Forums.Likebd.Com

Full Version: বৃদ্ধ বয়সেও মেধা শক্তি হৃাস পাবে না!
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
আমরা সাধারণত প্রতিদিন দেহের সৌন্দর্য নিয়েই ব্যস্ত থাকি। কিন্তু মেধা শক্তি কিংবা স্মৃতি কিভাবে ধরে রাখা যায় তা নিয়ে কখনও আমরা ভাবি না।

মেধাশক্তিকে ধরে রাখার জন্য অনেক উপায় রয়েছে। উল্লেখযোগ্য ৮টি উপায় বর্ণনা করা হল:

১. নিয়মিত হাঁটা-চলা, সাঁতার কাটা, দৌড়-ঝাঁপ, যোগব্যয়াম ইত্যাদি মেধাশক্তি হৃাস সমস্যা দূর করে যা বৃদ্ধ বয়সেও মেধাকে অক্ষুন্ন রাখে।

২. সচল মেধা সবসময়ই ধারালো হয় অর্থাৎ মেধাকে সবসময় নতুন কিছু উদ্ভাবনের জন্য কর্মরত রাখতে হবে। বই পড়া, নতুন নতুন গেম খেলা, শব্দের ধাঁধা ইত্যাদি কার্যক্রম মেধাবিকাশে যেমন ভুমিকা রাখে তেমনি মেধা ধরে রাখতেও সাহায্য করে। ফলে বৃদ্ধ হলেও স্মৃতিশক্তি হৃাস পায় না।

৩. চর্বি, চিনিযুক্ত খাদ্য কিংবা অত্যাধিক স্বাদযুক্ত ও ঝাঁঝালো খাবার মেধা কার্যক্রমকে ব্যহত করে। তাই এগুলো বর্জন করে মেধাকে ধারালো রাখা যায়।

৪. মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে হবে। কেননা মানসিক চাপ মেধাকে হৃাস করে। মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকার জন্য যোগব্যয়াম করতে হবে।

৫. নিয়মিত ও পরিমিত ঘুম আপনাকে সবসময় সুস্থ রাখবে। পরিমিত ঘুম মেধাকে সতেজ রাখে, স্বাধীনভাবে চিন্তাভাবনা করতে সাহায্য করে। ঘুম মানব স্মৃতিকে দীর্ঘস্থায়ী রাখতে সহায়তা করে।

৬. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় ফলমূল মেধাকে সুস্থ রাখে ও কম বয়সে যাদের মানসিক সমস্যা দেখা দেয় সেগুলো হৃাস করে। অ্যন্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে কাল জাম, কাল আঙ্গুর এবং ডালিম।

৭. অমেগা-৩ মেধাকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে। তাই যে সকল খাদ্যে অমেগা-৩ আছে সেগুলো বেশি পরিমাণ খেতে হবে। সামুদ্রিক ঠান্ডা পানির মাছ যেমন টুনা, পোনা ইত্যাদি মাছ মেধাকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে থাকে।

৮. অফিসের সহকর্মীদের সাথে যোগাযোগ ছাড়াও বাহিরে তাদের সাথে কথাবার্তা বলা যেতে পারে। এতে মন সতেজ থাকে। আত্মীয়স্বজনের সাথে কিছুক্ষণ সময় দিলে তারা যেমন খুশি হয় তেমনি মেধাশক্তিকে অক্ষুন্ন রাখতে সাহায্য করে।