দ্রুত এনার্জি প্রদান করতে সক্ষম।
৫। কোষ্ঠকাঠিন্য
কলায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ডায়াটারি ফাইবার
থাকে যা বাউয়েল মুভমেন্টকে মসৃণ করে। যার ফলে
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। অন্ত্রের অন্যান্য রোগ
নিরাময়েও সাহায্য করে কলা। কোলোর্যাক্টাল
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় কলা।
৬। আলসার
প্রাচীনকাল থেকেই কলা এন্টাসিড ফুড হিসেবে
ব্যবহার হয়ে আসছে। কারণ কলা অন্ত্রের এসিডের
নিঃসরণ কমায়। কলাতে প্রোটিয়েজ ইনহিবিটর
আছে যা পাকস্থলীর আলসার সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর
ব্যাকটেরিয়াকে দূর করে। হার্টবার্ন কমতে সাহায্য
করে কলা।
৭। কিডনি ডিজঅর্ডার
কলা বিভিন্নভাবে কিডনির সমস্যা দূর করতে
সাহায্য করে। পটাসিয়াম দেহের তরলের ভারসাম্য
রক্ষা করে ও মূত্রত্যাগে উৎসাহিত করে। বেশি
পরিমাণে ইউরিনেশনের মাধ্যমে শরীর বিষমুক্ত হয়।
এছাড়াও কলাতে পলিফেনোলিক ও
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে যা কিডনির
কাজের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
৮। চোখের স্বাস্থ্য
অন্য অনেক ফলের মতোই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও
ক্যারোটিনয়েডে পরিপূর্ণ এবং সঠিকমাত্রার খনিজ
উপাদান সমৃদ্ধ যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য
প্রয়োজনীয়। স্বাভাবিক মাত্রায় কলা ও অন্যান্য
ফল খাওয়ার ফলে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন, ছানি,
রাতকানা ও গ্লুকোমার প্রকোপ কমায়।
৯। অ্যানেমিয়া
কলায় উচ্চমাত্রার আয়রন থাকে বলে অ্যানেমিয়া
দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে কলা। লাল রক্ত
কণিকার উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য উপাদান হচ্ছে
আয়রন।
১০। কার্ডিওভাস্কুলার সুরক্ষা
কলা বিভিন্নভাবে কার্ডিওভাস্কুলার সুরক্ষা
প্রদান করে। কলাতে পটাসিয়াম থাকে, আর
পটাসিয়াম রক্তচাপ কমায়। কলা ভাসুডিলেটর
হিসেবে কাজ করে, ধমনী ও শিরার টেনশন কমিয়ে
এদের মধ্য দিয়ে রক্ত চলাচলকে মসৃণ করে এবং
বিভিন্ন অঙ্গে অক্সিজেন পৌঁছে দিয়ে তাদের
কাজের উন্নতি ঘটায়। এর মাধ্যমে
এথেরোসক্ল্যারোসিস, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের
ঝুঁকি কমায়। কলার ফাইবার রক্তনালীর অতিরিক্ত
কোলেস্টেরল কমায়।