Forums.Likebd.Com

Full Version: রাবিতে শূন্য ৫২ আসনে বেড়েছে ভর্তির সময়
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চলতি শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তির সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। নয়টি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে ৫২টি শূন্য আসন ও কোটাধারীদের ভর্তির জন্য আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে যথারীতি ১৭ জানুয়ারি থেকে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে।



রোববার দুপুরে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।



সভায় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য নির্ধারিত পোষ্য কোটার প্রার্থীদের পাশ নম্বর শিথিল করে ৩৯ করা হয়। গত বছরও পাশ নম্বর কমিয়ে ৩৫ করা হয়েছিল। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পাশ নম্বর ছিল ৪০।



খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি শিক্ষাবর্ষে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে চার জন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে ৯ জন, কলা অনুষদে ১১ জন, জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদে ১৪ জন পোষ্য কোটায় ভর্তি হয়েছে। আইন অনুষদ ও প্রকৌশল অনুষদে কেউ পোষ্য কোটায় ভর্তি হয়নি। অন্য তিনটি অনুষদে ভর্তির তথ্য পাওয়া যায়নি।



ভর্তি কমিটি সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জানুয়ারি চলতি শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়। তবে জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত মনোবিজ্ঞান বিভাগে বিজ্ঞান শাখায় ২৬টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। একই বিভাগে ভর্তি বাতিল করায় আরও ৫ টি আসনসহ মোট ৩১টি আসন শূন্য হয়। বিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বিভাগেও ভর্তি বাতিল করায় ১৫টি আসন শূন্য হয়। এছাড়া প্রকৌশল অনুষদে ২টি এবং অন্য আরও তিনটি অনুষদে ১টি করে সর্বমোট ৫২টি আসন শূন্য হয়। ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও স্ব স্ব অনুষদের নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেয়া হবে।



রাবির ভর্তি কমিটির সদস্য ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান যুগান্তরকে জানান, কোনো আসন যাতে শূন্য না থাকে এজন্য ভর্তি কমিটি সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পোষ্য কোটায় ৩৯ নম্বরের উপরে প্রাপ্তদের পাশ ধরে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৪০ নম্বরে পাশ নির্ধারণ ছিল, তবে ভগ্নাংশের হিসেবে কাউকে বাদ না দেয়ার জন্য এ সুযোগ দেয়া হয়েছে।



দফায় দফায় মেধা তালিকা দিয়েও পূরণ হচ্ছে না আসন:

এদিকে চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে দফায় দফায় মেধা তালিকা দিয়েও শূন্য আসন পূরণে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।



খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিজ্ঞান অনুষদ ৯ দফা এবং জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদে ৫ দফা মেধা তালিকা দিয়েও ৪৬ টি আসন শূন্য রয়েছে। কলা অনুষদে ৮ দফা, কৃষি ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ৬ দফা, বিজনেস স্টাডিজ, চারুকলা ও প্রকৌশল অনুষদে ৫ দফা এবং আইন অনুষদে ৪ দফা মেধা তালিকা দিয়ে শূন্য আসন পূরণ হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় নূন্যতম নম্বর পেয়ে কোনোমতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে এমন প্রার্থীও ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।



সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি ভিসি অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মিজানউদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, চলতি শিক্ষাবর্ষে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করেছে। তারা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো বিভাগ পাওয়ায় কিংবা সার্বিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে চলে গেছে। ফলে একটু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।



তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী রুয়েটেও ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে পুনরায় বড় অঙ্কের শূন্য আসনে অপেক্ষামান তালিকা থেকে ভর্তি করা হচ্ছে। রাবির বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হয়েছে এমন অনেক শিক্ষার্থী সেখানে চলে যাচ্ছে। ফলে ভর্তির পরও বারবার আসন শূন্য হচ্ছে।



ভিসি জানান, মহামান্য রাষ্ট্রপতি মহোদায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে ভোগান্তি নিরসনে যে আহ্বান জানিয়েছেন তার প্রেক্ষিতে কাজ চলছে। ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় উপাচার্য পরিষদও এ বিষয়ে সভা করবে। সমস্যা লাঘবে সেখান থেকে ভালো সিদ্ধান্ত আসতে পারে।