01-15-2017, 08:06 PM
নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে ভবিষ্যত জীবনে সন্তানের উজ্জ্বল সাফল্য চাইলে, শিক্ষাজীবনে তাদের মাথা থেকে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার চাপ কমাতে হবে।
গবেষণায় বলা হয়- পরীক্ষায় ভালো ফলাফল ও পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যাবলী নিয়ে বেশি অভিভাবকদের অতিরিক্ত মাথাব্যথা থাকা উচিত নয়। বিশেষ করে স্কুল পড়ুয়া শিশুর অভিভাবকদের। আর এতে যদি শিশুদের সামাজিক কলাকৌশল ও ক্ষমাসুলভ মনোভাব খুন্ন হয় তবে তো অবশ্যই। কারণ এ বিষয়গুলোর অভাব জীবনের সঙ্গে তাল মেলাতে এবং সাফল্য অর্জনের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এই গবেষণার সহকারি গবেষক, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সানিয়া লুথার বলেন, “সন্তানের আগ্রহের তুলনায় তার অর্জনকে যখন অভিভাবকরা বেশি প্রাধান্য দেন, তখন তারা সন্তানের মানসিক চাপ এবং শারীরিক অসুস্থতার বীজ বপন করেন, যার পরিণাম চোখে পড়তে পারে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই।”
তিনি আরও বলেন, “সন্তানের শারীরিক ও মানিসক সুস্থতা এবং শিক্ষাজীবনের সাফল্য নিশ্চিত করতে ছোটবেলা থেকেই সন্তানকে পাঠ্যবই ও পাঠক্রম বহির্ভুত কর্মকাণ্ড ছাড়াও উদারতা ও অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার শিক্ষা দিতে হবে।”
৫০৬ জন ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের ধারণার উপর ভিত্তি করে এই গবেষণা করা হয়।
শিশুদের বলা হয় তাদের বাবা-মায়েদের কাছে তাদের ছয়টি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চিহ্নিত করতে।
এদের মধ্যে তিনটি বিষয় ছিল পরীক্ষার ফলাফল এবং ভবিষ্যত সাফল্য বিষয়ক আর তিনটি বিষয় ছিল উদারতা এবং অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধশীলতা সম্পর্কীত।
অপরের প্রতি শিশুদের উদারতা এবং সাফল্য সম্পর্কে তাদের বাবা-মায়ের ধারণার উপর ভিত্তি করে তাদের পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা করা হয়।
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, মা-বাবার ধারণা অনুযায়ী সফলতা অর্জনে এবং শিশুর ব্যক্তিগত উদার মনোভাব শিশুর ব্যক্তিগত জীবন এবং শিক্ষগত জীবনে সফলতা পেতে বিশেষ ভুমিকা পালন করে। পাশাপাশি
লুথার বলেন, “যেসব শিশু মনে করে তাদের বাবা-মা উভয়েই উদারতাকে ব্যক্তিগত সফলতার চাইতে বেশি গুরুত্ব দেয়, তারাই গবেষণায় সবচাইতে ভালো ফলাফল করেছে।”
তবে যারা মনে করে তাদের বাবা অথবা মায়ের যে কোনো একজনের কাছে ব্যক্তিগত সফলতার চাইতে উদারতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তাদের কাছ থেকে গবেষণায় ফলাফল এসেছে অনেকটাই দূর্বল।
জার্নাল অফ ইয়ুথ অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্স নামক জার্নালে প্রকাশিত হওয়া এই গবেষণা সম্পর্কে লুথার বলেন, “সামজিকভাবে শৃঙ্খল হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে এই গবেষণা।”
লুথার আরও বলেন, “নিজেদের সামাজিক বেষ্টনির সঙ্গে জোরালোভাবে সংযুক্ত থাকা প্রতিটি শিশুর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পরীক্ষার ফলাফল দিয়ে নিজের যোগ্যতা হিসাব করার প্রবনতা পরে নিরাপত্তাহীনতা, অস্থিরতা, আত্ননির্ভরশীলতার অভাব ইত্যাদির কারণ হতে পারে।”
ছবি: রয়টার্স।
গবেষণায় বলা হয়- পরীক্ষায় ভালো ফলাফল ও পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যাবলী নিয়ে বেশি অভিভাবকদের অতিরিক্ত মাথাব্যথা থাকা উচিত নয়। বিশেষ করে স্কুল পড়ুয়া শিশুর অভিভাবকদের। আর এতে যদি শিশুদের সামাজিক কলাকৌশল ও ক্ষমাসুলভ মনোভাব খুন্ন হয় তবে তো অবশ্যই। কারণ এ বিষয়গুলোর অভাব জীবনের সঙ্গে তাল মেলাতে এবং সাফল্য অর্জনের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এই গবেষণার সহকারি গবেষক, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সানিয়া লুথার বলেন, “সন্তানের আগ্রহের তুলনায় তার অর্জনকে যখন অভিভাবকরা বেশি প্রাধান্য দেন, তখন তারা সন্তানের মানসিক চাপ এবং শারীরিক অসুস্থতার বীজ বপন করেন, যার পরিণাম চোখে পড়তে পারে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই।”
তিনি আরও বলেন, “সন্তানের শারীরিক ও মানিসক সুস্থতা এবং শিক্ষাজীবনের সাফল্য নিশ্চিত করতে ছোটবেলা থেকেই সন্তানকে পাঠ্যবই ও পাঠক্রম বহির্ভুত কর্মকাণ্ড ছাড়াও উদারতা ও অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার শিক্ষা দিতে হবে।”
৫০৬ জন ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের ধারণার উপর ভিত্তি করে এই গবেষণা করা হয়।
শিশুদের বলা হয় তাদের বাবা-মায়েদের কাছে তাদের ছয়টি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চিহ্নিত করতে।
এদের মধ্যে তিনটি বিষয় ছিল পরীক্ষার ফলাফল এবং ভবিষ্যত সাফল্য বিষয়ক আর তিনটি বিষয় ছিল উদারতা এবং অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধশীলতা সম্পর্কীত।
অপরের প্রতি শিশুদের উদারতা এবং সাফল্য সম্পর্কে তাদের বাবা-মায়ের ধারণার উপর ভিত্তি করে তাদের পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা করা হয়।
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, মা-বাবার ধারণা অনুযায়ী সফলতা অর্জনে এবং শিশুর ব্যক্তিগত উদার মনোভাব শিশুর ব্যক্তিগত জীবন এবং শিক্ষগত জীবনে সফলতা পেতে বিশেষ ভুমিকা পালন করে। পাশাপাশি
লুথার বলেন, “যেসব শিশু মনে করে তাদের বাবা-মা উভয়েই উদারতাকে ব্যক্তিগত সফলতার চাইতে বেশি গুরুত্ব দেয়, তারাই গবেষণায় সবচাইতে ভালো ফলাফল করেছে।”
তবে যারা মনে করে তাদের বাবা অথবা মায়ের যে কোনো একজনের কাছে ব্যক্তিগত সফলতার চাইতে উদারতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তাদের কাছ থেকে গবেষণায় ফলাফল এসেছে অনেকটাই দূর্বল।
জার্নাল অফ ইয়ুথ অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্স নামক জার্নালে প্রকাশিত হওয়া এই গবেষণা সম্পর্কে লুথার বলেন, “সামজিকভাবে শৃঙ্খল হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে এই গবেষণা।”
লুথার আরও বলেন, “নিজেদের সামাজিক বেষ্টনির সঙ্গে জোরালোভাবে সংযুক্ত থাকা প্রতিটি শিশুর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পরীক্ষার ফলাফল দিয়ে নিজের যোগ্যতা হিসাব করার প্রবনতা পরে নিরাপত্তাহীনতা, অস্থিরতা, আত্ননির্ভরশীলতার অভাব ইত্যাদির কারণ হতে পারে।”
ছবি: রয়টার্স।