Forums.Likebd.Com

Full Version: আমার বাবার অসুস্থতা
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
আমার জীবনে ঘটে যাওয়া সত্য
ঘটনা????????????
আমি একজন হিন্দু ছেলে।তাই স্বভাবতই
কুসংস্কারে বিশ্বাস করতাম।আমার বাবার
অসুস্থতার কারনে চিকিৎসার জন্য ভারত
যেতে হয়।বাবা অনেক জোর
করলেও যেতে চাই নি।বাসায় আমি আর
আমার বোন।মা চাকরি করেন নরসিংদী।
বোন ছোট বলে পাঠিয়ে দেই
সেখানে।ঘরে আমি একা।দিনের
বেলায় খুব একটা ভয় না করলেও রাতের
বেলায় করত।কারন দিনে বন্ধুদের
সাথে থাকতাম।প্রথম তিনদিন কিছুই হল না।
কাহিনী শুরু ৪ র্থ দিন থেকে।প্রথম ৩
দিন প্রাকৃতিক কর্ম করিনি ভূতের ভয়ে।
৪র্থ দিন কে আটকায়?গেলাম বাইরে।
হঠাত দেখি পাশের বাড়ির দিবা নামের
একটি মেয়ে আমার দিকে এসে
বল্ল""তোর বাবা ইন্ডিয়া থেকে
ফোন করেছে।বলেছে তোর
সাথে থাকতে।"
"আমি তো দেখি হাতে চাঁদ পেয়ে
গেছি।একা বাড়িতে রাতে দুই কিশোর-
কিশোরী।সেই কি যে কামুক ভাব।
ছোট বেলা থেকেই তাকে নিয়ে
স্বপ্ন দেখতাম।সে বল্ল,তোর বাবা
আমাকে তোর সাথে সাথে থাকতে
বলেছে।হঠাত এক কথা শুনতেই আমার
মনে কেমন এক সন্দেহের ছোঁয়া
এল।কারন আমার বাবা একজন
এডভোকেট+সমাজসেবী।তিনি এই
কথা বলবেন আমার জম্মেও জানা ছিল না।
হঠাত বিদ্যুৎ চলে যায়।সে আমাকে
বল্ল,দাড়া,আমি মোম জ্বালিয়ে দেই।
মোম জ্বালাতেই দেখি তার চেহারাটা
অনেক বেশি সাদা দেখাচ্ছে।আমার
মনে ভয় জাগলেও পাত্তা না দিয়ে
বাইরে গেলাম আবার প্রাকৃতিক কর্ম
সারতে।ঘরে এসে দেখি মোম টা
নিভে গেছে।মোম জ্বালিয়ে
দেখলাম সে আমার ঘরে নেই।কম্পিত
হাতে অন্য ঘরে গেলাম।নাহ,পেলাম না
তাকে।বলাই হয় নি যে আমাদের বাসায়
একটি কাজের মেয়েও থাকে।ওর নাম
শিবানী।ও কিছুটা মানসিক প্রতিবন্ধী।
গিয়ে দেখি ওর ঘারের মাংস অর্ধেক
খাওয়া আর নীচের দিকে অর্ধেক
নেই।নেই মানে নেই।দিবা আর দিবা
নেই।
সে হয়ে গেছে মানুষ খেকো।
দিলাম ভো দৌর।বাইরে বেরিয়ে টিংকু
কাকাকে(দিবার বাবা) ও শিশু কাকাকে (দিবার
কাকা) ডাক দিলাম।এলাকার সবাই এসে হাজির।
তখনো আমার সারা শরীর কাপছে।
সবাইকে কাহিনী খুলে বললাম।সবাই
শিবানীদির ঘরে গিয়ে দেখে সে
বসে কাঁদছে।তার নাকি সারা শরীর
যন্ত্রনা করছে।কিন্তু একটিও ক্ষত
নেই।হঠাত পাশের বাসায় কান্নার রোল
পড়ল।গিয়ে যা দেখলাম তা অবিশ্বাস্য।
আমার থেকে ১ বছরের বড় দিবা মারা
গেছে।জট খুলে গেল।
আশ্চর্যকথা এই যে অভিষ্যির দিন
থেকে শিবানীদির শরীরে পচন
ধরে।আর দিবার শ্রাদ্ধের দিন সে মারা
যায়।কিন্তু আমি এখনো জ্বরে ভুগছি।মারা
যাব কিনা কে জানে।
এটা আমার জীবনের সত্য কাহিনী।
কষ্ট করে লিখলাম।